Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’
পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল। 
একজন কোট প্যান্ট পরা ভবঘুরে জুলুজুলু দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকাল। ডানদিকের ভ্যাট থেকে কুড়ানো বিয়ারের ক্যান আর জলের বোতলগুলো একত্র করছে। 
লোকটার দিকে তাকিয়ে পরম বলল, ‘আজকের রাতটা তো হোটেলে থাকছি তারপরে ভাবব।’ 
সোপান শর্ট রুটের ট্রেন ধরতে বেরিয়ে গেল। 
ফ্রাঙ্কফুর্ট মেইন স্টেশন থেকে বেরিয়ে পরমব্রত ট্রাম লাইনের সামনে এসে দাঁড়াল। 
নীল রঙের ট্রামটা ‘ইউরো পার্কে’র দিকে টার্ন নিল। পরমের তেমন কোথাও যাওয়ার কথা ছিল না। গত সপ্তাহে অফিসের কাজে হামবুর্গ এসেছিল। আজ ফ্রাঙ্কফুর্টের অফিসে বাকি কাজ সেরে ফেলল। আগামী কাল ফিরে যাবে। তাই শহরটা একটু ঘুরে দেখবে। তারপরে ফিরে যাবে কোলনে। সেখান থেকে ডাসেলডর্ফ। দু’বছর হতে চলল পরম ডাসেলডর্ফে আছে। 
হাঁটতে হাঁটতে পরম দেখল ফুরফুরে আকাশটা হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেল। কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। ও দৌড়ে ট্রাম ডিপোর শেডের নীচে দাঁড়াল। একঝাঁক বাঙালি ইউরো শপে ঢুকল মাথা বাঁচাতে। 
সেই  ভবঘুরে ডাস্টবিন ঘেঁটে দুটো জলের বোতল আর বিয়ারের কন্টেনার পিঠের ব্যাগে চালান করে দিল। বোতলগুলো গ্রোসারি শপে দিলে পঁচিশ সেন্ট করে পাওয়া যায়। এখানে পিপাসায় বুক ফেটে গেলেও কোথাও বিনা পয়সায় জল পাওয়া যায় না। এমনকী রেস্টুরেন্ট কিংবা স্টেশনেও নয়। ঘর থেকে বের হওয়া মানে সব কিছু কিনে খেতে হবে। এখানে জল মহার্ঘ। কিছুক্ষণ আগেই তো পরম সাড়ে তিন ইউরো দিয়ে হাফ লিটার জল কিনল। হাফ লিটার জল আর এক ক্যান বিয়ার একই দাম। 
একঝাঁক জার্মান যুবতী মনের সুখে সিগারেট টানছে। পরম গোটা ইউরোপ ঘুরে দেখেছে মেয়েদের ভিতরে নিকোটিনের প্রতি তীব্র আসক্তি। তুলনায় পুরুষেরা সংখ্যায় বেশ কম। 
আবার ঝকঝকে রোদ্দুর উঠল। 
পরম পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল সেন্টার পয়েন্টের দিকে।
 ‘স্ট্যাচু অব জাস্টিসে’র সামনে সেই বহুরূপী স্ট্যান্ডের উপরে দাঁড়িয়ে ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ফোটো তুলছে। বিনিময়ে দু’-এক ইউরো করে পাচ্ছে। একজন বেহালাবাদক ছড় টানছে। হুবহু পাঁচ বছর আগের চিত্র। একই ফ্রেম, একই রং-তুলির শহর। প্রিয়া ছবি তুলেছিল এখানে দাঁড়িয়ে। ওর ঘরের বেড সাইড টেবিলে রাখা আছে ছবিটা। সুন্দর ফ্রেমে ওর মা বাঁধিয়ে রেখেছে আরও কিছু ছবির কোলাজ। 
রাস্তার দু’ধারে ক্যাফেটেরিয়া আর রেস্টুরেন্টের সামনে অজস্র চেয়ার টেবিল পাতা আছে। স্যুভেনির শপগুলোতে ভিড় পর্যটকের। 
ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজছে। চার্চের ঘণ্টাটা বেশ 
জোরালো শোনাল। 
পরম হাতঘড়ি দেখল। এখানে দীর্ঘ বেলা। সাড়ে আটটাতে সূর্যাস্ত হলেও আকাশে ন’টার পরেও আলো থাকে। 
‘কী দাম গো! দশ ইউরোতে তেমন ভালো কিছু পাওয়া যায় না। কুড়ি-পঁচিশ খসালে তবেই না—’ 
গলা শুনে পরম ঘাড় ঘোরায়। 
কয়েকজন বাঙালি ওর দিকে তাকাল। তারপরই মুখ ফিরিয়ে নিল।
পরম লক্ষ করল ওর সাদা টি শার্টে চে গেভারার ছবি। 
তাই কি?
কী বুঝল কে জানে। 
পিঠের ব্যাগটা বেশ ভারী। ল্যাপটপ, আইপ্যাড, সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল। ভেবেছিল ব্যাগটা হোটেলে রেখে আসবে। এলেই ভালো হতো। হাফ-বান-হপ স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওর হোটেল। 
সোপান খুব মজা করেছিল ওদের বিয়েতে। টানা পনেরো দিন ছিল কলকাতায়। বিয়ে বউভাত সেরে একসঙ্গেই ফিরেছিল। পরম আর প্রিয়া ঠিক করেছিল ওরা সুইজারল্যান্ডে হনিমুন সারবে। 
দুই রাত লুসার্নে কাটাল, ক্রুজে ঘুরল। তারপরে জুরিখ হয়ে ফিরল। 
পরম গির্জার রাস্তা ধরে আরও কিছুটা এগিয়ে গেল। পথের দুই ধারে অট্টালিকার সারি। গির্জার চুড়ো দেখা যাচ্ছে। বাকিটা গাছেদের আড়ালে চলে গিয়েছে।  
আরও কিছুটা এগতেই ‘আম-মাইন’ নদী। শহরের লাইফ লাইন। 
প্রিয়াকে বিয়ের পরে নিয়ে এসেছিল। তখন ওর নতুন চাকরি। ফ্রাঙ্কফুর্টে ছিল মাস ছয়েক। বাকি দিনগুলো জার্মানির বিভিন্ন শহরে। তারপরে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিল। ওর বাবা-মায়ের চাইতে প্রিয়ার বাবা-মায়ের জন্যই ফিরে যেতে হল। স্যালারি এক ধাপে অনেকটাই কমে গেল। 
প্রিয়া ছয় মাসেই হাঁফিয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যে যাদবপুর থেকে ই-মেল পেতেই ও আরও মরিয়া হল। বলল, ‘ফিরে চল পরম।’ 
নতুন বউয়ের আবদার, বাধ্য হয়েই পরমকে ফিরতে হল। 
উত্তর আর দক্ষিণ দুই প্রান্তে দুই পরিবারের বাস। পরমের অফিস রাজারহাটে। প্রিয়ার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রিয়া একদিন রাতে বিছানায় পরমকে জড়িয়ে বলল, ‘আমি কিন্তু এবার থেকে মা-বাবার সঙ্গে থাকব।’ 
‘আর আমি? বউ ছাড়া একলা, কেটেছে একেলা বিরহের বেলা...গাইব?’ 
‘কেন? তুমিও থাকবে আমার সঙ্গে।’
পরম প্রিয়ার হাতটা সরিয়ে বলল, ‘মানে? বিয়ের পরে তুমি বাপের বাড়িতে কাটাবে?’ 
‘কেন? কী হয়েছে? তুমিও তো থাকবে আমার সঙ্গে।’
‘আমি নিজের বাড়ি, আমার বাবা-মাকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকব?’ 
প্রিয়া অভিমানী গলায় বলল, ‘এই সব মিডল ক্লাস মেন্টালিটি ছাড় তো। আমাদের দোতলা বাড়ির পুরোটাই ফাঁকা পড়ে থাকে। কত জায়গা বল তো, কী সুন্দর নিজেদের মতো থাকতে পারব। আমার পড়াশোনার সুবিধা হবে।’ পরমের বুকে অদৃশ্য কাঁটার খোঁচা লাগে। ও কি তুলনা 
টানছে? পরমদের সাড়ে সাতশো স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট ফ্ল্যাট এক চিলতে জায়গায় ও কি হাঁপিয়ে উঠেছে?  
ছোট্ট একটা বেডরুমে সারাটা দিন প্রায় বন্দি হয়েই কাটাতে হয়। নিজের মতো কিছু কিনতে পারেনি আজ পর্যন্ত। 
রাখবে কোথায়? 
বিয়েতে পরম কিচ্ছু নেয়নি। নিজেই ঘর সাজিয়েছিল খাট, ওয়ারড্রোব, ড্রেসিং টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, দেওয়াল জোড়া শো কেস এমনকী প্রিয়ার জন্য বেডরুম সংলগ্ন একটা ছোট ঘর বানিয়েছিল প্রোমোটারকে বলে। 
এইটুকু জায়গা কিনতেই বাবার সারাজীবনের জমানো টাকা শেষ হয়ে গেল। 
তবু সেটাই ছিল স্বর্গ। 
পরমের সে রাতটা বিস্বাদে কেটেছিল। 
পরম কিছুতেই রাজি ছিল না এই প্রস্তাবে। বন্ধুরা বলেছিল প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হয়। তাই সে শক্ত হয়ে বলল, ‘বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িটাই নিজের বাড়ি। তবে তোমার যখন ইচ্ছে বাবা মায়ের কাছে যেও তাতে আমি বাধা দিচ্ছি না। তবে পার্মানেন্ট থাকবে সেটি সম্ভব নয়।’ 
দু’দিন মনমরা ছিল দু’জনে। 
ফোন করছে না দেখে প্রিয়াকে সেদিন ফোন করেন ওর মা। 
প্রিয়ার গলা শুনেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী হয়েছে রে? পরমের সঙ্গে ঝগড়া? নাকি শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য?’
‘না, না শাশুড়ি মাটির মানুষ।’ 
‘তাহলে?’
মায়ের কাছে সত্যিটা লুকাতে পারেনি। 
মা বলেন, ‘ঠিকই তো বলেছে পরম, বিয়ের পরে ওটাই তোর বাড়ি।’
‘আর এতদিন যেখানে ছিলাম?’ 
‘এটাও।’
‘তুমি তো শ্রোডিংগার ইক্যুয়েশনের মতো বললে জ্যান্ত বিড়াল মরা বিড়ালের গল্প। একই সঙ্গে দুই জায়গায় কীভাবে থাকা সম্ভব?’
‘একই সঙ্গে কেন! যখন মন চাইবে চলে আসবি।’ 
‘আমার মন চাইছে, আমি প্রতি উইকএন্ডে তোমাদের সঙ্গে কাটাব।’ 
‘অমন আবদার করলে চলে না মা। একটু অ্যাডজাস্টমেন্টে আসতে হবে।’
‘শুধু মেয়েরাই অ্যাডজাস্টমেন্ট করবে আর ছেলেরা?’
প্রিয়া একের পর এক যুক্তির ঘুঁটি সাজায়। 
না পেরে মা বলেন, ‘তোর সঙ্গে কথায় পারা যায় না। যা পারিস কর।’ 
প্রিয়া একটু নরম হয়ে সেদিন পরমকে বলল, ‘তুমি আমাকে অযথা ভুল বুঝ না। আমার বাবা আর  মায়ের আমি ছাড়া আর কে আছে বল? আমি যদি তাদের না দেখি কে দেখবে?’
‘তুমি যেমন তোমার পেরেন্টের কথা ভাবছ, আমাকেও তো তাদের কথা ভাবতে হয়।’ 
‘আমি কি তোমার বাবা-মাকে নিজের ভাবি না? তাদের কিছু হলে আমি দেখব না? আমার বাবার হাই ব্লাড প্রেশার, মাও অসুস্থ, আমার কত চিন্তা হয় জানো?’
কিছুদিন প্রিয়া বাপের বাড়িতে কাটাল। পরম একদিনের জন্যও গেল না।
পরে মায়ের চাপে পরম কিছুটা নরম হয়ে প্রিয়াকে আনতে এল।
ঠিক হল শুক্রবার ইউনিভার্সিটি থেকে প্রিয়া বাপের বাড়ি চলে যাবে পরম চুপ থাকল। ব্যালকনির রেলিংয়ে ভর দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়েছিল।  ভাবছে এত অল্প সময়ে সম্পর্কে ঘুণ ধরবে ভাবতে পারেনি। 
কীভাবে জীবন শুরু করেছিল, ওদের নিয়ে বাবা-মায়ের কত স্বপ্ন ছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়াল যে, বাবা-মা বাধ্য হলেন বলতে, ‘যদি চাস আলাদা থাকতে পারিস। সত্যি তো নতুন সংসারে এমন পুরনো লজ্‌ঝরে ফ্ল্যাটে থাকতে 
ভালো লাগে?’
মায়ের ঠোঁট কেঁপে উঠল, ‘তোদের সুখেই আমাদের সুখ। তুই অসুখী হলে আমরা যে মরে যাব।’
বাবা নিশ্চুপ। 
পরমের চোখ সহসা আর্দ্র হয়ে পড়ে। প্রিয়ার চাপে পড়ে বুক করতে হল নতুন ফ্ল্যাট দক্ষিণ কলকাতায়। তবে শ্বশুরের টাকায় নয়, নিজের জমানো টাকা সঙ্গে লোন নিল।
...
আবার বৃষ্টি শুরু হল। পরম দৌড়ে সামনের ক্যাফেটেরিয়াতে ঢুকল। এক কাপ কফি অর্ডার দিয়ে কর্নারের টেবিলে বসল। ওয়েটার এক কাপ ক্যাপুচিনো কফি রেখে গেল।
নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকার পরে প্রিয়া অন্যরকম হয়ে গেল। কত হাসিখুশি। একেবারে নিজের একটা সংসার। মনের আনন্দে ঘর সাজাচ্ছে। ততদিনে ও কনসিভ করল। বলল, ‘এবারে তোমার মা-বাবাকে আমাদের কাছে নিয়ে আসব।’ পরম জড়িয়ে ধরল প্রিয়াকে। এমনটাই তো চেয়েছিল। বুদ্ধি করেই শাশুড়ি পরমকে দক্ষিণে ফ্ল্যাট বুকিং করাল। এক পাড়াতে থাকলে প্রিয়ার মনে হবে না রাতটা বাবা-মায়ের কাছে কাটাই। ওরা যখন খুশি আসছেন, যা রাঁধছেন দিয়ে যাচ্ছেন। একসঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন। এমন সহজ সমাধান হবে বুঝতে পারেনি। মাঝে কয়েক বছর দু’জনের ভিতরে কত কিছুই না ঘটে গেল। একসময় ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। দুই পক্ষের মায়েদের মিলিত উদ্যোগে ওদের জীবনে 
শান্তি এল।
বৃষ্টি ধরে এলে পরম ‘লাভ লক 
ব্রিজে’ এল। এই আয়রন ফুট ব্রিজে উঠলে 
ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের দুই দিকের অনেক দূর পর্যন্ত 
দেখা যায়। নদীতে তখন সুর তুলে একদল যুবক দাঁড় বাইতে বাইতে এগিয়ে চলেছে। সন্ধে হয়ে আসছে। ব্রিজের আলো জ্বলে উঠেছে। লন্ডনের লাভ লক ব্রিজের মতোই প্রেমিক-প্রেমিকারা এখানে এলে তালা ঝুলিয়ে যায়। ভালোবাসার বন্ধন অক্ষয় হোক। পরম খুঁজছিল কোথায় সেবার ওরা তালা ঝুলিয়েছিল। তারপরে কত হাজার তালা ঝুলিয়েছে পৃথিবীর প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল। তবে সব প্রেম কি আর অটুট থাকে? যাকে চোখের আড়াল করতে মন চায় না দেখা যায় সেই সব থেকে দূরে চলে যায়। নইলে ওদের জীবনে এমন হবে কেন?
নিয়ম মেনে শহরের প্রখ্যাত গাইনিকোলজিস্টকে দেখাচ্ছিল। অপারেশন সাকসেসফুল, বেবি ওকে, মা বাচ্চা দু’জনেই সুস্থ দেখে এল। পরেরদিন রাত থেকে প্রিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করল। জেনারেল বেড থেকে সিসিইউ-তে ট্রান্সফার, তারপরেই সব শেষ! বাবা চাইছিল বাচ্চাটা নিজেদের কাছে থাকুক। প্রিয়ার বাবা-মা চাইছেন ওঁদের কাছে রাখবেন। সকলে তাকিয়ে আছে পরম এর মুখের দিকে। 
মা বলল, ‘পরম কী বলছে শোন।’
পরমের কিছু বলার ছিল না। উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি উত্তর শোনার অপেক্ষায়। বাচ্চাটার প্রতি স্নেহ মায়া জন্মানোর আগেই তো প্রিয়া চলে গেল। ভাবছিল, প্রিয়া জোর করেই মা হতে চাইছিল। চলে যাবে বলেই কি এত তাড়া ছিল? 
মা বলল, ‘আমাদের তো পরম আছে, ওঁরা তো নিঃস্ব হয়ে গেলেন। বাচ্চাটা ওঁদের কাছে থাকুক। আমাদের মন চাইলে দেখে আসব।’ 
পরম এই দুঃসহ জীবন কাটাতে পারছিল না। প্রিয়াহীন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠল। 
মনের জোরে ফিরে এল জার্মানিতে একবুক হাহাকার নিয়ে। 
একটা ঝোড়ো বাতাস বইছে। সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। পর্যটকেরা দৌড়চ্ছে মাথা বাঁচাতে।
দূরে একট সাদা রঙের ক্রুজ অপেক্ষা করছে জেটিতে। পরম কাচগুঁড়ো বৃষ্টির ভিতর দিয়ে ঝাপসা হয়ে আসা ক্রুজটাকে দেখছে। হঠাৎ তীব্র শব্দে সাইরেন বেজে উঠল। জেটি ছেড়ে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রুজটা। ফিরে যাচ্ছে গন্তব্যের দিকে। 
ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে জেটির গায়ে। 
পরম ভাবছিল সবাইকেই ফিরতে হয়। আগে নয়তো পরে। 
চিন্তার সুতোটা ছিন্ন হল শিশুর গলা শুনে।
দেখল, সামনেই ছোট্ট একটা বাচ্চা টলমল পায়ে ছুটে একবার মায়ের কাছে যাচ্ছে পরক্ষণে বাবার দিকে—
পরমের চোখে জল এল। মনে হল তালাটা ও খুঁজে পেয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া একদিন পরমকে বলেছিল, এ-এখানে কান পাত, শুনতে পাবে। 
পরম শুনতে পাচ্ছে শিশুর কান্না। ওদের দু’জনের ভালোবাসার বন্ধন! 
08th  September, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM

মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজের উপর চলন্ত গাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

09:57:00 AM

আজকের আবহাওয়া
সকাল আর রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা। দিনভর শীতের আর দেখা ...বিশদ

09:53:44 AM