Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। একটু পরেই ওরা ঘরে ফিরে যাবে। সেও ফিরে যাবে তার আপন ঘরে। নিরালা নিঝুম একটা ঘর। মাথার ওপর ছাদ থাকলেও সেই ঘরের কোনও আকর্ষণ নেই তার কাছে। একমাত্র ছেলেটা আজ ছ’মাস হল নিখোঁজ। কোথায় যে আছে, কী করছে কে জানে! পুলিস ডেকে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকটা বডি দেখিয়েছে, কিন্তু কোনওটাই নবারুণের নয়। সুভদ্রা জানে, নবারুণ মরতে পারে না। রোজ সে মনে মনে বলে, ‘ফিরে আয় নবারুণ। একবার মায়ের কথা ভাববি না? তোর বাবা চলে গেছে, তুইও যদি হারিয়ে যাস, আমি কী নিয়ে থাকব বল!’ 
দূরে ট্রেন আসছে। ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। কাঁধের ব্যাগটা ঠিক করে উঠে দাঁড়াল সুভদ্রা। তখনই তার বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল। চকিতে সে যাত্রীদের মধ্যে দেখল নবারুণের মুখ। ওই তো, ওই তো নবারুণ দাঁড়িয়ে আছে। সেই নীল টি শার্টটা দেখা যাচ্ছে।  এখানে ও কী করছে! নবারুণও কি ট্রেনে উঠবে? কয়েকজন উঠল। কয়েকজন নামল। স্টেশন অনেকটাই এখন ফাঁকা। নবারুণের দিকে তাকিয়ে দেখতে গিয়ে ট্রেন বেরিয়ে গেল। তা যাক। স্টেশনের নিভু নরম আলোয় সুভদ্রা এখনও তাকিয়ে নবারুণের দিকে। ওই তো স্টেশনের ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। চোখে সেই চশমাটা। ছোটবেলা থেকেই আকাশ দেখতে ভালোবাসত নবারুণ। বাবার কোলে চেপে রাতে আকাশে তারা দেখত। চোখে জল এসে গেল সুভদ্রার। আস্তে আস্তে কাছে গিয়ে ডাকল, ‘নবারুণ।’
নবারুণ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। বলল, ‘মা তুমি? এখানে?’
সেই প্রশ্নে কোনও অবাক বিস্ময় নেই। কোনও কৌতূহল নেই। যেন যন্ত্রের মতো একটা নিয়মরক্ষার প্রশ্ন! তাছাড়া সুভদ্রার মনে হল, নবারুণের গলাটা কেমন বদলে গেছে। কেমন একটা ঘড়ঘড়ে গলা। কোটরগত চোখের দৃষ্টিটাও কিছুটা ঘোলাটে, অন্ধকার এক গহ্বরের মতো। চোখের মণিটা পাথরের মতো স্থির। এই ছ’মাসে ছেলেটা কেমন বদলে গেছে! 
সুভদ্রা উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ একটা কাজে এসেছিলাম। তুই এখানে কেন?’
‘আমি তো এখানেই থাকি মা।’
‘কেন বাবা, কার ওপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে এলি? বাড়ি ফিরে চল বাবা।’
‘না মা, আমার পক্ষে আর ফেরা সম্ভব নয়। আমার অনেক কাজ বাকি। তুমি বরং আমার সঙ্গে চল। এখন থেকে আমার সঙ্গে থাকবে।’
‘কোথায় বাবা? বিয়ে করেছিস নাকি?’
নবারুণ বলল, ‘না মা একাই থাকি। আমি ওই অন্ধকার আকাশটার মতোই একা। চল মা।’
চোখে জল আসে সুভদ্রার। ভাবে, দেখাই যাক ছেলে কোথায়, কীভাবে  থাকে। তারপর ওকে জোরাজুরি করে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। সে পা বাড়ায় ছেলের পিছু পিছু। 
‘হেঁটে যেতে পারবে তো মা? এই একটু দূরে।’ 
অন্ধকার নেমে এসেছে। স্টেশন থেকে বেরিয়ে কিছুটা গিয়েই রাস্তা ছেড়ে একটা শুঁড়িপথ ধরল নবারুণ। এখানে পথ আরও অন্ধকার। দু’পাশে অসংখ্য গাছ, ছোট ছোট লতাগুল্ম, আগাছা। ঝুঁকে পড়ে সেগুলো নেমে এসেছে মাটির কাছাকাছি। মুখে, চোখে লাগছে ডালপালা।
সুভদ্রা বলল, ‘বড় অন্ধকার, পথ দেখা যাচ্ছে না। দাঁড়া টর্চটা জ্বালাই।’
‘দরকার নেই মা আমার সঙ্গে চল, আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি।’
তবু সুভদ্রা কাঁধের ব্যাগ হাতড়ে টর্চটা বের করে আনে। 
বোতাম টিপতেই টর্চের আলো জ্বলে ওঠে। কিন্তু মুহূর্তেই সেটা নিভে যায়। আবার চেষ্টা করে সুভদ্রা। টর্চের আলো আর জ্বলল না। 
অন্ধকারের এক মস্ত গহ্বরের মধ্যে সে হাঁটতে থাকে। সামনে ছায়া ছায়া নবারুণ। আর এক পা বাড়াতেই পায়ের ওপর দিয়ে সড়সড় করে কী যেন চলে গেল। অন্ধকারে দেখা না গেলেও সুভদ্রা বুঝল, একটা সাপ তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে গেল। ‘ও মাগো’ বলে চমকে উঠল সে। শিরশির করে উঠল গা’টা। প্রতিটি রোমকূপ যেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। 
ভিতর থেকে কে যেন বলছে, ‘আর এগস না সুভদ্রা, বিপদে পড়বি!’ 
মুহূর্তে থমকে গেলেও আবার মুচকি হেসে পা বাড়ায় সুভদ্রা। অন্ধকারেই হাসতে হাসতে সে ভাবে, ছেলের সঙ্গে যাচ্ছি, আবার ভয় কীসের?
আর এক পা বাড়াতেই সে আঁতকে উঠল। পিছন থেকে কে যেন তার শাড়ির নীচের অংশটা টেনে ধরেছে। আবার বুকটা কেঁপে উঠল। শরীরের সব রক্ত যেন চলকে উঠল। পরক্ষণেই সুভদ্রা বুঝতে পারল, কোনও কাঁটাতারে তার কাপড়টা আটকে গিয়েছে।  
নবারুণ বলে, ‘ভয় নেই মা, আমার সঙ্গে যতক্ষণ আছ, ততক্ষণ কোনও ভয় নেই। তুমি বরং আমার হাত ধর।’ 
ছেলের কথায় একটু ভরসা পেল সুভদ্রা। সে ছেলের হাতটা ধরল। কিন্তু পরক্ষণেই চমকে উঠল সে। কী পাথরের মতো ঠান্ডা হাত! যেমন শীর্ণ, তেমন শীতল! অস্বাভাবিক মনে হলেও সুভদ্রা ছেলের হাতটা ধরেই থাকল। কতদিন পর ছেলেটার দেখা পেয়েছে। কাল সকালে যেভাবে হোক ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সুভদ্রা বলল, ‘কোথায় যাচ্ছি বল তো? তুই থাকিস কোথায়? ঘন অন্ধকার জায়গা, এখানে থাকিস নাকি?’
‘আর একটু যেতে হবে মা।’ নবারুণের গলাটা শুনে গায়ে কেমন কাঁটা দিচ্ছে তার। দূর গ্রহের থেকে কাঁপতে কাঁপতে আসা এক ঘড়ঘড়ে স্বর। অস্বাভাবিক, ভয় জাগানো। 
‘কোন অভিমানে তুই এখানে পড়ে আছিস বাবা। বাড়ি ফিরে চল।’
কিছুক্ষণ নবারুণ কোনও উত্তর দিল না। অন্ধকারে মা ও ছেলে পথ ধরে হাঁটছে। গাছের ফাঁক দিয়ে নবমীর জ্যোৎস্নার একটা আভা আসছে মাত্র। তাতে ভালো করে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পায়ের নীচে শুকনো পাতার খসখস শব্দের এক অলৌকিক পরিবেশ। জোনাকিরাও যেন স্বতঃস্ফূর্ত নয়।
একটু পরে নবারুণ বলল, ‘আমাকে তো তুমি চিনতে পারনি মা।’ যেন অনেক দূরে থেকে ভেসে আসা কান্না জড়ানো এক অভিমানী স্বর। 
চমকে উঠে সুভদ্রা বলে, ‘চিনতে পারিনি? কী বলছিস তুই?’
দেখতে দেখতে ওরা একটা পুকুরের ধারে এসে দাঁড়াল। নবারুণ বলল, ‘মা এখানে একটু বসি। তুমিও বোসো। তোমার কোলে একটু মাথা দিয়ে শুই। কতদিন তোমার কোলে মাথা রেখে শুইনি। কতদিন তোমার হাতের মাখা ভাত খাইনি।’ 
অন্ধকারের মধ্যে ছেলের গলার স্বর শুনে সুভদ্রার মনে হল, নবারুণের চোখটা হয়তো ছলছল করছে। সুভদ্রা বসল পুকুর পাড়ে। কোলের উপর মাথা দিয়ে শুল নবারুণ। ছ’মাস ধরে সুভদ্রা ছেলের জন্য অপেক্ষা করেছে। আজ এই মুহূর্তটুকুর কথা ভেবে সে আবেগ বিহ্বল হয়ে উঠল। চোখ দিয়ে তার জল গড়িয়ে পড়ল।  
নবারুণ মায়ের গালে হাত দিয়ে জলের স্পর্শ পেয়ে বলল, ‘মা তুমি কাঁদছ?’ চোখের জল মুছিয়ে দিল সে।
নবারুণ বলল, ‘আমি তোমার কুসন্তান মা। মানুষ হতে পারিনি। বদসঙ্গে পড়ে বখে গিয়েছিলাম। তোমরা অনেক চেষ্টা করেছিলে, আমাকে মানুষ করার। আমি ভালো পথে ফিরতে পারিনি মা।’ 
সুভদ্রা ছেলেকে থামিয়ে দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল, ‘তুই কি কারও ভয়ে এখানে লুকিয়ে আছিস বাবা! ভয় নেই আমার সঙ্গে বাড়ি ফিরে চল, দেখবি সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।’ 
নবারুণ মায়ের হাতটা চেপে ধরে বলল, ‘না মা তা আর সম্ভব নয়।’
‘কেন সম্ভব নয় বাবা? সেরকম হলে আমরা উত্তরপাড়ার ফ্ল্যাটটা বিক্রি করে দিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকব। তুই নতুন করে জীবন শুরু করবি। একটা বিয়ে করবি।’
চুপ করে থাকে নবারুণ। মাথার ওপর ভাঙা চাঁদের প্রতিবিম্ব সামনের পুকুরের জলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। হাওয়ার ওঠানামায় সেটা টলছে। কাছে দূরে কোথাও আলোর চিহ্নমাত্র নেই। দূরের জঙ্গলের মধ্যেও ঝুপসি আঁধার। মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল দু’তিনটে বাদুড়। চামচিকের চামসি গন্ধ চারিদিকে। 
নবারুণ বলল, ‘মা তুমি আমাকে চিনতে পারনি!’ 
সুভদ্রা বলল, ‘তখনও তুই একথাটা বললি, এখনও বলছিস। আমি তোর কথা ভালো করে বুঝতে পারছি না বাবা।’ 
নবারুণ বলল, ‘দাঁড়াও, তোমাকে একটা জিনিস দেখাই।’ 
গায়ের নীল টি শার্টটা পেট পর্যন্ত তুলে নবারুণ বলল, ‘মা, এখানে তোমার হাতটা রাখ।’ 
অন্ধকারের মধ্যে ছেলের পেটের ওপর হাত রাখতেই চমকে উঠল সুভদ্রা। হাতটা যেন এক গভীর গর্তের মধ্যে ঢুকে গেল। হাতের মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে সাপের মতো অসংখ্য কী যেন সব। কিলবিল করছে পেটের ভিতরকার নাড়িভুঁড়ি। চটচটে কাদার মতো হাতে লেগে গেছে তরল কোনও পদার্থ। হাতটা বের করে আনার চেষ্টা করে সুভদ্রা! পারে না। তার হাত ধরে কেউ যেন টানছে। 
চমকে উঠে ‘আঁক আঁক’ করে ওঠে সুভদ্রা। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে হাতটায় টান মারে। হাতটা বেরিয়ে আসতেই আধো অন্ধকারে দেখল চাপ চাপ রক্ত। টপটপ করে পড়ছে মাটির ওপর। আরও আঙুলের মধ্যে জড়িয়ে থাকা অজানা পদার্থগুলো জীবন্ত হয়ে লকলক করছে। ভয়াবহ এক আতঙ্কে হামাগুড়ি দিয়ে ছিটকে গেল সুভদ্রা। অজানা ভয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল। কাঁপা কাঁপা গলায় সে বলল, ‘কে তুই?’
নবারুণ বলল, ‘আমি নবারুণ মা। তুমি এখনও আমাকে চিনতে পারছ না? তুমি জানো না মা, ওরা আমাকে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরেছে। আমার পেটে ভোজালি চালিয়ে ফালা ফালা করে দিয়েছে। আমার মুখটাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এমন করে দিয়েছিল যে, তুমিও আমার দেহটা সেদিন শনাক্তও করতে পারনি।’ 
বিহ্বল সুভদ্রা। এই মুহূর্তে তার অস্তিত্ব বলে যেন কিছু নেই। একটা শূন্যতার মধ্যে, একটা অনুভূতিহীন সময়ের মধ্যে সে নিশ্চল হয়ে গিয়েছে। সে কী করবে বুঝতে পারছে না। এই মুহূর্তে ছেলের অশরীরী ছায়ার সামনে বসে সে যেন আর তার মধ্যে নেই। পা, কোমর সব ভারী হয়ে গিয়েছে। চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সে। শুধু গোঙানির মতো একটা শব্দ করে কাঁদতে থাকে। বাৎসল্যের অনুভূতির সঙ্গে এখন মিশে যায় এক আধিভৌতিক আতঙ্ক। 
নবারুণ বলে চলে, ‘পাপাই, কান্তি, তুতুলরা আমাকে মেরেছে মা। ওদের সঙ্গে হিস্সা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। সিন্ডিকেটের টাকা ওরা নিজেরাই ভাগ করে খেতে চেয়েছিল। আমি তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রচুর মদ খাইয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে। তারপর এই ঝোপের মধ্য দিয়ে টেনে এনে পুকুরে ফেলে দিয়ে যায়। ওই দেখ মা, পুকুরের ওই কোণে।’
যন্ত্রের মতো সেদিকে তাকিয়ে দেখে সুভদ্রা। ঝাপসা আলোয় দেখে, কী যেন একটা ভাসছে। 
নবারুণ বলল, ‘ওটা আমারই লাশ মা।’ 
অসহ্য যন্ত্রণায় তার বুক ফেটে যাচ্ছে। সুভদ্রা হাত বাড়ায় ছেলের দিকে। ভাবে, কত যন্ত্রণা সহ্য করে ছেলেটা মারা গিয়েছে। সে তার কিছুই জানতে পারেনি। এই রাতে আবছা চাঁদের আলোয় এক বিহ্বল মুহূর্ত তৈরি হয়। আতঙ্কের ভিতরে মোচড় দিয়ে ওঠে যন্ত্রণা। নবারুণ হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের কাছে এগিয়ে আসে। সুভদ্রা নবারুণের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ‘তুই কত কষ্ট পেয়েছিলি বাবা!’ 
নবারুণ বলে, ‘আর কোনও কষ্ট নেই মা। তোমাকে দেখার পর থেকে আমি খুব আনন্দে আছি। আমার খুব ইচ্ছে, এবার আমি তোমার সঙ্গেই থাকব।’
সুভদ্রা বলল, ‘আমি তোর কাছেই থাকতে চাই রে বাবা। তোকে ছেড়ে আর কোত্থাও যাব না।’ 
নবারুণ বলে, ‘তাই থেকো মা। আর আমার কোনও কষ্ট থাকবে না।’ 
এক অদ্ভুত অনুভূতি যেন ঘিরে ধরে সুভদ্রাকে। বুকের ভিতর অসম্ভব এক আনন্দের অনুরণন, এক অলৌকিক শূন্যতার ভিতরে সে যেন উড়ে যায়। বোধহীন এক অস্তিত্ব তাকে গ্রাস করে। অজ্ঞান হয়ে ঘাসের ওপর পড়ে যেতে যেতে সুভদ্রা দেখল তীক্ষ্ণ কলরোলে আকাশটা ভরে গেল। ঝাঁক ঝাঁক বাদুড় উড়ে গেল এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। শিকারের সন্ধানে ডেকে উঠল পেঁচার দল। দূরে অসংখ্য শেয়ালের দল অস্থির হয়ে উঠল রক্তপানের ব্যাকুলতায়। সমস্ত ঘাসপোকা বেরিয়ে এল মাটি ফুঁড়ে। এক আদিম, আধিভৌতিক রাতের ভিতরে চমকে উঠে গড়িয়ে গেল বিবর্ণ ভাঙা চাঁদ।  
পরদিন সকালে দেখা গেল, সেই পুকুরের ধারে ভিড় জমেছে গ্রামবাসীদের। স্থানীয় থানার পুলিস এসেছে। এসেছে পুলিসের কুকুরও। এসেছে মিডিয়ার রিপোর্টাররা। কেউ কেউ সেখান থেকে লাইভ টেলিকাস্ট করতে শুরু করেছে। পুকুরের জলে সুভদ্রার ভেসে ওঠা লাশটা পুলিস তুলে নিয়ে গেল পোস্টমর্টেমের জন্য। 
25th  August, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM