Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ট্রাম যাপন
স্বপ্নময় চক্রবর্তী

তখন আমি হয়তো বা কেলাস থ্রি। পেটকাটি-মুখপোড়া-মাছরাঙা ঘুড়ি। থাকি ভাড়া বাড়িতে। গ্যালিফ স্ট্রিট ট্রাম ডিপো এবং বাগবাজার ট্রাম ডিপোর মাঝামাঝি একটা জায়গায়। আমার ঘুড়ি গুরু-ডাংগুলি গুরু টুটলেও থাকে আমাদের ভাড়া বাড়িতেই, অন্য ঘরে। ওর সঙ্গেই আমার ট্রাম অ্যাডভেঞ্চার। ও বলেছিল, তুইও চল আমার সঙ্গে। খেলা খেলব—চলতি কা নাম গাড়ি। ট্রামে চড়ব, ভাড়া লাগবে না। ডিপোতে যখন ট্রাম ঢোকে, একদিক দিয়ে ঢোকে, প্রায় একটা গোল চক্কর কেটে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। যখন ট্রাম ঢুকছে, কন্ডাক্টররা নেমে অফিসে চলে যান, ড্রাইভার ট্রামটি ঘুরিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যায়। এই তিরিশ-চল্লিশ সেকেন্ডের ট্রামে, চড়া ফ্রি। হ্যান্ডেল ধরে ঝোলো, নিষেধ করার কেউ নেই। চলতি ট্রাম থেকে নেমে যাও, কেউ কিছু বলবে না। চলন্ত ট্রামে ওঠাও যায়। গুরু দেখিয়ে দিয়েছে। প্রথমে হ্যান্ডেলটা ধরে, দশ-বারো পা ছুটে চল। তারপরই একটা লাফ। টারজান, টারজান। কী হিরো হিরো লাগে নিজেকে! বাগবাজার ডিপোয় ট্রাম ঢোকা ও বেরনোর পথের দৈর্ঘ্য আরও লম্বা। এক মিনিটেরও বেশি ট্রামে চড়া যায়। গ্যালিফ স্ট্রিটে ট্রাম বিজয়ের পর বাগবাজার ডিপোতে ট্রাম অভিযান চলতে থাকে। তখন আমি বেশ লায়েক। সঙ্গে টুটলে নেই, আমি একা। চলতিতে উঠছি, নামছি...। হঠাৎ আবির্ভূত হলেন এক সমাজবন্ধু। এরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বিবেকের আহ্বানে সমাজের হিত করে বেড়ান। এমনই এক হিতৈষী যুবা চলতি ট্রাম থেকে নামতেই খপ করে আমার হাত ধরে হাঁকলেন, ‘কোথায় থাকিস?’ আমি ভাবি, সাদা পোশাকে ট্রামের চেকার নয় তো! বলে ফেলি, আর করব না। হিতৈষী বলেন, তোকে আগেও দেখেছি। চলতি ট্রামে ওঠা-নামা করতে গিয়ে হাত-পা ভাঙলে তোর বাপের তো ঝামেলা। আর চাকার তলায় পা গেলে তো কেটে বাদ দিতে হবে। বাকি জীবন হাতে হ্যারিকেন, বগলে ক্র্যাচ। এমনটা হতে দেওয়া যায় না। চল তোর বাড়িতে।
সত্যিই আমাদের বাড়িতে এলেন সেই হিতৈষী সমাজবন্ধু। ভাগ্যিস, তখন বাবা ছিলেন না বাড়িতে। মা, ঠাকুমা ছাড়াও ছিলেন ছোটকাকু।
হিতৈষী বললেন, আপনাদের ছেলে এই কাণ্ড করে। একই সঙ্গে তা বেআইনি এবং বিপজ্জনক। ফুটবল খেলুক, বারবেল করুক, খামোখা ট্রামের পিছনে ছোটা কেন?
কাকু বললেন, ‘কান ধর, আর কখনও এরকম করবি না। নো ট্রাম।’
আমার ছোটকাকু আরও বন্ধুবান্ধব জুটিয়ে এনে বাড়িতে তাস খেলতেন। তাস বিলি করার পর এক একজন কী সব হাঁকতো। ওয়ান হার্ট, টু ক্লাব এইসব আর কী। এইসব হাঁকাহাঁকির মধ্যে কাকু বা কাকুর বন্ধুরা মাঝে মাঝেই চেঁচিয়ে উঠত, নো ট্রাম। জানি তো, নো ট্রাম। আর তো চলতি ট্রামে উঠিনি। তা হলে কেন আবার নো ট্রাম? আমাকে শোনাবার জন্য? নাকি নিজেরাও বার বার শপথ করছেন! ট্রামে চড়া কী এতই খারাপ? বড় হয়ে বুঝেছি, ওঁরা ট্রাম বললেও আসলে তা ট্রায়াম্ফ। ব্রিজ খেলার একটা জার্গন। হয়তো তাঁরাও জানতেন না। তখন কয়েকদিন নো ট্রাম পর্ব চললেও ট্রামই ট্রায়াম্ফ করল। মানে বিজয়। শাড়ির সেরা তাঁতের শাড়ি, গাড়ির সেরা ট্রাম গাড়ি—দু’টোই বাঙালির একান্ত।
ট্রামের দু’টি কামরা। সামনে ফার্স্ট ক্লাস, পিছনের অংশ সেকেন্ড ক্লাস। সবুজ রেক্সিনে মোড়া গদি আঁটা চেয়ার শোভিত ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট ছিল গোলাপি রঙের। সেকেন্ড ক্লাসে কাঠের পাতি লাগানো বেঞ্চি, টিকিটের রং হলুদ। ১৯৬৫ সাল নাগাদ ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট ছিল ৮ পয়সা, সেকেন্ড ক্লাস ৬ পয়সা। এর আগে দীর্ঘদিন সেকেন্ড ক্লাসে পাঁচ এবং ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া ছিল ছ’পয়সা। ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ট্রাম কোম্পানির ভয় কাজ করত। ১৯৫৩ সালে ১৩টি ট্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার কথা মনে পড়ত হয়তো।
আমার যখন ক্লাস এইট হচ্ছে, বাবা বাগবাজার অঞ্চলের স্কুল থেকে সরিয়ে ভর্তি করে দেন হেয়ার স্কুলে। স্কুলে যেতাম পাঁচ নম্বর ট্রামে চড়ে। প্রথম ক’টা দিন ড্রাইভারের কারিকুরি দেখার জন্য ফার্স্ট ক্লাসের এক্কেবারে সামনের সিটে গিয়ে বসতাম। ট্রামের স্টিয়ারিং থাকে না। একটা সরু টেবিলের মত একটা জিনিসের উপর একটা হাতলের মত কী যেন থাকে। সেটা আবার পেতলের। ভারী আশ্চর্য লাগত। ট্রাম ছিল ব্রিটিশ কোম্পানির, ওদের আদব কায়দাই আলাদা। ড্রাইভার-কন্ডাক্টরদের পোশাক আলাদা আলাদা। কন্ডাক্টরদের বুকের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া একটা চামড়ার বেল্টের উপর ফিট করা একটা যন্ত্র। টিকিট ঢুকিয়ে ফটাক করে ফুটো করে দিত। অনেকেই ট্রামের টিকিট জমাতাম। পাঁচটা ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট ছিল দশটা সেকেন্ড ক্লাসের  সমান। সিগারেট প্যাকেটের তাস দিয়ে ‘চিপ্পু’ খেলার জরিমানা দিতাম। ‘চিপ্পু’ খেলার সংবিধান অনুযায়ী, চারমিনার আর পাসিং শো সিগারেটের প্যাকেট ছিল সবচেয়ে সস্তা। ক্যাপস্টান, উইলস, গোল্ড ফ্লেক ছিল দামি। কাঁচি, ক্যামেল ছিল মাঝামাঝি। সিগারেট প্যাকেটের অভাব হলে ট্রামের টিকিটেও ক্ষতিপূরণ হতো। বিনিময় মূল্য আবার অঞ্চল বিশেষে পাল্টে যেত। ট্রামের টিকিট মিলত কলকাতায়। ফলে মফঃস্বলের চিপ্পুতে ট্রাম টিকিট গ্রাহ্য হতো না।
ট্রামে মাঝে মাঝে চেকার আসত। মাথায় টুপি।  দেখেই সম্ভ্রম জাগত। বাসের ড্রাইভার কন্ডাক্টররা কিন্তু ট্রামের মতো সমীহ আদায় করতে পারত না। ট্রামের মাহাত্ম্য আলাদা।
সেই সময়ে বাস-ট্রামের টিকিট রিস্টওয়াচের তলায় গুঁজে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। আমাদের এক আত্মীয় ছিলেন, একটু বড়লোক বড়লোক ভাব। রিস্টওয়াচের তলায় গোঁজা থাকত গোলাপি টিকিট। ভাবখানা হল— দেখছ, আমি ফার্স্ট ক্লাসেই চড়ি।
বাবা ফার্স্ট ক্লাসে চড়তেন না। দু-এক পয়সার তফাৎ, তবুও। সেকেন্ড ক্লাসে চড়েও তো একই জায়গা যাওয়া যায়। তবে কেন পয়সা বেশি দেব? গদি-চেয়ার আর ফ্যানের হাওয়ার জন্য?
স্কুলে যাবার সময় তো ট্রামের ডিপো থেকে উঠতাম। বসেই যেতাম। সেকেন্ড ক্লাসে। কিন্তু ফেরার সময় অন্য কায়দা ছিল। ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসে থাকত দুটো দরজা। কন্ডাক্টর একজন। ট্রামে ওঠার সময় দেখে নিতে হতো কন্ডাক্টার সাহেব কোথায় অবস্থান করছেন। যদি পিছনের দিকে থাকেন, তখন সামনের দিকে ওঠা বিধেয়, সামনে থাকলে পিছনে। কোনও কোনও কন্ডাক্টর এসব দেখে দ্রুত চলে আসার উপক্রম করলেই চলন্ত ট্রাম থেকে নেমে যাওয়া। এইভাবে কিছু পথ অতিক্রম করতে পারলেই কাজ হাসিল। মানে, দশ পয়সা বাঁচল। সেই পয়সায় এক প্লেট ঘুগনি বা একটা বড় সিঙ্গাড়া। কিছুদিন পর নতুন ডিজাইনের ট্রাম এল। একটাই বড় দরজা। এই ট্রামের সঙ্গে দুই দরজাওলা ট্রামও চলত। এক দরজার ট্রাম ছিল ভীষণ অপছন্দের। অপেক্ষা করতাম দু’দরজাওলা ট্রামের জন্য। ধীরে ধীরে সেই ট্রাম উঠে গেল।
হাওড়ায় দু’কামরার ট্রাম ছিল না। একটি কামরা, দু’পাশে দরজা। উত্তরমুখী ট্রামে ড্রাইভার উত্তরদিকে দাঁড়িয়ে চালাতেন। সেই ট্রাম দক্ষিণমুখী হলে ড্রাইভার সাহেবের অবস্থান বদলে যেত। কলকাতায় দিনের প্রথম ট্রাম চলত খুব ভোরে। যাঁদের বাড়ি ট্রাম লাইনের পাশে, তাঁদের ঘুম ভাঙত ট্রামের শব্দে। তারও আগে ছিল জলের ট্রাম। এক কামরার ট্রামটি আদতে একটি জলের ট্যাঙ্ক। সামনে জলের প্রস্রবণ। লাইন ভেজাবার জন্য ছিল এই ট্রাম।
প্রথম দিকে ঘোড়ায় টানতো। ঘোড়ার জল খাওয়ার জন্য বড় বড় লোহার পাত্র কিছুদিন আগেও দেখেছি চিৎপুর, খিদিরপুরে। পরে কিছুদিন চলে বাস্পীয় ইঞ্জিনের ট্রাম। ১৯০২ থেকে কয়েকটি রুটে চালু হল ইলেকট্রিক ট্রাম। ট্রাম বাঙালির অতি প্রিয় বাহন ছিল। যে রাস্তায় ট্রামের ব্যবস্থা আছে, সেখানে কেউ বাসে উঠতেই চাইতেন না।
আকাশবাণীতে কাজে ঢুকেছি, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ততদিনে অবসর নিয়েছেন। মাঝে মাঝে আসতেন। ওঁকে ধর্মতলা ট্রাম ডিপো পর্যন্ত এগিয়ে দিতেন কেউ কেউ। উনি ট্রাম ছাড়া অন্য কিছুতে চড়তে চাইতেন না। ওঁর কাছে শুনেছি, গাস্টিন প্লেসের অফিসে আবার বসার সিট ছিল না। অনেকেই ডালহৌসির ট্রামডিপোতে অতিরিক্ত ট্রামে বসতেন।
ক্লাস টেন। ট্রামে একটি মেয়েকে দেখতাম, লাল স্কার্ট। ঠনঠনিয়ার কাছে কোনও স্কুলে পড়ত। শ্যামবাজার থেকে উঠত। ওকে দেখেই আমার প্রথম কবিতা লেখা। ট্রামেই—
‘ও মেয়ে, তুই আর একটু বোস ট্রামে
এখন তো সব, হেথায় হোথায় নামে
আর দু’এক স্টপ পরেই আমার পালা
ততক্ষণ তুই রূপের আগুন জ্বালা।’
26th  February, 2023
স্বাধীনতার পথ

৭৯ বছর আগে আজকের দিনেই মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রথম পা রাখে নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কাহিনি তুলে ধরলেন সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

19th  March, 2023
রূপকথার জন্ম

চতুর্দিকে যেন একটা সমুদ্রের গর্জন চলছে। স্লোগানে, আবেগে আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত এয়ারপোর্ট চত্বর। কর্নেল প্রেম সেহগলের কানে আসছে কিছু বিক্ষিপ্ত উচ্চকিত মন্তব্য। এসেছেন... এসেছেন... আর চিন্তা নেই... এবার আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ...। বিশদ

19th  March, 2023
ইউএফও রহস্য

পোর্টসমাউথের বেটি-বার্নি, নিমিটজের পাইলট বা পেন্টাগন—সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে ইউএফওদের। তাও সংশয় কাটে না। প্রশ্ন ওঠে, এ বিশ্বে ভিনগ্রহীদের উঁকিঝুঁকি কেন স্পর্শকাতর সামরিক ঘাঁটিগুলির আশপাশে? মানুষের প্রতিরোধের বহর মাপতেই কি ঘনঘন আগমন তাদের? নাকি কোনও অরূপরতনের খোঁজ মিলেছে? উত্তর খুঁজলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

12th  March, 2023
ভারতের 
অজানা উড়ন্ত বস্তুরা
সৌম্য নিয়োগী

১৯৫৭। স্বাধীনতা সবে ১০ বছরে পা দিয়েছে। মানভূম তখনও পুরোপুরি বিহারে। খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল। মূলত বাঙালিদেরই দাপট চলে। গণ্ডগ্রাম কাটোরিও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে খানিক দূরে রয়েছে অভ্রের খনি। সেটির মালিক ঘোষবাবুকে গ্রামের প্রায় কেউই দেখেননি। কলকাতায় থাকেন। বিশদ

12th  March, 2023
মধুর বসন্ত এসেছে
ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত

‘পঞ্চশর তোমারই এ পরাজয় জাগো জাগো অতনু’—চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের এই লাইন সকলেরই মনে আছে। কামদেবের আরাধনা করে নিজের মধ্যে রূপান্তর এনেছিলেন মণিপুর নৃপ দুহিতা চিত্রাঙ্গদা। কুরূপা থেকে হয়ে উঠেছিলেন সুরূপা। কামদেবকে আরাধনার দিন হল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। বিশদ

05th  March, 2023
বাবু কলকাতার রঙের উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

ঊনবিংশ শতকে বাবু সংস্কৃতির কলকাতায় রং লেগে থাকত সারা বছর। চুনোট ধুতি পরা বাবুদের মৌতাতের রংয়ে কী আর খামতি ছিল? ঘুড়ির লড়াই, বেড়ালের বিয়ে, বুলবুলির লড়াই থেকে পায়রা ওড়ানো, বাঈ নাচ, বাগানবাড়ি, এসব ঘিরেই বাবু জীবনে অষ্টপ্রহর লেগে থাকত মৌতাতের রং। বিশদ

05th  March, 2023
কৃষ্ণপ্রেমের রঙে মাতোয়ারা জীবন
মাধব মুরারি দাস

(মিখাইল মেশানিন)

কুয়াশা কাটছে। বসন্তের আলো ফুটছে ধীরে ধীরে। মন্দির চত্বরে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি ভক্তরাও। এবার একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে বের হবে মিছিল। নগর পরিক্রমার প্রস্তুতি চলছে। খোল-করতালের সুর মিশছে আকাশ-বাতাসে। বিশদ

05th  March, 2023
নস্টালজিয়ার ১৫০
হরিপদ ভৌমিক

পালকির যুগে কলকাতার পুলিস পালকি বেহারাদের উপর কিছু নতুন নিয়ম চালু করলে, প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট করে কলকাতাকে অচল করে দিয়েছিল। ১৮২৭ সালের এই ধর্মঘট ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মঘট। এই সময় ব্রাউনলো নামে এক সাহেব নিজের পালকির ডান্ডা দু’টি খুলে নিয়ে, তলায় চারটি চাকা লাগিয়ে এক ঘোড়ায় টানা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে ফেললেন। তাঁর নামেই এই গাড়ি নাম হয় ‘ব্রাউন বেরি’ গাড়ি। এই সময় থেকে কলকাতায় ঘোড়ার গাড়ির যুগের সূচনা!
  বিশদ

26th  February, 2023
একুশে   ফেব্রুয়ারি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা কথা স্পষ্ট করে বলছি শুনুন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে ঊর্দু। অন্য কোনও ভাষা নয়। এই নিয়ে কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝবেন সে রাষ্ট্রের শত্রু। একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা ছাড়া কোনও জাতির পক্ষে একই সূত্রে গ্রোথিত হয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব নয়। বিশদ

19th  February, 2023
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা...
পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো

স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত দেশজুড়ে অবলুপ্ত অন্তত শখানেক ভাষা-উপভাষা। সঙ্কটের মুখে আরও ৩০টি। যে কোনও দিন হারিয়ে যেতে পারে তারা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম আমার মাতৃভাষা, টোটো। মাত্র হাজার দেড়েক মানুষের কথা বলার মাধ্যম। বিশদ

19th  February, 2023
তপ্ত তাওয়াং
মৃন্ময় চন্দ

‘সালামি স্লাইসিং’ কায়দায় গভীর রাতে অরুণাচলের ‘ইয়াংসে’কেই কেন বারবার টার্গেট করছে চীন? বাষট্টির ‘নুরানাং যুদ্ধে’ যশবন্ত-সেলা-নুরার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধকে চূর্ণ করেও তারা অরুণাচলের দখল নিতে পারেনি কেন? চীন-ভারত মন কষাকষির আড়ালে কি অন্য রহস্য লুকিয়ে?  বিশদ

12th  February, 2023
প্রতিভাত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনকে যদি একটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে তাঁর কবিতার একটি পংক্তিকেই বেছে নিতে হবে। সেটি হল, ‘আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু।’ কবির এই আত্মবিলাপের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে তিনি কী স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কী যন্ত্রণাময় পরিণতির দিকে ভাগ্যদেবতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। বিশদ

05th  February, 2023
দেবতার গ্রাস

দুই ছেলেকে হারানো পূর্ণিমার ক্ষোভ বর্ষিত হয় আত্মঘাতী উন্নয়নের দিকে। চিৎকার করেন, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি, এই সব কাজ জীবনে শেষ হবে না।’ সে ১০ বছর আগের কথা। সেই অভিশাপই কি ফলে গেল যোশিমঠে? লিখলেন 
সমৃদ্ধ দত্ত
বিশদ

29th  January, 2023
নেতাজির পূর্বপুরুষদের সন্ধানে
ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী

ব্রিটিশ শাসনকাল। পরাধীন ভারত। সেই পরাধীন রাষ্ট্রের এক ‘অঘোষিত’ রাষ্ট্রদূতের মতোই ইউরোপের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যোগ দিচ্ছেন একের পর এক স্থানীয় সভায়। কথা বলছেন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। বিশদ

22nd  January, 2023
একনজরে
হরিপাল থানার অন্তর্গত নালিকুল পশ্চিম পঞ্চায়েত অফিসে চুরির ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছাড়াল শুক্রবার। শাসক দলের দাবি, পঞ্চায়েতকে বদনাম করতে চক্রান্ত করছে বিরোধীরা। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েতের এক কর্মী অফিস খুলতে এসে দেখেন জানালা ভাঙা। ...

মোদি সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুক্রবার সংসদে এমনই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যার ফলে রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ...

সোনার গয়না ও কাঁসার বাসন পালিশ করার নামে অলঙ্কার হাতানোর ঘটনায় এবার বিহার যোগ মিলল। বাঁকুড়া জেলার একাধিক থানা এলাকায় এমন ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পুলিসের। অবশেষে নাকা চেকিং করে বিহার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে ...

শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কালদীঘি এলাকার একটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি হয়। তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, ওই বাড়িতে থাকেন ওয়ারেশ মিঞা।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৫৭০: পোপ পঞ্চম পায়াম কর্তৃক ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ ধর্মচ্যুত হন
১৫৮৬: সম্রাট আকবরের সভাসদ বীরবলের মৃত্যু
১৭৫৪: ইংরেজ কবি উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু
১৮৪৩: টেমস নদীর বিখ্যাত সুড়ঙ্গ খোলা হয়
১৮৬২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়
১৮৯৬: আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার প্রথম স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়
১৮৯৮: স্বামী বিবেকানন্দ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে দীক্ষান্তে নিবেদিতা নামকরণ করেন
১৯২৭: হকি খেলোয়াড় লেসলি ক্লডিয়াসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেতা ফারুক শেখের জন্ম
১৯৮৪: ক্রিকেটার অশোক দিন্দার জন্ম
২০১০: ভারতীয় বাঙালি আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৪৮ টাকা ৮৩.২২ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৩৬ টাকা ১০২.৮০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৯ টাকা ৯০.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৭,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী ২৬/৪৮ অপরাহ্ন ৪/২৪। ভরণী নক্ষত্র ১৯/৬ দিবা ১/১৯। সূর্যোদয় ৫/৪০/২৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪১ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ পুনঃ ১২/৬ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৪/৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১১ গতে উদয়াবধি। 
১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী রাত্রি ৭/৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৩/৫৯। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১২ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৫ মধ্যে ও ৪/১২ গতে ৫/৪১ মধ্যে। 
২ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মল্লারপুরে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা, ধৃত ১
বীরভূমের মল্লারপুর থানার জুবুনি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে ...বিশদ

03:05:16 PM

সিভিক ভলান্টিয়ারদের এক্তিয়ার নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা
রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব কী! প্রশাসনিক ও আইনগত দিক দিয়ে ...বিশদ

02:37:00 PM

প্রশ্ন করা থামাব না, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রাহুল
গতকাল সাংসদ পদ খারিজের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস ...বিশদ

01:29:00 PM

আদালতে ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক-সাংসদদের সদস্যপদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
কোনও অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দু’বছর বা তার ...বিশদ

12:56:34 PM

দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন সিউড়ির ইনস্পেক্টর মহম্মদ আলি

12:48:16 PM

আজ সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী
সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি ...বিশদ

12:10:06 PM