Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নেতাজির পূর্বপুরুষদের সন্ধানে
ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী

ব্রিটিশ শাসনকাল। পরাধীন ভারত। সেই পরাধীন রাষ্ট্রের এক ‘অঘোষিত’ রাষ্ট্রদূতের মতোই ইউরোপের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যোগ দিচ্ছেন একের পর এক স্থানীয় সভায়। কথা বলছেন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। তুলে ধরছেন ব্রিটিশ ভারতের প্রকৃত চেহারা। লক্ষ্য একটাই—শাসকের অত্যাচার, শোষণের ইতিবৃত্ত, জ্বালা-যন্ত্রণার কাহিনী জনসমক্ষে আনা। ভারতের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যপূরণেই শুরু তাঁর ‘একলা চলো রে’ অভিযান। পথে চলতে চলতে নিজের জন্মভূমির সযত্নে লালিত ঐতিহ্যের শিকড় সন্ধানের বার্তা দিয়েছেন সুভাষচন্দ্র। প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে একান্তে লিপিবদ্ধ করেছেন পৈতৃক গ্রাম ও পূর্বপুরুষদের কথা।
স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের তাড়া ছিল। তা সত্ত্বেও অস্ট্রিয়ায় বসে মাত্র ১০ দিনে পরিকল্পিত আত্মজীবনী লেখার সূচনা করেন সুভাষচন্দ্র। সম্পূর্ণ হয়েছিল মাত্র ন’টি পরিচ্ছদ। তা শেষ করার অবকাশ কিংবা সুযোগ, কোনওটাই হয়তো মেলেনি। অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়কের সেই অসমাপ্ত আত্মজীবনীর নাম ‘অ্যান ইন্ডিয়ান পিলগ্রিম’ বা ‘ভারত পথিক’।
বইটির সূচনা খসড়ায় রয়েছে ১৩টি অধ্যায়। ১৯৩৭ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত লেখা। সুভাষচন্দ্রের বংশের মোট ২৭ প্রজন্মের খোঁজ মেলে সেখানে। জানা যায়, সংস্কৃত মূল শব্দ ‘ভাসু’ কীভাবে কথ্য বাংলায় ‘বোস’ হয়ে উঠল।
বসুদের দক্ষিণ-রাঢ়ী (দক্ষিণ বাংলায়) গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দশরথ বসু। তাঁর দুই পুত্র। প্রথমজন, পরম বসু চলে যান পূর্ববঙ্গে। সেখানেই বসবাস শুরু করেন। অপর পুত্র কৃষ্ণ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যাননি। দশরথ বসুর প্র-প্রপৌত্র মুক্তি বসু চলে এসেছিলেন মাহীনগর গ্রামে। সেখানেই তাঁরা বিখ্যাত হয়ে ওঠেন বসু পরিবার নামে। কলকাতা থেকে ১৪ মাইল দক্ষিণে ছিল এই মাহীনগর। কায়স্থ সমাজের মহাসম্মেলনের কারণে অঞ্চলটি প্রায় তীর্থস্থানের মর্যাদা পেয়েছিল।
সেই সময় বাংলায় চলছে সুলতানি শাসন। আদি গঙ্গার উত্তাল স্রোত বয়ে যেত এই অঞ্চল দিয়ে। এই পথেই ভক্তিতরঙ্গের ধারা বয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব। ইতিহাসের গর্ভে তখন রচিত হচ্ছিল আর এক মহামানবের পূর্বপুরুষদের উদ্ভাস পর্ব। কেই বা সেদিন জানত, ভবিষ্যতে সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সহ অখণ্ড ভারতবর্ষে দেশপ্রেমের বাঁধভাঙা তরঙ্গে তিনি কাঁপিয়ে দেবেন ২০০ বছরের গোলামির ভিত!
নেতাজির পূর্বপুরুষদের বাসস্থানের অদূরে প্রবাহিত হতো গঙ্গা। লৌকিক রীতি মেনে তখনকার গঙ্গাগর্ভের পুকুরগুলিকে আজও গঙ্গা বলা হয়। যেমন—বোসের গঙ্গা, করের গঙ্গা ইত্যাদি। কবি কৃষ্ণরামের ‘রায়মঙ্গল’ গ্রন্থে ফিরে পাওয়া যায় সেই অতীতকে—
‘সাধুঘাটা পাছে করি    সূর্যপুর বাহে তরী
চাপাইলা বারুইপুরে আসি।
বিশেষ মহিমা বুঝি     বিশালাক্ষী দেবী পূজি
বাহে তরী সাধু গুণরাশি।।
মালঞ্চ রহিল দূর,    বাহিয়া কল্যাণপুর
কল্যাণ-মাধব প্রণমিল।
বাহিলেক যত গ্রাম,    কি কাজ করিয়া নাম
    বড়দহ ঘাটে উত্তরিল।।’
(রায়মঙ্গল। ৪৯।)
গঙ্গার স্রোত রুদ্ধ হওয়ার পর ওই অঞ্চলে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে মহামারী জ্বর (অনুমান করা যায় আজকের ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি)। কেউ কেউ গ্রাম, বাড়ি ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। নেতাজির পূর্বপুরুষ নগেন্দ্রনাথ বসুর বর্ণনায় জানা যায়—‘মাহীনগরের উপকণ্ঠ কোদালিয়া ও তৎনিকটস্থা চিংড়িপোতা, রাজপুর, হরিনাভি, লাঙ্গল রেড়ে প্রভৃতি স্থানে বিদ্যাবাচস্পতি প্রভৃতি প্রাতঃস্মরণীয় পণ্ডিত বংশধরগণের স্মৃতি আজও উজ্জ্বল রহিয়াছে। ওই সকল স্থানে শত শত খ্যাতনামা পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করিয়া গিয়াছেন; ওই সকল পণ্ডিতগণের সমাগমে দাক্ষিণাত্য বৈদিক সমাজে কোদালিয়া কাশীপুরি সদৃশ বলিয়া কীর্তিত হইয়াছিল। এ সম্বন্ধে এইরূপ একটি শ্লোক শুনা যায়—
কোদালিয়া পুরী কাশী গোঘাটা মণিকর্ণিকা।
তর্ক পঞ্চাননো ব্যাসো রামনারায়ণঃ স্বয়ং।।
বলিতে কি, যে বিদ্যাবাচস্পতির বংশে রামনারায়ণ তর্ক পঞ্চানন জন্মগ্রহণ করেন, সেই বংশেই সোমপ্রকাশ সম্পাদক দ্বারিকানাথ বিদ্যাভূষণ জন্মলাভ করিয়াছিলেন।’
কোদালিয়া নামের নেপথ্যে আছে জনশ্রুতি। পুকুর খননের পর প্রচুর পরিমাণ কোদাল এই জায়গায় জড়ো করে রাখা হতো। নেতাজি সুভাষচন্দ্র অবশ্য পূর্বপুরুষের গ্রাম কোদালিয়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মসমাজের প্রবক্তা পণ্ডিত আনন্দ বেদান্তবাগীশ, পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, ভারতচন্দ্র শিরোমণি, বিখ্যাত চিত্রকর কালীকুমার চক্রবর্তী, সঙ্গীতজ্ঞ অঘোর চক্রবর্তী, কালীপ্রসন্ন বসু এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থানের নেপথ্যে। পাশাপাশি কয়েকটি দশক ধরে এই অঞ্চল জাতীয় আন্দোলনেও বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করে। হরিকুমার চক্রবর্তী ও সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি ১৯৩৬ সালে দেউলি বন্দিশিবিরে প্রাণত্যাগ করেন) মতো প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা এবং কমরেড এম.এন রায়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুরুষ এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ফিরে যাই, নেতাজির পূর্বপুরুষদের নানা কীর্তিগাথায়। দশরথ বসুর একাদশতম বংশধর মহীপতি। তিনি ছিলেন অসাধারণ বুদ্ধিমান। যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ায় তদানীন্তন বাংলার শাসক অর্থ ও যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ‘সুবুদ্ধি খাঁ’ উপাধিতেও মহীপতিকে ভূষিত করেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী সুলতান। সেই সময়কার প্রথা অনুযায়ী ভূ-সম্পত্তি বা জায়গির প্রদান করা হতো। সুবুদ্ধিপুর গ্রাম আজও সেই স্মৃতি বহন করছে বলে মনে করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলার মুসলিম শাসকরা তাঁদের উপাধিতে সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করতেন। কিন্তু, খাঁ অবশ্য খাঁটি মুসলিম উপাধি।
মহীপতির চতুর্থ পুত্র ইশান খাঁ। তিনিও রাজসভায় পিতার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখেন। ঈশান খাঁয়ের তিন পুত্রই রাজ উপাধি লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় পুত্র গোপীনাথ বসু তথা পুরন্দর খাঁ তৎকালীন সুলতান হুসেন শাহ কর্তৃক অর্থমন্ত্রী ও নৌ সেনাপতি নিযুক্ত হন। তাঁর নামেই মাহীনগরের কাছের পুরন্দরপুর গ্রাম। ওই অঞ্চলটি জায়গির হিসেবে পেয়েছিলেন। তাঁর বাগানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মালঞ্চ গ্রাম।
সমাজ সংস্কারক হিসাবে পুরন্দর খাঁয়ের খ্যাতি ছিল। বল্লাল সেনের আমল থেকে চলে আসা কুলীন-মৌলিক দূরত্ব ঘোচাতে সক্রিয় হন। অসবর্ণ বিবাহ সংস্কারের জন্য এক লক্ষ কায়স্থের সমাবেশ ঘটান তিনি। উপস্থিত অভ্যাগতদের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য এক মাইল দীর্ঘ একটি দিঘি খনন করেছিলেন। তারই অবশেষ অংশ এখন ‘খানপুকুর’ নামে পরিচিত। পুরন্দর খাঁ পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। বৈষ্ণবদের ভক্তিমূলক পদাবলীর রচয়িতাদের মধ্যে তাঁকে গণ্য করা হয়।
সুভাষচন্দ্রের পিতামহ ছিলেন হরনাথ বসু। তাঁর চার পুত্র। যদুনাথ চাকরি করতেন ইম্পিরিয়াল সেক্রেটারিয়েটে। অধিকাংশ সময়ই থাকতেন সিমলায়। কেদারনাথ কলকাতার বাসিন্দা হন। দেরবেন্দ্রনাথ সরকারি শিক্ষাদপ্তরে অধ্যক্ষের পদে উন্নীত হন। এবং জানকীনাথ শেষ জীবনে চলে আসেন কলকাতায়। তাঁরই পুত্র সুভাষচন্দ্র। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে শাক্ত মতাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও হরনাথ ছিলেন ধার্মিক ও একনিষ্ঠ অহিংস স্বভাব বৈষ্ণব। বাড়িতে দুর্গাপুজোয় পাঁঠাবলি পর্যন্ত বন্ধ করেছিলেন।
নেতাজির বাবা জানকীনাথ বসু ১৮১০ সালের ২৮ মে কোদালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে ছিলেন জয়নগর বিদ্যালয়ে শিক্ষক। সেখান থেকে একদা কটক মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম নির্বাচিত বেসরকারি চেয়ারম্যান, গর্ভমেন্ট প্লিডার, পাবলিক প্রসিকিউটর, রাষ্ট্রীয় আইনসভার সদস্য, এমনকী রায়বাহাদুর উপাধিও পান। তা সত্ত্বেও নানা সমাজসেবা মূলক সংখ্যার পাশাপাশি জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। ১৯১৭ সালে জেলাশাসকের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে শেষ দু’টি পদে ইস্তফা দেন। ব্রিটিশদের দমন নীতির বাড়াবাড়ি শুরু হলে ১৯৩০-এ রায়বাহাদুর খেতাব পর্যন্ত বর্জন করেন।
নেতাজির মা প্রভাবতী দেবী ছিলেন তিনি হাটখোলা দত্ত পরিবারের কন্যা। জানকীনাথের থেকে নয় বছরের ছোট। দু’জনেই ছিলেন ধার্মিক এবং দানশীল। ১৯১২ সালে শ্যামনাথ ভট্টাচার্যের কাছে শাক্ত মন্ত্রে দীক্ষিত হন। কোদালিয়াতে তিনি উন্মত্ত ঠাকুর বলে পরিচিত ছিলেন। গুরুর মৃত্যুর পর অনুকূলচন্দ্রের কাছে দীক্ষা নেন জানকীনাথ ও প্রভাবতী দেবী। কোদালিয়ার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত আন্তরিক। জানকীনাথ তাঁর মা ও বাবার নামে যথাক্রমে কামিনী দাতব্য চিকিৎসালয় ও হরনাথ লাইব্রেরি স্থাপন করেন। পরিচারক ও পোষ্যদের জন্য অবসর ভাতারও ব্যবস্থা করে যান। ১৯৩৪ সালে কটক আদালতে সওয়াল করতে করতে হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। তারপর থেকে কলকাতার বাড়িতে পুত্র ডাঃ সুনীল চন্দ্রের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আর সুস্থ হননি। ওই বছরই ২ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান জানকীনাথ। তাঁর সুভাষ তখন ইউরোপ থেকে করাচি বিমানবন্দরের পথে।
১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্দামানে অখণ্ড ভারতের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছিলেন আজাদ হিন্দের সর্বাধিনায়ক। ঠিক তার আগের রাতে নিরুদ্দেশের পথিক ছেলে সুভাষের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে অন্য লোকে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁর শয্যাশায়ী মা। কলকাতার সেই এলগিন রোডের বাড়িতেই।
পূর্বপুরুষদের সমস্ত গুণাবলী একসঙ্গে প্রকট হয়েছিল একমাত্র সুভাষচন্দ্রের মধ্যেই। জাতির জন্য পরাধীনতার গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তাই ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরকালের, চিরদিনের নেতাজি। ধর্মে, কর্মে, ত্যাগে, সাহসে, সেবায়, শিক্ষায় এবং মনীষাদীপ্ত প্রজ্ঞায় এক এবং অদ্বিতীয়।
লেখক: নেতাজি গবেষক
ছবি সৌজন্য: লেখক
22nd  January, 2023
স্বাধীনতার পথ

৭৯ বছর আগে আজকের দিনেই মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রথম পা রাখে নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কাহিনি তুলে ধরলেন সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

19th  March, 2023
রূপকথার জন্ম

চতুর্দিকে যেন একটা সমুদ্রের গর্জন চলছে। স্লোগানে, আবেগে আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত এয়ারপোর্ট চত্বর। কর্নেল প্রেম সেহগলের কানে আসছে কিছু বিক্ষিপ্ত উচ্চকিত মন্তব্য। এসেছেন... এসেছেন... আর চিন্তা নেই... এবার আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ...। বিশদ

19th  March, 2023
ইউএফও রহস্য

পোর্টসমাউথের বেটি-বার্নি, নিমিটজের পাইলট বা পেন্টাগন—সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে ইউএফওদের। তাও সংশয় কাটে না। প্রশ্ন ওঠে, এ বিশ্বে ভিনগ্রহীদের উঁকিঝুঁকি কেন স্পর্শকাতর সামরিক ঘাঁটিগুলির আশপাশে? মানুষের প্রতিরোধের বহর মাপতেই কি ঘনঘন আগমন তাদের? নাকি কোনও অরূপরতনের খোঁজ মিলেছে? উত্তর খুঁজলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

12th  March, 2023
ভারতের 
অজানা উড়ন্ত বস্তুরা
সৌম্য নিয়োগী

১৯৫৭। স্বাধীনতা সবে ১০ বছরে পা দিয়েছে। মানভূম তখনও পুরোপুরি বিহারে। খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল। মূলত বাঙালিদেরই দাপট চলে। গণ্ডগ্রাম কাটোরিও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে খানিক দূরে রয়েছে অভ্রের খনি। সেটির মালিক ঘোষবাবুকে গ্রামের প্রায় কেউই দেখেননি। কলকাতায় থাকেন। বিশদ

12th  March, 2023
মধুর বসন্ত এসেছে
ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত

‘পঞ্চশর তোমারই এ পরাজয় জাগো জাগো অতনু’—চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের এই লাইন সকলেরই মনে আছে। কামদেবের আরাধনা করে নিজের মধ্যে রূপান্তর এনেছিলেন মণিপুর নৃপ দুহিতা চিত্রাঙ্গদা। কুরূপা থেকে হয়ে উঠেছিলেন সুরূপা। কামদেবকে আরাধনার দিন হল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। বিশদ

05th  March, 2023
বাবু কলকাতার রঙের উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

ঊনবিংশ শতকে বাবু সংস্কৃতির কলকাতায় রং লেগে থাকত সারা বছর। চুনোট ধুতি পরা বাবুদের মৌতাতের রংয়ে কী আর খামতি ছিল? ঘুড়ির লড়াই, বেড়ালের বিয়ে, বুলবুলির লড়াই থেকে পায়রা ওড়ানো, বাঈ নাচ, বাগানবাড়ি, এসব ঘিরেই বাবু জীবনে অষ্টপ্রহর লেগে থাকত মৌতাতের রং। বিশদ

05th  March, 2023
কৃষ্ণপ্রেমের রঙে মাতোয়ারা জীবন
মাধব মুরারি দাস

(মিখাইল মেশানিন)

কুয়াশা কাটছে। বসন্তের আলো ফুটছে ধীরে ধীরে। মন্দির চত্বরে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি ভক্তরাও। এবার একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে বের হবে মিছিল। নগর পরিক্রমার প্রস্তুতি চলছে। খোল-করতালের সুর মিশছে আকাশ-বাতাসে। বিশদ

05th  March, 2023
নস্টালজিয়ার ১৫০
হরিপদ ভৌমিক

পালকির যুগে কলকাতার পুলিস পালকি বেহারাদের উপর কিছু নতুন নিয়ম চালু করলে, প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট করে কলকাতাকে অচল করে দিয়েছিল। ১৮২৭ সালের এই ধর্মঘট ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মঘট। এই সময় ব্রাউনলো নামে এক সাহেব নিজের পালকির ডান্ডা দু’টি খুলে নিয়ে, তলায় চারটি চাকা লাগিয়ে এক ঘোড়ায় টানা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে ফেললেন। তাঁর নামেই এই গাড়ি নাম হয় ‘ব্রাউন বেরি’ গাড়ি। এই সময় থেকে কলকাতায় ঘোড়ার গাড়ির যুগের সূচনা!
  বিশদ

26th  February, 2023
ট্রাম যাপন
স্বপ্নময় চক্রবর্তী

তখন আমি হয়তো বা কেলাস থ্রি। পেটকাটি-মুখপোড়া-মাছরাঙা ঘুড়ি। থাকি ভাড়া বাড়িতে। গ্যালিফ স্ট্রিট ট্রাম ডিপো এবং বাগবাজার ট্রাম ডিপোর মাঝামাঝি একটা জায়গায়। আমার ঘুড়ি গুরু-ডাংগুলি গুরু টুটলেও থাকে আমাদের ভাড়া বাড়িতেই, অন্য ঘরে। বিশদ

26th  February, 2023
একুশে   ফেব্রুয়ারি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা কথা স্পষ্ট করে বলছি শুনুন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে ঊর্দু। অন্য কোনও ভাষা নয়। এই নিয়ে কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝবেন সে রাষ্ট্রের শত্রু। একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা ছাড়া কোনও জাতির পক্ষে একই সূত্রে গ্রোথিত হয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব নয়। বিশদ

19th  February, 2023
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা...
পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো

স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত দেশজুড়ে অবলুপ্ত অন্তত শখানেক ভাষা-উপভাষা। সঙ্কটের মুখে আরও ৩০টি। যে কোনও দিন হারিয়ে যেতে পারে তারা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম আমার মাতৃভাষা, টোটো। মাত্র হাজার দেড়েক মানুষের কথা বলার মাধ্যম। বিশদ

19th  February, 2023
তপ্ত তাওয়াং
মৃন্ময় চন্দ

‘সালামি স্লাইসিং’ কায়দায় গভীর রাতে অরুণাচলের ‘ইয়াংসে’কেই কেন বারবার টার্গেট করছে চীন? বাষট্টির ‘নুরানাং যুদ্ধে’ যশবন্ত-সেলা-নুরার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধকে চূর্ণ করেও তারা অরুণাচলের দখল নিতে পারেনি কেন? চীন-ভারত মন কষাকষির আড়ালে কি অন্য রহস্য লুকিয়ে?  বিশদ

12th  February, 2023
প্রতিভাত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনকে যদি একটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে তাঁর কবিতার একটি পংক্তিকেই বেছে নিতে হবে। সেটি হল, ‘আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু।’ কবির এই আত্মবিলাপের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে তিনি কী স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কী যন্ত্রণাময় পরিণতির দিকে ভাগ্যদেবতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। বিশদ

05th  February, 2023
দেবতার গ্রাস

দুই ছেলেকে হারানো পূর্ণিমার ক্ষোভ বর্ষিত হয় আত্মঘাতী উন্নয়নের দিকে। চিৎকার করেন, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি, এই সব কাজ জীবনে শেষ হবে না।’ সে ১০ বছর আগের কথা। সেই অভিশাপই কি ফলে গেল যোশিমঠে? লিখলেন 
সমৃদ্ধ দত্ত
বিশদ

29th  January, 2023
একনজরে
মোদি সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুক্রবার সংসদে এমনই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যার ফলে রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ...

হরিপাল থানার অন্তর্গত নালিকুল পশ্চিম পঞ্চায়েত অফিসে চুরির ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছাড়াল শুক্রবার। শাসক দলের দাবি, পঞ্চায়েতকে বদনাম করতে চক্রান্ত করছে বিরোধীরা। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েতের এক কর্মী অফিস খুলতে এসে দেখেন জানালা ভাঙা। ...

২০১৫ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের জন্য আইপিএলে খেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের উপর। যার ফলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তারা অংশ নিতে পারেনি কোটিপতি লিগে। ...

সোনার গয়না ও কাঁসার বাসন পালিশ করার নামে অলঙ্কার হাতানোর ঘটনায় এবার বিহার যোগ মিলল। বাঁকুড়া জেলার একাধিক থানা এলাকায় এমন ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পুলিসের। অবশেষে নাকা চেকিং করে বিহার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৫৭০: পোপ পঞ্চম পায়াম কর্তৃক ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ ধর্মচ্যুত হন
১৫৮৬: সম্রাট আকবরের সভাসদ বীরবলের মৃত্যু
১৭৫৪: ইংরেজ কবি উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু
১৮৪৩: টেমস নদীর বিখ্যাত সুড়ঙ্গ খোলা হয়
১৮৬২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়
১৮৯৬: আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার প্রথম স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়
১৮৯৮: স্বামী বিবেকানন্দ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে দীক্ষান্তে নিবেদিতা নামকরণ করেন
১৯২৭: হকি খেলোয়াড় লেসলি ক্লডিয়াসের জন্ম
১৯৪৮: অভিনেতা ফারুক শেখের জন্ম
১৯৮৪: ক্রিকেটার অশোক দিন্দার জন্ম
২০১০: ভারতীয় বাঙালি আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৪৮ টাকা ৮৩.২২ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৩৬ টাকা ১০২.৮০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫৯ টাকা ৯০.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৭,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী ২৬/৪৮ অপরাহ্ন ৪/২৪। ভরণী নক্ষত্র ১৯/৬ দিবা ১/১৯। সূর্যোদয় ৫/৪০/২৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪১ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ পুনঃ ১২/৬ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৪/৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১১ গতে উদয়াবধি। 
১০ চৈত্র, ১৪২৯, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩। চতুর্থী রাত্রি ৭/৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৩/৫৯। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১২ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৫ মধ্যে ও ৪/১২ গতে ৫/৪১ মধ্যে। 
২ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মল্লারপুরে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা, ধৃত ১
বীরভূমের মল্লারপুর থানার জুবুনি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে ...বিশদ

03:05:16 PM

সিভিক ভলান্টিয়ারদের এক্তিয়ার নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা
রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব কী! প্রশাসনিক ও আইনগত দিক দিয়ে ...বিশদ

02:37:00 PM

প্রশ্ন করা থামাব না, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রাহুল
গতকাল সাংসদ পদ খারিজের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস ...বিশদ

01:29:00 PM

আদালতে ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক-সাংসদদের সদস্যপদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
কোনও অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দু’বছর বা তার ...বিশদ

12:56:34 PM

দিল্লির ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন সিউড়ির ইনস্পেক্টর মহম্মদ আলি

12:48:16 PM

আজ সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী
সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি ...বিশদ

12:10:06 PM