পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
‘এই প্রতিযোগিতায় গত পাঁচ মাস আগেই আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করি। ফলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আমি কতটা সময় দিতে পারব, প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর মনে হল অংশ নেওয়া যেতে পারে। আমি নেদারল্যান্ডস থেকে অংশ নিয়েছি। কাজের সূত্রে গত পাঁচ বছর এখানে রয়েছি। আমার স্বামী ডাচ। ফলে বিবাহসূত্রেও আমার বাড়ি, পরিবার এখানে’, নেদারল্যান্ডস থেকেই বললেন বিদিশা। এই প্রতিযোগিতায় জার্মানি, পোল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন।
এই যাত্রাপথে অনুপ্রেরণা হিসেবে মাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন বিদিশা। তাঁর কথায়, ‘মা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ছোট থেকেই বলত। ছোট থেকে এটা বুঝেছিলাম, মেয়ে হিসেবে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। টিকে থাকতে গেল এই লড়াই জারি রাখতে হবে।’ কলকাতায় থাকাকালীনই মডেলিংয়ের ইচ্ছে ছিল বিদিশার। কিন্তু তার অবকাশ ছিল না। তিনি জানালেন, চাকরি পাওয়ার পর কিছু সুযোগ এসেছিল। বাংলায় কিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। নেদারল্যান্ডসে কিছু শর্ট ফিল্মে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবেন কি না, আপাতত সে ভাবনা ভাবতে রাজি নন বঙ্গললনা। বরং ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছনোটাই তাঁর কাজে বড় পাওয়া। বিদিশা বললেন, ‘জিততে পারলে তো নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। কিন্তু ফাইনাল পর্যন্ত এসেছি, এটাই আমার জন্য অনেক। আমি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। অথবা বিশ্বকে বাংলার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমার মনে হয়েছে, এই সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান প্রয়োজন। এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে সেই কাজে হয়তো সাহায্য করবে।’