নিজের মায়ের লড়াকু দর্শনটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রথম মহিলা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে। লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়
একটা সময় ছিল যখন শীতের রোদ গায়ে মেখে মেয়েরা উল-কাঁটার বুনটে তৈরি করতেন নানারকম সোয়েটার, ফ্রক, মোজা বা টুপি। এখন আর সে দিন নেই। বরং বদলে এসেছে ফ্যাশনদার মেশিনে বোনা সোয়েটার। মেয়েদের প্রায় হারিয়ে যাওয়া উল বোনার শখ, নেশা এবং পেশার বর্ণনায় সুমিত তালুকদার।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে একটা উপলব্ধি হয়েছিল শাহিন মিস্ত্রির। উন্নতির জন্য চাই শিক্ষা। আর সেই শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের সর্বস্তরে। বাবার চাকরির দৌলতে ছোটবেলাটা শাহিনের কেটেছে দেশে বিদেশে। মুম্বইয়ে জন্ম হলেও মোট তেরোটি দেশ ঘুরে সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
রীতা কামিল্লা এখন বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। আর তিনি বিখ্যাত হয়েছেন সুন্দরবন অঞ্চলে অর্গ্যানিক শাকসব্জি, ফল ইত্যাদি ফলিয়ে। একইসঙ্গে আবার পশুপালনও করেন রীতা। সুন্দরবনের প্রতিকূল আবহাওয়ায় যখন বর্ষার দাপট সামলাতে আঞ্চলিক মানুষজন হিমশিম খান, তখন তারই মধ্যে থেকে অর্গ্যানিক চাষের উপায় বার করে রীতা হয়ে উঠলেন চাষিদের মডেল।
আইএলএস হাসপাতালের কর্ণধার ডাঃ অরুণা তাঁতিয়া। জীবনের লক্ষ্য ছিল নিজস্ব হাসপাতাল তৈরি করা। সেই কাজে তিনি সফল। কিন্তু পেশাদারিত্ব সামলানোর পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক ব্যবসার নানা ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয়েছে একা হাতে। তাঁর অভিজ্ঞতার নানা দিক নিয়ে আলাপচারিতায় কমলিনী চক্রবর্তী।
রামকমল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘রিকশাওয়ালা’ ছবির মাধ্যমে পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে বিউটি কুইন সঙ্গীতা সিংেহর। ছবিটি ইতিমধ্যেই মেলবোর্ন এবং মাদ্রিদের চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছেন সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই। মাসখানেক আগে মহারাষ্ট্রের শিরডি সাইবাবার মন্দিরে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। নোটিসে মহিলা-ভক্তদের অনুরোধ করা হয় নিজেদের পোশাক সম্বন্ধে সচেতন হতে।
কাজটা সহজ নয়। তবু সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন ঊষা বিশ্বকর্মা। শারীরিকভাবে নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘রেড ব্রিগেড’। ২০১১ সালে ঊষা তাঁর রেড ব্রিগেড শুরু করেন। লখনউয়ের এই কন্যাটি নিজেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার।
সুমন ধামানির বয়স ৭০। থাকেন মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে। নেহাতই গ্রাম্য গৃহবধূ। পড়াশোনাও প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু বুদ্ধি তাঁর ক্ষুরধার। আর সেই বুদ্ধির জোরেই এই বয়সে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছেন তিনি। রান্নার চ্যানেল খুলে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সুমন ধামানি।
ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময়ই মহিলারা একা বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পান না। এবার সেইসব মেয়ের হাতের নাগালে বেড়ানোর সুযোগ নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থা। এমন তিনটি সংস্থার খবর দিলেন কমলিনী চক্রবর্তী।
পেশায় ডাক্তার রানি বাঙ্গ। তবু শেষরক্ষা করতে পারেননি। চল্লিশ বছর আগের কথা, তাঁর চোখের সামনে স্রেফ চিকিৎসার অভাবে মারা যায় একটি গরিব শিশু। সেই ঘটনায় মর্মাহত রানি বাঙ্গ ঠিক করলেন তিনি গরিবদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
জীবনটা বিজ্ঞাপন মাধ্যমের একটি চাকরি দিয়েই শুরু করেছিলেন সোনাল কাপুর। বিজ্ঞাপনী চমক তাঁকে আকর্ষণ করত ছোটবেলা থেকেই। একটি বহুজাতিক বিজ্ঞাপন সংস্থার কপিরাইটার হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই চাকরির চমক হঠাৎই ফিকে হয়ে গেল সোনালের কাছে। কিন্তু কেন?
মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা পারিবারিক নির্যাতনের খবর তাঁকে বরাবরই ভাবাত। তাই ১৯৮১ সালে নির্যাতিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিজেই একটি সংস্থা চালু করলেন। নাম দিলেন ‘সহেলি’।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ মানেই উৎসবমুখর বাঙালির পাতে চাই বাহারি বিদেশি খানা। ইতালীয় খাবার হলে তো আর কোনও কথাই নেই! নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আগে হাত পাকিয়ে ফেলুন পিৎজার দুনিয়ায়। রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
আমাদের দেশে বীজের ব্যাঙ্ক তৈরি করেছেন মহারাষ্ট্রের গ্রামের চাষি রহিবাই সোমা পোপরে। প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই। কিন্তু হাতেকলমে চাষ করতে করতে বীজ পোঁতা, মাটি তৈরি আর সেই থেকে ফসল ফলানোর খুঁটিনাটি তিনি জানেন। তাইতো, স্থানীয় গাছের বীজ জমিয়ে রেখে সেই বীজ পরবর্তীকালে অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বণ্টন করে তা থেকে চাষ করার প্রকল্প তৈরি করেন তিনি। প্রকল্পের শুরুটা ঠিক গল্পের মতো। ঔরঙ্গাবাদের একটি গ্রামে সাত একর জমির ওপর চাষ করত রহিবাইয়ের পরিবার। কিন্তু চাষের সময় ছিল সীমিত। শুধু বর্ষাকালেই। বছরের বাকি সময়টা কাটে চিনির কলে শ্রমিকের কাজ করে। তখনই বীজ জমানোর ভাবনাটা মাথায় এসেছিল রহিবাইয়ের। ভাবনামাফিক মাত্র তিন একর জমির ওপর চাষের পরীক্ষা শুরু করলেন তিনি। প্রথম একটা বছর ব্যয় করলেন সেই তিন একর জমির মাটি তৈরির কাজে। মাটি হবে সুজলা সুফলা, না হলে রহিবাইয়ের চাষের এক্সপেরিমেন্ট বিফলে যাবে। তাই সময় নিয়ে মাটি তৈরি হল। তারপর জমিসংলগ্ন খানিকটা জায়গায় একটা পুকুর কাটালেন তিনি। এরপর শুরু হল বীজ বপনের কাজ। তিন একর জমিতে নানারকম সব্জি তৈরি করলেন তিনি। সেই সব্জি বাজারে বিক্রি করে তার থেকে রোজগারও হল ভালোই। এরপর এই সব্জির বীজ জমিয়ে রাখলেন রহিবাই। এইভাবে গ্রীষ্মের পর বর্ষায় ভিন্ন সব্জির বীজ ফেলে আবারও চাষ করলেন। শীতে ফলালেন অন্য ধরনের সব্জি। প্রতিবারই কিন্তু বীজগুলো জমিয়ে রাখতেন তিনি। ফলে আবার যখন গরম এল, তখন গ্রীষ্মের সব্জির জমানো বীজ মাটিতে ফেললেন। ক্রমশ গাছ বড় হল, ফলনও হল ভালোই। যে জমিতে মাত্র বছরের কয়েক মাস চাষ হতো, এখন সারা বছর সেই জমি শস্যশ্যামলা হয়ে থাকে। রহিবাইয়ের বীজ জমিয়ে তাই দিয়ে আবার চাষ করার এই অন্যরকম প্রকল্প এখন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন গ্রামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রকল্পের পথপ্রদর্শক হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকার রহিবাইকে ‘সিড মাদার’ নাম দিয়েছে। ক্রমশ তাঁর নাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি-র ১০০ জন মহিলার নামের তালিকায় উঠে এসেছে রহিবাই পোপরের নাম।
