বঙ্গীয় ধ্রুপদী নৃত্যের বিশেষ নৃত্যশৈলী গৌড়ীয় নৃত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন নৃত্যশিল্পী মহুয়া মুখোপাধ্যায়। ছোট শহরে ওঁর জন্ম, কিন্তু অনেক বড় কীর্তির নজির সৃষ্টি করেছেন। সুদীর্ঘ কয়েক দশকের পথচলা।
শিল্পী রামকিঙ্করের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম। তিনি রাধারানি। তাঁর জন্ম বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরার কাছে। জানা যায় গ্রামটির নাম ছিল সাহেব বাগান। তাঁর বাবার নাম চন্দ্র আর মা দুর্গাদেবী।
বাংলা সাহিত্যের প্রসার, সংস্কৃত সাহিত্যের সহজসরল অনুবাদ নারী শিক্ষা বিস্তারে বহু প্রবন্ধ লিখে সমাজে আলোড়ন তুলেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। নারীর সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন তিনি। সমাজে বিধবা বিবাহ প্রচলন করে বিদ্যাসাগর বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
সারা পৃথিবীতে গড়ে পুরুষদের তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র অধিকার ভোগ করেন নারীরা। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, মাত্র ছয়টি দেশে নারী ও পুরুষের অধিকার সমান, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।
একবিংশ শতাব্দীতে পদার্পণের আগে মুসলিম সমাজে নারী স্বাধীনতা প্রহসন ছিল বললে অত্যুক্তি হয় না। মাত্র কয়েক দশক আগেও মুসলিম নারী ছিল অন্তঃপুরবাসিনী। অবগুণ্ঠনের আড়াল থেকেই তাদের বিশ্বদর্শন হতো। কিন্তু সেই চিত্র আজ অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আপাতদৃষ্টিতে নারীর সঙ্গে পুরুষের পার্থক্যের সীমারেখা প্রায় ঘুচেই গিয়েছে বলা যায়। এখন পুরুষদের সঙ্গে নারীরাও সমানতালে সবকিছুই করছে। সে কঠিন বিজ্ঞান গবেষণা থেকে শুরু করে টোটো চালানো পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই। একসময় যে নাইট শিফটে কাজ শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এখন সেখানেও মেয়েদের মৌরুসিপাট্টা।
বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
আবারও গণবিবাহের আয়োজন করলেন বিধায়ক পরেশ পাল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ৭ জুলাই ৪৮তম বর্ষে কাঁকুড়গাছি সিআইটি বিল্ডিং-এর সামনের রাস্তাটিতে তৈরি হয় বিশাল বড় বিবাহ আসর। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে ছাদনাতলা সেজে উঠেছিল রজনীগন্ধা, জুঁইফুলে। বড় বড় ঝাড়বাতির রোশনাইয়ের পাশাপাশি রাস্তার দু’ধারের আলোকসজ্জা সবকিছুই ছিল যথাযথ। অবিরত সানাইয়ের সুরে আলোকসন্ধ্যা হয়ে উঠেছিল আরও ঝলমলে। উলু, শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে ছাদনাতলায় আগমন ঘটে ১২ জন নবদম্পতির। লাল-সবুজরঙা শাড়ি, কপালে চন্দন, হাতে শাঁখা-পলা আর এইরকমভাবে বিয়ের আয়োজন সবই যেন তাদের কাছে স্বপ্নের মতো জানায় নববধূরা। পছন্দের মানুষের সঙ্গে পথচলার শুরুটা যে এভাবে হবে তা বিস্ময়ের সঙ্গে জানায় নতুন বরেরা। উদ্যোগী বিধায়ক পরেশবাবু জানান, সমাজের দরিদ্র পিতামাতাদের মাথা থেকে পণপ্রথার চিন্তা দূর করে একেবারে আমার নিজের বাড়ির মেয়ের মতো ভেবেই আমার এই কাজ করা। বিয়ের সময় যা যা রীতি নিয়ম মানা হয়। প্রত্যেকের জন্যই ছিল সেই ব্যবস্থা। বিয়ের দানপত্রের মধ্যে ছিল পিতলের বাসন, মাদুর, বিছানা এবং নবদম্পতিদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ছিল সোনার গয়না। উপস্থিত হয়েছিল মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিষ কুমার সাংসদ মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও অনেকে। সকলেই নবদম্পতির প্রতি তাদের আশীর্বাদ জানান এবং পরেশবাবুর এই মহান উদ্যোগের সাধুবাদ জানান। সন্ধ্যা যত বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে বিবাহবাসরে সমাগম ঘটে বহু মানুষের। শুধুমাত্র বিবাহের আয়োজনই শেষ নয়। ছিল প্রীতিভোজের ব্যবস্থা প্রায় ৩০০০ মানুষের। মেনুতে ভাত, ডাল থেকে শুরু করে ভেজ, নন ভেজ কোনও কিছুই বাদ ছিল না। কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের চোখে-মুখেও, সেদিন ছিল এক স্বস্তির ছাপ, হাসি হাসি মুখে। এইভাবে নিয়মনীতি মেনে সামাজিকভাবে ও আইনতভাবে ১২ জন দম্পতির শুরু হয় এক নতুন জীবন।
পাপিয়া মণ্ডল ছবি: সুফল ভট্টাচার্য
