কিং প্রন ইন স্যাফ্রন স্যস
উপকরণ: কিং প্রন (মাথাটা কেটে আলাদা করে রেখে দিন) ১ কিলো, বড় পেঁয়াজ ২টো, জাফরান ১ চিমটে, টম্যাটো পিউরি ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ২ টেবিল চামচ, নুন ও মরিচগুঁড়ো স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: আলাদা করে কেটে রাখা চিংড়িমাছের মাথা নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঘিলুটা জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে একটা টকটকে লাল রং ধরলে আঁচ থেকে নামিয়ে মাথাগুলো তুলে ফেলে দিন ও জলটা ছেঁকে রেখে দিন। এটাই ফিশ স্টক। এবার একটা ফ্রাই প্যানে অলিভ অয়েল ও মাখন গলিয়ে নিন। তারপর তাতে পেঁয়াজকুচি ভাজুন। পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে মাথা বাদ দেওয়া চিংড়ি দিয়ে ভাজুন। নুন ও লেবুর রস দিন। ঢিমে আঁচে ভাজতে থাকুন। মাছ লালচে হলে ফিশ স্টক দিয়ে দিন। আন্দাজ মতো নুন দিন। স্টকটা ফুটতে শুরু করলে টম্যাটো পিউরি মিশিয়ে নেড়ে নিন। স্টক বেশ কমে এলে এবং গ্রেভি ঘন হলে ফেটানো ক্রিম মেশান। ইতিমধ্যে জাফরান উষ্ণ গরম দুধে গুলে রাখুন। সব শেষে দুধে গোলা জাফ্রান দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ভিনাস নেভাল
রেভিওলি পাস্তা
উপকরণ: গোল আকার রেভিওলি পাস্তা ১ প্যাকেট, মাস্কারপোন চিজ ১ পাউন্ড, সানড্রায়েড টম্যাটো ১২টা, নুন ও মরিচগুঁড়ো স্বাদ মতো। স্যসের জন্য: পোরচিনি মাশরুম, বাটন মাশরুম ২টো মিলিয়ে ২০০ গ্রাম, অলিভ অয়েল প্রয়োজন মতো, ১টা পেঁয়াজ কুচি করে কাটা, হোয়াইট ওয়াইন  কাপ।
পদ্ধতি: মাস্কারপোন চিজ ফেটিয়ে নিন। তার সঙ্গে সান ড্রায়েড টম্যাটো, নুন ও মরিচ মেশান। সবটা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার রেভিওলি পাস্তার মাঝে এই পুর অল্প অল্প ভরে তা দু’ ধার থেকে এমনভাবে মুড়ে দিন যাতে টুপির মতো দেখতে হয়। এই পুরভরা পাস্তা সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। ইতিমধ্যে স্যস তৈরি করার জন্য মাশরুম কেটে ভাপিয়ে নিন। মাশরুম জলে প্রায় গলে গেলে সেই জল ছেঁকে নিন। তা একটা কড়াইতে দিয়ে ফোটান। হোয়াইট ওয়াইন দিন। বেশ ঘন হয়ে এলে তাতে নুন ও মরিচ মেশান। সব শেষে ওয়াইন দিন। ওপর থেকে পার্সলেকুচি দিতে পারেন। এবার সেদ্ধ করে জল ঝরানো রেভিওলিগুলো এই স্যসে দিয়ে একটা ফোটান। নামানোর আগে পারমেসান চিজ ছড়িয়ে দিন।
 ইটালিয়ান ফুড ফেস্ট চলছে জে ডব্লু ম্যারিয়ট রেস্তরাঁয়। সেই কারণেই ইতালিয়ান স্পেশালিটি শেফ এসেছেন হোটেলে। নাম ওয়াল্টার বেল্লি। তাঁর সঙ্গেই আড্ডা জমে উঠেছিল ম্যারিয়ট হোটেলের কফি শপ জে ডব্লু কিচেনে। শেফ ওয়াল্টার বললেন পিৎজা আর পাস্তা দিয়েই ইতালিয়ান খাবার তার বিশ্ব জোড়া যাত্রাটা শুরু করেছিল বটে কিন্তু এখন আর ইতালিয়ান মানেই পিৎজা বা পাস্তা নয়। বরং বিভিন্ন ধরনের ব্রেড, রিসোতো, বোলোঙ্গা, তর্তেলিনি সবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ববাসীর কাছে। ইতালিয়ান খাবারে বিশেষত্ব জানতে চাইলে শেফ বলেন ইতালিয়ান মেনু বিশাল। মোট ছটি কোর্সে খাবার পরিবেশন করা হয়। তার মধ্যে স্টার্টার থেকে মেন কোর্স থেকে ডেজার্ট যেমন আছে, তেমনই আছে অ্যাপেটাইজার, আফটার মিল রিফ্রেশমেন্ট ইত্যাদিও। খাবারের মূল উপকরণগুলো কেমন? এমন প্রশ্নে একটু ভেবে শেফ বলেন, ময়দা তো ইতালিয়ান খাবারে লাগেই। পিৎজা হোক বা পাস্তা বা অন্য কোনও ধরনের ব্রেড সবই তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। এছাড়া ইতালির লোকেরা ফ্রেশ উপকরণ দিয়ে রান্না করতে ভালোবাসেন। তাই টম্যাটো, অলিভ ইত্যাদির বিশেষ গুরুত্ব। অলিভ নাকি ইতালির সব অঞ্চলেই চাষ হয়। তাই অলিভ অয়েল এত জনপ্রিয়। এছাড়াও কাবলি ছোলা, বেসিল পাতা ও নানা রকম শষ্য ফলানো হয় ইতালিতে। ফলে সেগুলোকেও রান্নার উপকরণ হিসেবে পাওয়া যায়। আর আছে চিজ। শেফ বললেন ইতালিতে চিজ শেষ পাতে খাওয়া হয়। তাছাড়া ব্রেড, পাস্তা ও পিৎজায় চিজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাছের সঙ্গে চিজ খাওয়ার খুব একটা চল নেই। মাছ এই দেশে খুবই জনপ্রিয়। প্রন, পমফ্রেট, স্যামনের মতো সি ফিশ তো ঘরে ঘরে রাঁধা হয়। ইতালিয়ান বুফে থেকে দুটি বিশেষ পদের রেসিপি জানালেন
শেফ ওয়াল্টার বেল্লি।