যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
১) নতুন পারফিউম ব্যবহার করলে প্রথমবার স্প্রে করার পর অন্তত ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর গন্ধ নিন। পারফিউমের মধ্যে অ্যালকোহল থাকলে তা ওই সময়ের মধ্যে উবে যাবে। ফলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমবে।
২) ১০ থেকে শুরু করে প্রায় ২০০টি উপাদান দিয়েও পারফিউম তৈরি হয়। প্রতিটি উপাদানের ভারসাম্য গন্ধকে সুন্দর করে তোলে। ফলে উপাদানের মধ্যে কোনও একটি বা দু’টি আপনার অপছন্দের তালিকায় থাকলেই সম্পূর্ণ সুগন্ধিটি বাতিল করে দেবেন না। কারণ সব উপাদান সঠিক মাত্রায় মিশ্রিত হওয়ার পর সেই গন্ধ আপনার পছন্দ হতেও পারে।
৩) বেশি সূর্যের তাপ অথবা অত্যন্ত ঠান্ডা সুগন্ধির মধ্যে থাকা তেলের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। ফলে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সুগন্ধি রাখুন।
৪) বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধি বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। শরীরের ‘পালস পয়েন্ট’-এ সুগন্ধি স্প্রে করুন। কানের পিছনে, গলায়, মণিবন্ধে সুগন্ধি লাগালে তার গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
৫) একই সুগন্ধি থেকে এক একজনের ত্বকে স্প্রে করার পর এক একরকম গন্ধ তৈরি হতে পারে। সুতরাং অন্যকে দেখে নয়, আপনার ত্বকে যে গন্ধ ভালো মানাবে, তা সংগ্রহ করুন। সেজন্য কেনার আগে পরখ করে নিন।
৬) গন্ধ সাধারণত এক ঘণ্টা, চার ঘণ্টা, ছয় ঘণ্টা, কখনও বা টানা ১৬ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। ফলে দিনভর ফুরফুরে থাকতে ব্যাগে ক্যারি করুন। যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।
৭) পারফিউমে মূলত সুগন্ধি তেল এবং অ্যালকোহলের মিশ্রণ থাকে। বেশ কিছু সুগন্ধিতে আবার নানা প্রকার রাসায়নিকও থাকে। ফলে ত্বক অ্যালার্জিপ্রবণ হলে কেনার আগে উপকরণগুলি সম্বন্ধে ভালো করে জেনে নিন। কোনও পারফিউম ইথানল ও আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি হয়। যা কারও ক্ষেত্রে চর্মরোগও সৃষ্টি করতে পারে। ফলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৮) কিছু সুগন্ধিতে প্যাথালেটস, গ্যালাক্সোলাইড, গ্লাইকোল নামক যৌগ থাকে। এই সব যৌগ বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে শ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ফলে ব্যবহারের আগে সতর্ক হোন। সব ধরনের ত্বকে সব পারফিউম কার্যকরী নয়।
স্নানের পর ত্বক আর্দ্র থাকে। রোমকূপ উন্মুক্ত থাকে। সেসময় সুগন্ধি ব্যবহার করলে ত্বক সহজে শুষে নিতে পারে।