Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার প্রতি শাসকের প্রতিহিংসার ট্র্যাডিশন
হারাধন চৌধুরী

কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানীর মর্যাদা পায় ১৭৭২ সালে। দেশ শাসনের পক্ষে জরুরি বিভিন্ন অফিস আদালত দ্রুত কলকাতায় তুলে আনার কিংবা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন প্রথম গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। ইংরেজের প্রতাপের প্রতীক কলকাতার গুরুত্ব বেড়েই চলে। বণিকের জাত ইংরেজের সঙ্গে স্বভাব-শান্ত বাঙালির প্রীতির সম্পর্ক জমে ওঠে ক্রমেই। রাজার ভাষা ইংরেজি শেখায় আগ্রহী বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে আফিম, নুনসহ নানান ব্যবসায় ব্রিটিশ বণিকদের লক্ষ্মীলাভ ব্যাপক আকার নিতে থাকে। রাজানুগ্রহে বাঙালিদেরও একটি শ্রেণি উঠছে ফুলে ফেঁপে। সব মিলিয়ে খুশি হেস্টিংস নিজেই লিখে গিয়েছেন, কলকাতাই ‘এশিয়া মহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নগরী’ হিসেবে বিখ্যাত হবে। হয়েছিলও তাই। কলকাতা পেয়েছিল ফোর্ট উইলিয়াম, রাইটার্স বিল্ডিংস, টাঁকশাল, গ্যাসের বাতি, বিদ্যুৎ, রেল, ট্রাম, মোটর গাড়ি, পুর কর্পোরেশন, জিপিও, সুপ্রিম কোর্ট, ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা, পন্টুন ব্রিজ, টেলিফোন, জল প্রকল্প, ছাপাখানা, ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি, এশিয়াটিক সোসাইটি, ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, জিএসআই, চিড়িয়াখানা, বিশ্ববিদ্যালয়, হিন্দু কলেজ, মেডিক্যাল স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আইএফএ—একের পর এক তাক লাগানো সম্পদ। কলকাতা গণ্য হতে লাগল ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নগরী’ বলে। ইতিহাস-গবেষক ড. অতুল সুর লিখেছেন, মাদ্রাজ ও বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতার সঙ্গেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তামাম ভারত, এমনকী বর্মা-মুলুক ও সিংহলের স্কুল-কলেজগুলিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন পাওয়ার জন্যই উদ্‌গ্রীব থাকত, কারণ কলকাতা তখন রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়। এই শতকের গোড়ার দিকে ভারত-সফর সেরে দেশে ফিরে ব্রিটিশ পর্যটক জো রবার্টস তাঁর ‘আবদুলস ট্যাক্সি টু কালীঘাট’ বইয়ে লেখেন, ১৯১১ সাল পর্যন্ত কলকাতার গুরুত্ব হংকং বা সিডনিরও উপরে ছিল। কলকাতার পড়ন্তবেলার ঐতিহ্যও তাঁকে মুগ্ধ করে।
এও লক্ষণীয় যে, কলকাতা এবং তৎসহ বঙ্গদেশের পতনের সূচনাও ইংরেজের হাতে। শিক্ষিত বাঙালির চোখে শাসকের শোষক-রূপ স্পষ্ট হতেই নেটিভদের একাংশের মধ্যে ইংরেজ-বিরোধী মনোভাব প্রকট হয়। ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখতে পায় সরকার। তখন থেকেই জাতি হিসাবে বাঙালিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তারা। প্রথম চেষ্টা করে বাঙালিকে হিন্দু ও মুসলমানে ভাঙতে। পরবর্তী উদ্যোগ ১৯০৫ সালে কার্জনের মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গ। আপামর বাঙালির প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে ইংরেজ বুঝেছিল, বাংলা ভাঙার সিদ্ধান্তে ইতি না-টানলে ভারতে তাদের ‘নবাবি’ হারাতে হবে। ওইসঙ্গে বাস্তবিকই অস্তাচলে যাবে বহির্ভারতেও ব্রিটিশের উপনিবেশ-সাম্রাজ্য। তাই ভারতবাসীকে খুশি করতে অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করা হল, সম্রাট পঞ্চম জর্জ ভারতে গিয়েই রাজমুকুট পরবেন। এজন্য ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’ স্থির হয় ১২ ডিসেম্বর, ১৯১১। সেদিন দিল্লিতে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে সম্রাট নিজমুখে বঙ্গভঙ্গ নাকচ করেন। বণিকের মানদণ্ড যখন রাজদণ্ডে রূপান্তরিত, তখন এই উদারতা! ক্রমশ প্রকট হল যে, বাংলা ভূখণ্ড অখণ্ড থাকল ঠিকই, বিনিময়ে বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ও ভবিষ্যৎ চিরতরে গুঁড়িয়ে দেওয়ারই ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু, বঙ্গভঙ্গ রদের আকস্মিকতায় বাঙালির মুরুব্বিরা সেদিন শুধু আবেগের আতিশয্যেই ভেসে গিয়েছিলেন, ইংরেজের সূক্ষ্ম চাল ধরতেই পারেননি। বঙ্গবাসী ভ্রান্তিবিলাসে নিমজ্জিত দেখে সম্রাটের তরফে একই অনুষ্ঠানের উপসংহার টানা হয় একপাতার আর এক মারাত্মক ঘোষণায়, ‘আজ থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লি’। সম্রাটের তরফে যুক্তি, ‘প্রিয়’ ভারতবাসীর সুখের কথা ভেবে এবং প্রশাসনিক কাজে দক্ষতাবৃদ্ধির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এতে একদিকে দিল্লি তার প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরে পাবে, অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে কলকাতার শ্রীবৃদ্ধিও থাকবে অব্যাহত। কথাটি দিল্লির জন্য নির্ভেজাল সত্যি হলেও কলকাতার পক্ষে হয়ে উঠেছিল অভিশাপ। বাংলা আজও তা বয়ে চলেছে। শুধু কি তাই? স্বাধীনতার বয়স যত ভারী হচ্ছে, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব হচ্ছে ততই লঘু।  
আমরা দেখলাম, পরাধীন ভারতের বাঙালিরা বঙ্গভঙ্গ রুখে দিয়েছিলেন। বাংলাভাগে ব্যর্থ হয়ে চূড়ান্ত প্রতিহিংসার রাজনীতিই করেছিল ইংরেজ। রাজধানী স্থানান্তরেই শেষ হয়নি তা, ৩৫ বছর পরে সেই বাংলা ভাগ করতেই, ইংরেজ সফল করেছিল তাদের বহুযত্নলালিত ভারতভাগের ষড়যন্ত্র। ১৯৪৭-এ ‘স্বাধীনতা’র নামে ভারতবাসীর প্রকৃত প্রাপ্তি হয় ‘ভারতভাগ’—সৃষ্টি হয় ‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তান’ নামে নতুন এক ক্রনিক ব্যাধির। ইংরেজ নিজের হাতে যেটা করতে পারেনি, সেটা তারা সম্ভব করেছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের রাজনীতি আমদানি করে। 
খণ্ডিত বাংলাও বিভাজনের রাজনীতির নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে পারল কই? পশ্চিমবঙ্গকেও নানাভাবে ভাঙার চক্রান্ত জারি রয়েছে। দার্জিলিং ছিনিয়ে নেওয়ার রাজনীতি করেছেন সুভাষ ঘিসিং থেকে বিমল গুরুং। স্বতন্ত্র গোর্খাল্যান্ডওয়ালাদের সঙ্গেই সংগত করছেন বঙ্গ বিজেপির এমপি অনন্ত মহারাজ। তাঁর দাবি ‘পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য’। এবার বঙ্গ বিজেপির কাণ্ডারীর কোন রূপ দেখছি আমরা? ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মুখোশের আড়ালে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বাংলাভাগেরই দাবি! দ্বিতীয় মোদি সরকারে মন্ত্রিত্ব পেয়ে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সরব হন জন বারলা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরোক্ষে উত্তরবঙ্গ ভাগের জন্যই তদ্বির করলেন সুকান্ত! এই ইস্যুতে সুকান্ত-অনন্তকে কার্যত সমর্থনই করেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। বিজেপির একাধিক নেতার বক্তব্যে উত্তরবঙ্গকে ‘আলাদা রাজ্য’ কিংবা ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জোরদার হচ্ছে। ২০২২-এ কেন্দ্রকে লেখা বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের এক চিঠিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদকে ‘পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ করার দাবি ছিল। এবার সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে। বাংলার মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিষানগঞ্জ, আরারিয়া ও কাটিহার নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চান তিনি। আজব দাবিটি সম্প্রতি লোকসভাতেই উত্থাপন করা হয়। লক্ষণীয় যে, নবান্নের দখল তাদের পক্ষে যত কঠিন হয়ে উঠছে বাংলাভাগের দাবিতে গেরুয়া শিবিরকে মরিয়া এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ দেখাচ্ছে তত বেশি। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোরও স্বপ্ন দেখছে কি গেরুয়া ব্রিগেড—‘গোটা বাংলার মসনদ চিরঅধরাই যদি উত্তরবঙ্গ ভেঙে নিয়েই কিঞ্চিৎ নবাবি করি’?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাঙাভাঙির রাজনীতির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত গোড়া থেকেই। বিজেপি এমপি শমীক ভট্টাচার্যও রাজ্যভাগের রাজনীতিকে সমর্থন করেন না বলেই দাবি করেছেন। মনে হয়, বাংলার একজনও সচেতন নাগরিক বঙ্গভঙ্গের নয়া জিগির বরদাস্ত করেন না। বাংলাভাগ এবারও রুখে দেওয়া যাবে নিশ্চয়, কিন্তু তার বিনিময়ে কী কী হারাতে হবে আমাদের? ইতিমধ্যেই অনেক কিছু হারিয়েছি আমরা। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের অজুহাতে গুরুত্বহীন করা হয়েছে বাংলার আর্থিক ক্ষেত্রকে। প্রাচীন এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (ইউবিআই) হারিয়েছি ২০২০-তে। ২০১৮-য় কেড়ে নেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের আইকনিক ও প্রেস্টিজিয়াস সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টস অফিস (সিএও)। এসবিআইয়ের পূর্বসূরি ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্কের সিএও কলকাতায় তৈরি হয় ১৯২৮ সালে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অফিসটি সেই থেকে সগৌরবে ও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই চলেছিল কলকাতা থেকে। তবু সেটি মুম্বইতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চুপিসারে। ১৯০৮ সালে আইন মোতাবেক কলকাতাতেই ভারতের প্রথম স্টক এক্সচেঞ্জ গড়ে ওঠে। আর বেসরকারিভাবে শেয়ার কেনাবেচার কারবার আরও প্রাচীন—কলকাতার বুকে শুরু ১৮৩০-এ! তবু জাতীয় (এনএসই) এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) পাশে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আজ আর কোনও গুরুত্ব নেই। দেশে ২১টি আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জও (আরএসই) চলছে। সেই তালিকায় বাংলা অনুপস্থিত! আইনি জটিলতায় ফেঁসে আছে সিএসই। জটিলতা কাটিয়ে একে ফের চালু করার সরকারি উদ্যোগ কই? বিকেন্দ্রীকরণের প্যাঁচে ফোঁপরা এখন পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ২০২১-এ সেইল-এর আরএমডি সরেছে কলকাতা থেকে। দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের চা শিল্প ধুঁকছে। টি বোর্ড, ডিভিসি ও ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সদর দপ্তরও কলকাতায় আর কতদিন, তা কেবল মোদি সরকারের মর্জিই জানে। কেন্দ্রীয় নীতিতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে চটশিল্প। কয়লা শিল্প ধুঁকছে। দ্বিতীয় আইআইটি, আইআইএম, এইমস ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা পায়নি। গড়া হয়নি বেঙ্গালুরুর মতো একটি আইআইএসসি। তৎপর শুধুই দিল্লির কেড়ে নেওয়ার হাত!
এর সঙ্গে আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এবং প্রশাসনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব নগণ্য করে রাখার ষড়যন্ত্র। যাতে ক্ষমতার অলিন্দে বাংলা কোনও বড় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না-পারে। যা করার বিরোধীরাই শুধু করবেন। অন্যদিকে, মোদি সরকারের স্টাইলই হল, বিরোধীদের যাবতীয় দাবি প্রস্তাব আপত্তি ক্ষোভ উষ্মা আবেগ ইত্যাদি নস্যাৎ করে দেওয়া। বাংলাকে ধ্বংস করার আর কী কী গোপন গেরুয়া প্ল্যান আছে, আমরা এখনও জানি না। হতে পারে দলটি আদতে বঙ্গসন্তান শ্যামাপ্রসাদের তৈরি, তবু বঙ্গ বিজেপি থেকে যতদিন না এই নষ্টামির বিরুদ্ধে আন্তরিক প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে, ততদিন বাংলায় পদ্মপার্টির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। অখণ্ডতা বাঙালির এক চূড়ান্ত আবেগের নাম।
31st  July, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
রবিবার সকালে বর্ধমানের সরাইটিকরে ভাড়াবাড়ি থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মিতা সামন্ত(৩৫)। তাঁর বাড়ি হুগলির খানাকুল থানার মালঞ্চ গ্রামে। ...

তরিতরকারির মতো পোষ্য বিক্রি হচ্ছে রাজ্যে। প্রায় সাত বছর আগে পোষ্য বিক্রি সংক্রান্ত আইন তৈরি হলেও তা অমান্য করেই চলছে পোষ্য কেনাবেচা। ...

কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে পুজোগুলির মোট বাজেট এবার ধরা হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরগুলিতে। জেলায় দুর্গাপুজোর প্রধান ...

জেসিকা পেগুলার রিটার্ন লাইনের বাইরে আছড়ে পড়তেই কোর্টে শুয়ে পড়লেন আরিনা সাবালেঙ্কা। চোখের জল লুকোতে দু’হাতে মুখ ঢাকলেন। কান্না নয়, আনন্দাশ্রু! এই আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিল্পকর্মে সাফল্য, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে আমেরিকার রাজধানীর নামকরণ হয় ওয়াশিংটন ডিসি।
১৮৫০: ৩১তম রাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৫০: আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক কবি ও নাট্যকার ‘ভারতেন্দু’ হরিশ্চন্দ্রর জন্ম
১৮৮২: ঔপন্যাসিক অনুরূপা দেবীর জন্ম
১৯২০: আলিগড়ের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়
১৯২০: সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক সন্তোষকুমার ঘোষের জন্ম
১৯৪১: মার্কিন প্রোগ্রামার তথা কম্পিটার বিজ্ঞানী এবং ‘সি’ প্রোগ্রামিং ভাষার জনক ডেনিস রিচির জন্ম
১৯৬৭: অভিনেতা অক্ষয় কুমারের জন্ম
১৯৭৬: চীনের কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুংয়ের মৃত্যু
১৯৮৯: মহিলা কবি  রাধারাণী দেবীর মৃত্যু
২০১৪: বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২৪ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী ৪১/১৩ রাত্রি ৯/৫৪। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৩৮ সন্ধ্যা ৬/৪। সূর্যোদয় ৫/১৫/৭, সূর্যাস্ত ৫/৪২/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/১০ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৭ গতে ৪/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৬ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী অপরাহ্ন ৫/১৪। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৩/৪। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৪/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৮ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: মালদহের ইংলিশবাজারে অভিনব রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 11:01:51 PM

ফরাক্কার অর্জুনপুর বাজারে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ

08-09-2024 - 10:49:37 PM

আর জি কর কাণ্ড: জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্যামবাজারে প্রতিবাদ মিছিল

08-09-2024 - 10:20:16 PM

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের টিম ঘোষণা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করল টিম ইন্ডিয়া।  ব্রিগেডে ...বিশদ

08-09-2024 - 10:08:14 PM

ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজস্থানের আজমীর

08-09-2024 - 09:54:49 PM

আর জি কর কাণ্ড: আসানসোলের নাগরিকবৃন্দের একাংশের রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 09:32:36 PM