আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
শিলিগুড়িতে গণেশ পুজো নিয়ে উন্মাদনা চরমে। সেই সঙ্গে পাড়ায় পাড়ায় চলছে বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে প্রসাধনী সামগ্রী, জুতো ও বস্ত্র বিপণীগুলিও সেজে উঠেছে। তাই মাস পয়লার দ্বিতীয় রবিবারই শহরের বিধান মার্কেট, হিলকার্ট রোড, হকার্সকর্নার, এসজেডিএ মার্কেট, জংশন মার্কেট প্রভৃতি বাজারে ভিড় করেন ক্রেতারা। বিভিন্ন শপিংমলেও ছিল যথেষ্ট ভিড়।
হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সনৎ ভৌমিক বলেন, গণেশ পুজো থেক মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর মুড শুরু হয়েছে। তাই বাজারে ভিড় করতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের পোশাক দেখছেন। কিন্তু, কেনাকাটা এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। বিশ্বকর্মা পুজোর পর বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে বলেই আশা করছি। জলপাইগুড়িতেও ধরা পড়েছে একই ধরনের ছবি। এদিন সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাজারে ঢুঁ মারেন অনেকে। কেউ কেউ কেনাকাটা করে সপরিবারে রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ি ফিরেছেন। শহরের কদমতলায় শপিংমলগুলিতে যথেষ্টই ভিড় ছিল। বিকেলের পর থেকে ভিড় চোখে পড়েছে দিনবাজার, টেম্পল স্ট্রিটের বস্ত্র বিপণীগুলিতে। জলপাইগুড়ি জেলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ শা বলেন, এখনও উপচে পড়া ভিড় না হলেও পুজোর বাজার শুরু হয়েছে। লোকজন আসছেন। উল্টেপাল্টে দেখছেন, কিনছেনও।
প্রচণ্ড গরমে উপেক্ষা করেই সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার শহরের মাড়োয়ারিপট্টির কাপড়ের দোকানগুলিতে ভিড় করেন ক্রেতারা। কলেজ হল্ট, মাধব মোড়, নিউ টাউন ও চৌপথিতে পুরসভার সুপার মার্কেটের দোকানগুলিতেও একই ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে। শহরের ভাঙাপুল ও মায়া টকিজ রোডে শপিংমলগুলিতেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সন্দীপ ভার্মা বলেন, দুর্গাপুজার সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরাও করমপুজোর কেনাকাটা করছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুজোর বাজার আরও জমবে বলেই আশাবাদী।
তবে রাজনগর কোচবিহারে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। এদিন সেভাবে বাজার জমেনি। শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারে এদিন ক্রেতাদের তেমন ভিড় ছিল না। ব্যবসায়ীদের দাবি, দুপুরে রোদের দাপট ও গরম বেশি থাকার কারণে ক্রেতারা বাড়ি থেকে সেভাবে বের হননি। তবে সন্ধ্যার পর হরিশ পাল চৌপথি, দেশবন্ধু মার্কেট সহ শহরের শপিংমলগুলিতেও ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে শুরু করে। - নিজস্ব চিত্র