আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে সিকিম পর্যন্ত বিস্তৃত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তা কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত। চলতি বর্ষার মরশুমে ধস ও তিস্তা নদীর ভাঙনের জেরে সংশ্লিষ্ট রাস্তা ঘন ঘন বিপর্যস্ত হয়। কয়েক দিন আগে জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়। এরপর রাস্তাটি দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। মাঝে আবার ধসে কিছু এলাকা বিপর্যস্ত হয়। তা আবার মেরামত করা হয়েছে। দু’দিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে ছোট গাড়ির পাশাপাশি বাস ও পণ্য বোঝাই যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আট টন পণ্য বোঝাই ছ’চাকা বিশিষ্ট যানবাহন রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারবে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রমনিয়ান টি বলেন, রাত-দিন কাজ করে রাস্তাটি মেরামত করেছে পূর্তদপ্তর। যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি পর্যালোচনা করার পরই তা খুলে দেওয়া হয়েছে। পুজোর মুখে পাহাড়বাসীর ব্যাপক উপকার হবে বলেই আশা করছি।
এদিকে, বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কালিম্পং ও সিকিমে বেশকিছু বড়মাপের দুর্গাপুজো হয়। সেই এলাকাগুলিতে শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা পাঠান। মৃৎশিল্পী দীপেন পাল বলেন, পাহাড় থেকে দুর্গা প্রতিমার কিছু অর্ডার এসেছে। এতদিন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় সেই প্রতিমা পাঠানো নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এখন রাস্তা খুলেছে। প্রতিমা পাঠাতে আর সমস্যা হবে না।
মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি শিলিগুড়ির সব্জি, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, প্রসাধনী ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরাও খুশি। হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সনৎ ভৌমিক বলেন, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক হওয়ায় পাহাড় থেকে ক্রেতারা বাজারে আসছেন। - নিজস্ব চিত্র।