আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজস্ব তহবিলের বিপুল টাকা তছরুপ হয়েছে বলে দলেরই নির্বাচিত সদস্যদের অভিযোগ। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীনবন্ধু মণ্ডল এবং পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে এনিয়ে বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ইস্যুতে কয়েকদিন ধরে গোকুলনগরে বিজেপির দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এই রেষারেষি বন্ধ করতে মধ্যস্থতা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল।
শনিবার গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দুই শিবিরের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে ওই জেলা নেতা মিটিংও করেন। সেখানে হিসাব দিতে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাস্তানুবাদ হন। তারপরই তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত লোকজন মিটিংয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে ব্যাপক হুজ্জুতি করেন বলে অভিযোগ। মেঘনাদবাবু নিজেও হেনস্তার শিকার হন।
শনিবার গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভিতর ঝামেলার পর বিদ্রোহী সদস্যরা আরও এককাট্টা হয়েছেন। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস বলেন, সোমবার এই ইস্যুতে বিডিওর কাছে যাওয়া হবে। পঞ্চায়েত প্রধান হিসাব দিচ্ছেন না। এমনকী, বিডিওকেও হিসাব দিতে চাইছেন না। এহেন পরিস্থিতিতে ব্লক প্রশাসন আইনানুগ পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না সেটা জানতে সদস্যরা অফিসে যাবেন। এরপরও ব্লক প্রশাসন চুপ থাকলে জেলাশাসক অফিসে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা স্বদেশ দাস বলেন, উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বোর্ড গঠনের এক বছরের মধ্যেই লুটপাট শুরু হয়েছে। ওদের দলের সদস্যরাই এনিয়ে সরব হচ্ছেন। এখন নিজেদের উন্নয়ন করতেই বিজেপি নেতারা ব্যস্ত। সেজন্য হিসাব দিতে পারছেন না। নিজেদের মধ্যেই মারপিট বেঁধে গিয়েছে। এখন নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে আঙুল কামড়াচ্ছে।
যদিও গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই অপচেষ্টা সফল হবে না। সব কুৎসা সরিয়ে গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।-নিজস্ব চিত্র