Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষ পাশে, তাই এত স্পর্ধা তৃণমূলের 
হিমাংশু সিংহ

আমাদের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জনগণের ভোটে জিতে সাংসদ হননি। কোনও গরিব খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের পুরোভাগেও তাঁকে দেখা যায়নি সেভাবে। লোকসভার ভোটে ঘাম ঝরিয়ে লড়াই করতেও তাঁকে দেখেনি কেউ। রুপোর চামচ মুখে নিয়ে সেই ২০১২ সাল থেকে আগাগোড়া জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন জিতে রাজ্যসভার সদস্য তিনি। তাই রাজনীতিতে একটা দল ও তার নেতানেত্রীর স্পর্ধা কোন জাদুমন্ত্রে বাড়ে কমে, তার তল ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। হওয়ার কথাও নয়। নির্মলার রেকর্ড সপ্তমবার বাজেট পেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে কলকাতার ধর্মতলায় আর এক নেত্রী ভাষণ দিয়েছেন। বাজেট ভাষণ নয়, রাজপথে এক জননেত্রীর শহিদ স্মরণ। সংখ্যাতত্ত্বের ‘জাগলারি’ করে হাততালি কুড়নো নয়, নির্ভেজাল জন আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ! সামনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নন, যতদূর দেখা যায় শুধুই কালো মাথা। এরা কেউ ধনকুবেরদের ‘অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স’ উঠে গিয়েছে বলে উদ্বাহু হবেন না। সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনামের দরের ওঠা-নামায় এদের রক্তের গতি বাড়ে কমে না। 
গত ১৫ বছরের মধ্যে দেশের কর্পোরেট দুনিয়ার রেকর্ড মুনাফা এদের কাছে অর্থহীন। বরং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন একটি শব্দও বাজেটে 
উচ্চারিত হল না, তা নিয়েই এরা সরব। হ্যাঁ, এরাই জনগণ। দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি ও সংবিধানের প্রাণভোমরা। এই জনতা জনার্দন সঙ্গে থাকলে তবেই স্পর্ধা আকাশ ছোঁয়। 
২১ জুলাই মমতা যখন ধর্মতলায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন আকাশে মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা চলছিল। মুষলধারে বৃষ্টি এল, ভরা শ্রাবণের দুপুরে জননেত্রী ভিজলেন, কিন্তু ভাষণ থামল না। চশমা খুলে নিজের দলকে সতর্ক করলেন, ‘দুর্নীতি করলে রং দেখব না’। রাজধর্ম মেনে স্পষ্ট জেলে পোরার সতর্কবার্তা। হুঁশিয়ার করলেন বিরোধীদেরও। তাঁর বুকভরা জেদেই বৃষ্টি থেমে আবার হাল্কা রোদ্দুর উঠল। মমতার ভাষণ থামল। দেখা গেল, কাকভেজা হয়েও একজন অনুগামীও নিজের জায়গা থেকে সরেননি। জনগণের মন জেতার এই রসায়নের খোঁজ রাজ্যসভার সদস্য নির্মলা পাবেন কোথা থেকে? তাই এই স্পর্ধাও তাঁর বড্ড অচেনা!
মানুষের জন্য, মানুষের স্বার্থে এবং মানুষের দ্বারা যখন কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হয় তখন স্পর্ধা তার সহজাত বহিঃপ্রকাশ। এ দলের নিউক্লিয়াসে শুধুই আম জনগণ। একমাত্র মানুষ সঙ্গে থাকলেই কোনও রাজনৈতিক দলের দুঃসাহস আসমান ফুঁড়ে চলে যায়। সঙ্গে চাই আইনসভায় একক গরিষ্ঠতা। যাতে কাউকে ক্রাচ কিংবা টলমলে পায়ায় ভর করে সরকার চালাতে না হয়। লজ্জা ঘেন্নার মাথা খেয়ে বেছে বেছে দু’টি মাত্র রাজ্যকে উৎকোচ দিয়ে সরকার বাঁচাতে না হয়। বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্করা আজ ভুলে গিয়েছেন, ‘ঘুষ’ নেওয়ার চেয়েও ‘ঘুষ’ দেওয়া মোটেই কম অপরাধ নয়। সেই বাধ্যবাধকতা থেকেই সম্ভবত গত চার দশকের সবচেয়ে নির্লজ্জ সস্তা রাজনীতির বাজেট পেশ করেছেন মোদিজির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পদে পদে ধরা পড়েছে আজগুবি পরিসংখ্যান আর সময়মতো দেশে জনসুমারি না হওয়ায় সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকার প্রতিবন্ধকতা। 
বাজেট পেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই লোকসভায় তৃণমূলের ধিক্কার সহ্য করতে না পেরে তাঁর আস্ফালন, তৃণমূলের এত স্পর্ধা হয় কীভাবে? বলি, স্বপ্ন দেখতে যেমন সাহস লাগে তেমনই মানুষের পিছনে দাঁড়াতেও জরুরি কলিজার জোর। তৃণমূল ঠিকই করেছে, নির্মলার পূর্বসূরিরা কংগ্রেস আমলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কম সোচ্চার হননি। সব রাজ্য থেকে করের টাকায় দেশের উন্নয়ন হয়। সব কা কর নিয়েই সব কা উন্নয়ন। গেরুয়া প্রভারীরা যাকে গালভরা কথায় বলেন ‘বিকাশ’। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গসহ বাকিদের বঞ্চিত করে বিহারকে ঢালাও সুবিধা কোন আক্কেলে? রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সম্পদ ও অনুদানের সমবণ্টন ছিল দাবি। কিন্তু আখেরে এই বাজেট পুরোটাই যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনার চরম বিরোধী। গরিব ও সাধারণ মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী। গত সাতবারের বাজেটে নালন্দা, বুদ্ধগয়া, রাজগীরের উষ্ণ প্রস্রবণগুলির নাম কতবার উচ্চারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। কিংবা অন্ধ্রের নয়া রাজধানীর জন্য ১৫ হাজার কোটি, রাস্তার জন্য ২৬ হাজার আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২২ হাজার কোটি। এবার করেছেন খুব ভালো কথা। কিন্তু বাংলা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব সহ বাকিরা কোথায়? নীতীশের ১২ ও চন্দ্রবাবুর ১৬ জন এমপিকে তাঁবে রাখতে এতটা মূল্য দিতে হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাড়ে সর্বনাশের তো আর বাকি নেই! এই বাজেট আঞ্চলিক বৈষম্যকে শেষ সীমায় নিয়ে যাবে। বাংলার এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। টানা তিনবছর ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ। হকের টাকা আদায়ে তৃণমূল স্পর্ধা দেখাবে না তো দেখাবে কে?
যত দূর জানি নির্মলা দেবী অর্থনীতির ছাত্রী, রসায়ন কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নন। যে-রাজ্যে তাঁর জন্ম, সেই তামিলনাড়ুতে এবারও মোদিজির বিস্তর লম্ফঝম্পের পরও বিজেপির প্রাপ্ত আসন শূন্য! ‘অব কি বার ৪০০  পার’ নৌটঙ্কির মুখ থুবড়ে পড়া, নয়া সংসদের উদ্বোধনে তামিল অস্মিতাকে উস্কে দিতে সেঙ্গল নাটক, দক্ষিণের মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পুজো আর যজ্ঞর যুগলবন্দি, উপবাস কিছুই কাজে দেয়নি। শোনা যায়, বিজেপি নির্মলাকে এবার লোকসভা ভোটে লড়তেও বলেছিল। তিনি রাজি হননি, কারণ হয়তো গোহারা হারবেন বলে। হয়তো ভোটের ফল বেরনোর আগেই তাঁর নিশ্চিত পরাজয়ের কথা আগাম ঘোষণা করে দিতেন ঠোঁটকাটা স্বামী পরকলা প্রভাকরই স্বয়ং। তাঁদের ৩৮ বছরের বিবাহিত জীবনে যা মোটেই সুখকর হতো না। অর্থমন্ত্রীর স্বামী গত একবছর ধরে বর্তমান সরকারের কাজকর্ম নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন, তা মোদি সরকারের পক্ষে চূড়ান্ত লজ্জার। নির্মলা মুখে বলেছেন অত পয়সা নেই বলে ভোটযুদ্ধ থেকে বিরত থেকেছি। রাজ্যসভার চৌহদ্দির বাইরে বেরতে পারেননি। আর জনান্তিকে নিজেকেও হয়তো একটা কথাই বলেন, অরুণ জেটলি গুরুতর অসুস্থ হয়ে অকালে প্রয়াত না-হলে তাঁর অর্থমন্ত্রী হওয়াই হয়তো হতো না। কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস! নির্মলার এ পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বেশিবার বাজেট পেশের অতুল কীর্তির এটাই গূঢ় রহস্য! মোরারজি দেশাইয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। অষ্টমবারও দেশের অর্থনৈতিক প্রগতির (পড়ুন, আর্থিক অধোগতি!) পথে যাতে কোনও বাধা না আসে তার জন্য নজিরবিহীনভাবে ছুটিয়েছেন বিহার ও অন্ধ্র এক্সপ্রেস। সবকা সাথ সবকা বিকাশ ছোট হতে হতে আজ শুধু নীতীশ ও চন্দ্রবাবুর পৌষমাসে পরিণত। কেন? তা বুঝতে গেলে শুধু অর্থনীতির ছাত্রী হলে চলবে না। জানতে হবে রাজনীতির নাটবল্টু টাইট করার কৃৎকৌশল। বুদ্ধগয়া, নালন্দা—এসব তো আদি অনন্তকাল থেকেই রয়েছে। এবার দু’ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতায় বারবার তার উচ্চারণ করতে হল কেন? কারণটা সহজ, না-হলে গরিষ্ঠতা থেকে ৩২ আসন দূরে থেমে যাওয়া মোদিজির রাজ্যপাটই আর অবশিষ্ট থাকবে না। কে না জানে, এ ডাল থেকে উড়ে অন্য ডালে বাসা বাঁধতে নীতীশের মন সর্বদাই উচাটন! তাই অযোধ্যা নয়, বারাণসী নয়, মহারাষ্ট্রে এবছরের শেষে বিধানসভা ভোটে জেতার লক্ষ্যে কোনও মাস্টারস্ট্রোকও নয়, এবারের বাজেটের অভিমুখ বিহারমুখী। সঙ্গে সান্ত্বনা পুরস্কার অন্ধ্রকে। এর দোসর, জ্বলন্ত বেকার সমস্যাকে ধামাচাপা দিতে কর্মসংস্থানের নামে সস্তা ধাপ্পা। ভাবটা এমন, সরকার বললেই ৫০০টি কর্পোরেট সংস্থা যেন জলপানি দিয়ে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়ে নেবে! মাসে মাসে তাদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কিসসা তো সম্পূর্ণ ধোঁয়াশায় ঢাকা।
শক্তিশালী ৫৬ ওয়াটের আলো হঠাৎ দু’ওয়াটের টুনি লাইটে পরিণত হলে যা হয়, হয়েছে এক্ষেত্রেও তাই। গোটা রাস্তাটাই কেমন গা ছমছমে আঁধারে ছাওয়া ভুতুড়ে। মোদিজি আজ দু’জনের হাতে বন্দি। ক্ষুধিত পাষাণের গর্জন থাকলেও ঝাঁঝ নেই, শুধু আকুতি আছে। নিজেকে বাঁচানোর তাগিদ। মনমোহন সরকারের  অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলার পর তাঁর যে অবস্থা হয়েছিল, ‘দুর্বল’ মোদিজির অবস্থা আজ তার থেকেও শোচনীয়। রাজনীতির পুতুলনাচে পুরনো ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। কেউ উলঙ্গ নন, কিন্তু কাপড়টা এতই মিহি যে গায়ে কিছু আছে বলে মনেই হয় না। সবাই দেখছে এবং উল্লাস করছে। বঞ্চনা আর ক্ষোভ অট্টহাস্যে পরিণত হয়ে আগামী পাঁচবছরে বিশাল বারুদের গোলার মতো রাজ্যে রাজ্যে ফেটে পড়বে। পড়বেই। তখন নীতীশ আর চন্দ্রবাবু বাঁচাবেন তো! নাকি ২৪০ থেকে গরিষ্ঠতায় না পৌঁছে, উল্টে আরও কমে দেড়শোরও নীচে নেমে যাবে গেরুয়া শক্তি। ভবিষ্যৎ যাই হোক আর যে যাই বলুক, বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে সোচ্চার লড়াইয়ে তৃণমূলের স্পর্ধা এবং দুঃসাহস দুই-ই কখনও কম পড়বে না। কারণ দলের সুপ্রিমোর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
28th  July, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
জেসিকা পেগুলার রিটার্ন লাইনের বাইরে আছড়ে পড়তেই কোর্টে শুয়ে পড়লেন আরিনা সাবালেঙ্কা। চোখের জল লুকোতে দু’হাতে মুখ ঢাকলেন। কান্না নয়, আনন্দাশ্রু! এই আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ...

কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়ার বিরুদ্ধে কুত্সা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং।  আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামঞ্চে যাঁরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, তাঁদের ...

পেরিয়ে গিয়েছে আড়াই বছরের বেশি সময়। তবুও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন থামার নাম নিচ্ছে না। দু’পক্ষের লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ...

রবিবার সকালে বর্ধমানের সরাইটিকরে ভাড়াবাড়ি থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মিতা সামন্ত(৩৫)। তাঁর বাড়ি হুগলির খানাকুল থানার মালঞ্চ গ্রামে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিল্পকর্মে সাফল্য, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে আমেরিকার রাজধানীর নামকরণ হয় ওয়াশিংটন ডিসি।
১৮৫০: ৩১তম রাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৫০: আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক কবি ও নাট্যকার ‘ভারতেন্দু’ হরিশ্চন্দ্রর জন্ম
১৮৮২: ঔপন্যাসিক অনুরূপা দেবীর জন্ম
১৯২০: আলিগড়ের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়
১৯২০: সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক সন্তোষকুমার ঘোষের জন্ম
১৯৪১: মার্কিন প্রোগ্রামার তথা কম্পিটার বিজ্ঞানী এবং ‘সি’ প্রোগ্রামিং ভাষার জনক ডেনিস রিচির জন্ম
১৯৬৭: অভিনেতা অক্ষয় কুমারের জন্ম
১৯৭৬: চীনের কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুংয়ের মৃত্যু
১৯৮৯: মহিলা কবি  রাধারাণী দেবীর মৃত্যু
২০১৪: বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২৪ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী ৪১/১৩ রাত্রি ৯/৫৪। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৩৮ সন্ধ্যা ৬/৪। সূর্যোদয় ৫/১৫/৭, সূর্যাস্ত ৫/৪২/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/১০ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৭ গতে ৪/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৬ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী অপরাহ্ন ৫/১৪। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৩/৪। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৪/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৮ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: মালদহের ইংলিশবাজারে অভিনব রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 11:01:51 PM

ফরাক্কার অর্জুনপুর বাজারে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ

08-09-2024 - 10:49:37 PM

আর জি কর কাণ্ড: জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্যামবাজারে প্রতিবাদ মিছিল

08-09-2024 - 10:20:16 PM

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের টিম ঘোষণা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করল টিম ইন্ডিয়া।  ব্রিগেডে ...বিশদ

08-09-2024 - 10:08:14 PM

ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজস্থানের আজমীর

08-09-2024 - 09:54:49 PM

আর জি কর কাণ্ড: আসানসোলের নাগরিকবৃন্দের একাংশের রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 09:32:36 PM