Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না। তবে প্রায়ই বিলাসবহুল গাড়ি ঢুকতে ও বের হতে দেখা যেত। ওই বাগানবাড়িতে নাকি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের অনেকের যাতায়াত ছিল। সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকেও মাঝেমাঝে দেখা যেত। তবে বাগানবাড়ির মালিক আক্তারুজ্জামান নাকি বছরের বেশিরভাগ সময় আমেরিকায় থাকে। দেশে ফিরলে সেই বিলাসবহুল বাগানবাড়ি হয়ে উঠত আমোদ-ফুর্তির লীলাক্ষেত্র!
আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে আনোয়ারুল আজিমের সম্পর্ক কী? জানা গিয়েছে, দু’জনই ছোটবেলায় দারুণ ফুটবল খেলত। সেই সূত্রেই একসময় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। পরে আনোয়ারুলের মাধ্যমে সোনা চোরাচালানে যুক্ত হয় আক্তারুজ্জামান। সোনা পাচারে দু’জনের গুরু ছিল পরিতোষ চক্রবর্তী। ঝিনাইদহ শহরের সোনার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত পরিতোষ মারা যায় ২০১৩ সালে। এরপর আনোয়ারুল ও আক্তারুজ্জামান ঝিনাইদহ সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালানের বড় নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে। আনোয়ারুল রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে ভিসিআর-ভিসিডির ব্যবসা করত। জাপান থেকে ভিসিআর ও ভিসিডি আমদানি করে ভারতে পাচার করত। ভারতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। পাচারে হাত পাকানো সেই শুরু...।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের রাজনৈতিক উত্থানও দলবদল ও ক্ষমতার বলয়ের মাধ্যমে। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা ও পরে আওয়ামি লিগের সাংসদ আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসে। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলার নির্বাচিত হয় বিএনপি নেতা হিসেবে। ১৯৯৫ সালে আবদুল মান্নান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামি লিগে যোগ দেন। তখন আনোয়ারুলও তাঁকে অনুসরণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল ভারতে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, তোলাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্টও জারি করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল ‘নির্বাসন’ থেকে বাংলাদেশে ফিরে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে পায়নি। মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবদুল মান্নান। কিন্তু ২০১৪ সালে আবদুল মান্নানকে কোণঠাসা করে আনোয়ারুল মনোনয়ন পায়। তখন থেকেই গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আবদুল মান্নান মারা যাওয়ার পর কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ সদরের একাংশে আওয়ামি লিগের রাজনীতিতে আনোয়ারুলই হয়ে ওঠে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা। তবে চোরাচালানের দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি। তার সোনাপাচারের কারবার দিনের পর দিন ফুলে ফেঁপে ওঠে। আনোয়ারুলকে নাকি বাংলাদেশের অনেকে ‘সোনার আনার’ বলে ব্যঙ্গ করতেন। আর সেই সোনাপাচারের চক্রে জড়িয়েই নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে সাংসদ আনোয়ারুলকে। শুধু এই একটি খুনের তদন্তেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে চোরাচালানের ভয়ঙ্কর দুনিয়ার কাহিনি! জানা গিয়েছে একাধিক রুটের কথাও।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আখতারুজ্জামান আমেরিকাপ্রবাসী হলেও তারও প্রধান ব্যবসা সোনা চোরাচালান। আবুধাবি থেকে সোনা নিয়ে এসে ভারতে বিক্রি করাই ছিল তার ব্যবসা। এই কাজে তাকে সাহায্য করত আনোয়ারুল আজিম। গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছেন, সম্প্রতি কয়েকটি চালান নাকি আনোয়ারুল গায়েব করে দিয়েছে, যার দাম হবে অন্তত ২০০ কোটি টাকা। এই টাকার জন্যই আখতারুজ্জামান পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে খুন করেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে সোনা চোরাচালান ওপেন সিক্রেট। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সবাই ভাগ পায়। শুধু যশোর অঞ্চল নয়। বখরা যায় খুলনা পর্যন্ত। আনোয়ারুল আজিম টোকেন সিস্টেম চালু করেছিল। টোকেন দেখালে পুলিস–বিজিবি ধরবে না। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তে একের পর এক আক্তারুজ্জামানের সোনার চালান ধরা পড়ছিল। তাতে আক্তারুজ্জামানের গ্যাং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি মহেশপুরে সাড়ে চার কেজি সোনার একটি চালান ধরিয়ে দেয়। ওই চালান ছিল আনোয়ারুলের। এর জেরে আনোয়ারুলের সহযোগী তরিকুল ইসলাম (আকেলে) ওই দিনই মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা গ্রামে দু’জনকে গুলি করে 
খুন করে ভারতে পালিয়ে আসে। আক্তারুজ্জামান এরপর আনোয়ারুলের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু করে আনোয়ারুলকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ঘাতক প্ল্যান...।
অভিযোগ, সোনার চোরাচালান, মাদক পাচার ও হুন্ডি মাফিয়াদের কাছ থেকে সাংসদ আনোয়ারুল প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা পেত। এই টাকার ভাগ নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এর মধ্যে একজন প্রভাবশালী নেতা আনোয়ারুলের মাধ্যমে প্রতি মাসে দুই কোটি টাকা করে পেত। কিন্তু ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার পর থেকে আনোয়ারুল এই টাকার ভাগ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই অঞ্চলে সোনা চোরাচালান, মাদক ও হুন্ডি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য দেবেন বলে ধরা হয় তাদেরও একই পরিণতি ঘটে। ফলে এসব মামলায় কেউ সাক্ষী হতে চায় না। গোয়েন্দাদের দাবি, চিকিৎসার কারণ দেখিয়েও গত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন বাংলাদেশি বিপুল টাকা ভারতে এনে তা বিনিয়োগ করেছেন সোনা পাচারের মতো বেআইনি কারবারে। এমনকী সেই টাকার একাংশ অপরাধ জগতেও লগ্নি করা হয়েছে। এই ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’-কে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের পিছনেও কাজ করত আনোয়ারুলের মাথা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতে পাচারের সময় এই রুটগুলিতে প্রায়ই সোনার বড় বড় চালান ধরা পড়ে। ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সঙ্গে ভারতের সীমান্ত ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ। জানা গিয়েছে, এক বছরে ওই তিন জেলার সীমান্তে অন্তত ১৩০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যার বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৮ কোটি টাকা। মামলা হয়েছে ৫৩টি। তবে গ্রেপ্তার হয় শুধু সোনা পাচারকারী বেকার তরুণ, ভ্যান-রিকশাচালক ও গ্রামের সাধারণ মানুষ। মামলার রায় হলে সাজাও হয় শুধু তাদেরই। 
যারা সোনা ক্যারিয়ার, তারা উপর বা নিচু স্তরের কাউকে তেমন চেনে না। যে কারণে তাদের 
কাছ থেকেও সেভাবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে চোরাচালানের মূল হোতারা থেকে যায় 
নাগালের বাইরেই।
২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল ইকোনমিক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) মোট ৮৩৩ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু এত সোনা ভারতে পাচার হচ্ছে কেন? ইকোনমিক টাইমস বলছে, ভারতে সোনার উপর শুল্ক-কর মোট সাড়ে ১৮ শতাংশ। এতে চোরাচালানকারীরা উৎসাহিত হয়। চোরাচালানের মাধ্যমে ঢোকা প্রতি কেজি সোনার দাম ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১-১৩ লাখ) কম পড়ে। মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের বিমানবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে সেই সোনা আনা হয়। তারপর তা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়। সোনা চোরাকারবারির পাশাপাশি পাচার হয় ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা। সোনা ও মাদক পাচারের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়। স্বভাবতই এই মাফিয়াদের হাতে সোনা চোরাচালানের রুটের নিয়ন্ত্রক ছাড়াও হুন্ডির লেনদেনের একটি হিসেব রয়েছে। এই হিসেব অনুযায়ী এই মাফিয়াদের হাতে বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা হুন্ডিতে লেনদেন হয়।
সোনা চোরাকারবারির রুটও আন্তর্জাতিকভাবে কাটআউট পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। দুবাই থেকে ঢাকা অথবা দুবাই থেকে কাঠমান্ডু হয়ে ঢাকায় আকাশপথে সোনা বাংলাদেশে আসার পর এই চালান ভারতের বিভিন্ন শহরে নিরাপদে পৌঁছানোর দায়িত্ব থাকে এক একজন মাফিয়ার উপর। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন। এদের মধ্যে ঢাকা থেকে সড়কপথে ঝিনাইদহ দিয়ে যশোর প্রবেশের রুটটি স্থানীয় এক প্রাক্তন এমপি নিয়ন্ত্রণ করে। ঢাকা থেকে বরিশাল অথবা পিরোজপুর হয়ে সাগরপথে ফিশিং বোট দিয়ে সোনা চোরাকারবারির রুটটি নিয়ন্ত্রণ করে প্রথম নির্বাচিত একজন সাংসদ। মাত্র পাঁচ-ছয় বছরে সেই সাংসদ এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। তার বিরুদ্ধে সমুদ্রপথে সোনা ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
পিরোজপুর থেকে বরগুনা হয়ে বাগেরহাট দিয়ে ওই চালান আবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। ভারতে সোনা চোরাচালান ও হুন্ডির নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশে একটি গ্রুপ অব কোম্পানিজ। বছর বিশেক আগেও ঝিনাইদহ এলাকা থেকে আলোচিত হুন্ডি কাজলের মাধ্যমে ওই গ্রুপটি ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিল। হুন্ডি কাজল ভারতে আত্মগোপন করার পর ওই রুটটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সাংসদ আনোয়ারুল। ঢাকা থেকে রুটটি নিয়ন্ত্রণ করে বাগেরহাটের আরেক রাজনৈতিক নেতা। এই রুটটির মাধ্যমে দুবাই থেকে আকাশপথে ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে সোনার চালান পৌঁছায়। এইসব রুট বিজিবি-বিএসএফের অজানা থাকার কথা নয়।
প্রশ্ন হল, দিনের পর দিন এই রুট টিকে থাকে কীভাবে? বিজিবি-বিএসএফের ভূমিকা কী? কোথায় যায় পাচার হওয়া সোনা? সীমান্তে এত নিরাপত্তাব্যূহ, এত কড়াকড়ি, সেটা কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য? ভারতের ভিসার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মেডিকেল ভিসার জন্যও সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হয়। অথচ, খুনি, মাফিয়ারা অনায়াসে ভিসা পেয়ে যায় কী করে? অনেক তদন্ত সত্যের কাছাকাছি এসেও থমকে যায়। সাংসদ আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে সেটাই হবে না তো?
27th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
একনজরে
টাকা দিয়েও সময়মতো ফ্ল্যাট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রোমোটার বা ডেভেলপারদের টালবাহানায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাকে। অনেক ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বানানোর জন্য জমি নিয়ে কোনও নির্মাণ না করেই ...

ফুলবাড়ির সিমবক্সকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ পেল শিলিগুড়ি মোট্রোপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। ওই ঘটনায় চতুর্থ অভিযুক্ত আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর এই ব্যাপারে পুলিস নিশ্চিত হয়েছে। ...

ফিজিক্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তৃতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। ...

ভোট আসতে এখনও বাকি প্রায় চার মাস। তার আগেই একটি চ্যানেল আয়োজিত বিতর্কসভায় হাজির হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৩– লন্ডনে শেক্সপিয়ারের বানানো গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়
১৭৫৭– লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন
১৮৬৪– শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩– মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যু
১৮৯৩– বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্ম
১৯১৩ - নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৩৬– সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৮ টাকা ৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৯ টাকা ১০৭.১৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৭৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী ২৩/২৫ দিবা ২/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/৭। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ১/২৬ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তবিধি। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
১৪ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪। অষ্টমী দিবা ৩/৩৫। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১০/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/২৯ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৯ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। 
২২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: সুইৎজারল্যান্ড ২: ইতালি ০ (৫৬ মিনিট)

10:54:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট কুইন্টন ডি কক, দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৬/৪ (১২.৩ ওভার) টার্গেট ১৭৭

10:52:14 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮১/৩ (১০ ওভার) টার্গেট ১৭৭

10:40:13 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: ৩১ রানে আউট স্টাবস, দক্ষিণ আফ্রিকা ৭০/৩ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১৭৭

10:34:11 PM

ইউরো কাপ: সুইৎজারল্যান্ড ১: ইতালি ০ (হাফটাইম)

10:29:37 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২/২ (৬ ওভার) টার্গেট ১৭৭

10:23:20 PM