স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাত। ত্রিপলের ছাউনির নীচে চলছে তেলেভাজা, কচুরি, চায়ের দোকান। একটি দোকানে পিচবোর্ডের উপর সাদা কাগজ সাঁটিয়ে কিছু নম্বর লেখা রয়েছে। পাশে বসে রয়েছে বছর তিরিশের এক যুবক। তাকে ঘিরে অনেকগুলি কালো মাথা।
রেলগেট শূন্যে যেন দুলছে। হঠাৎ সেটি সটান গিয়ে পড়ল হাইটেনশন বিদ্যুতের তারে। আতসবাজির মতো আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে তারে ঘষা খেতে লাগল। সঙ্গে চড়চড় করে বিকট শব্দ। ঠিক তখনই লাইনে ঢুকল বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল।
হকারদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাজার কমপ্লেক্স। বাম আমলে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে হকারদের সেই বাজারে নিয়ে যাওয়া যায়নি। গ্যালিফ স্ট্রিটের সেই বাজারই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে কলকাতা পুরসভার শ্রমিক আবাসন।
কলকাতার ফুটপাত দখলমুক্ত করা শুরু হলেও বারাকপুরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ফুটপাতে দখলদারি চলছে। বিশেষ করে বারাকপুরের চিড়িয়ামোড় থেকে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত ফুটপাত আর ফুটপাত নেই।
ফুটপাত ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে হকারদের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে বিকল্প জায়গায় তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। সেই মতো জায়গার খোঁজ শুরু করেছে বিভিন্ন পুরসভা ও জেলা প্রশাসন।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কার্যত ঢুকে গিয়েছে। একটানা অসহনীয় গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি গোটা রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু উল্টো সুর কলকাতার মেট্রো যাত্রীদের।
হকারদের পর এবার নজরে শহরের ফুটপাত ও ব্রিজের নীচের অংশ দখল করে থাকা ফুটপাতবাসীরা। কলকাতার ফুটপাতে ঝুপড়ি বানিয়ে থাকা গৃহহীনদের সরিয়ে ফুটপাত মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা।
ছোট ছেলে রোজই নেশা করে থাকত। বাবা তার প্রতিবাদ করতেন। তাই রাগের বশে সে বাবাকে খুন করে পাশের একটি বাগানের মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল।
বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একটি কাপড়ের দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
ফের ফিরে এল চন্দননগরের নির্মম স্মৃতি। এবার ঘটনাস্থল পাণ্ডুয়া। বাইকের সামান্য ধাক্কা নিয়ে বিবাদের জেরে গণপিটুনি। তার জেরেই বছর পঁচিশের আশিস বাউল দাসের প্রাণ চলে গেল। শনিবার রাতে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনীর ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নবম দফায় সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল বণ্টন এখনও শেষ হয়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, সাইকেল সংগ্রহই করেনি অন্তত ১৭০০ ছাত্রছাত্রী। এই তথ্য নিয়ে জল্পনা চলছে। আধিকারিকরা বলছেন, প্রতিটি স্কুল তাদের পড়ুয়া সংখ্যা অনুযায়ী সাইকেল চেয়ে আবেদন করেছিল।
মরশুমের প্রথম থেকেই বাজারে ‘পিল’ বা ছোট ইলিশ ঢোকা শুরু হয়ে গেল। ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দেদার আসা শুরু হয়েছে মৎস বন্দরগুলিতে। ক্রেটে বরফ চাপা দিয়ে লুকিয়ে ছোট ইলিশ ডায়মন্ড হারবার ও শিয়ালদহের মাছের বাজারে পাঠিয়ে দিচ্ছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী।
সরকারি জায়গায় তৈরি হচ্ছিল বেআইনি নির্মাণ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সেই কাজ খতিয়ে দেখে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল প্রশাসন। ঘটনাটি দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত এলাকার।
বর্ষার মরসুমের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন বজবজের রায়পুর, বুড়ুলের গদাধর গ্রাম ও ফলতার নলদাঁড়ির গঙ্গাপাড়ের মৎস্যজীবীরা। কারণ এই সময় সাগরের মোহনা থেকে উজান পেরিয়ে গঙ্গায় চলে আসে রুপোলি ইলিশের ঝাঁক।
দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোন রাস্তায় কত হকার বসছেন, তাঁদের নাম, ছবি ইত্যাদি সব তথ্য জানা যাবে অ্যাপ থেকে। আপাতত শহরের কয়েকটি হকার অধ্যুষিত এলাকাকে ধরে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে অ্যাপটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন দিলে কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত হকারদের তথ্য অ্যাপে সংযুক্ত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া হকার পুনর্বাসন সংক্রান্ত হাই পাওয়ার কমিটির বৈঠকের পর এ কথা জানান কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, হকার সমীক্ষার রিপোর্ট এক মাসের মধ্যে পেশ করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জানা গিয়েছে, পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর এই অ্যাপ তৈরি করছে। কোন রাস্তায়, ফুটপাতের কোন অংশে, কতটা জায়গা নিয়ে (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ধরে) কোন হকার বসেছেন তা অ্যাপে নথিভুক্ত থাকবে। প্রত্যেক হকারের নির্দিষ্ট জায়গাটির জিপিএস ট্যাগিং হবে। পাশাপাশি আধার সংযুক্তিকরণও হবে তাঁদের। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনও হকার তাঁর জায়গা অন্য কাউকে বিক্রি বা ভাড়া দিতে পারবেন না। হকারদের আবেদনপত্র দেওয়া হবে। সেখানে সবাই নিজেদের বিস্তারিত তথ্য দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দিলে পাইলট প্রজেক্টে হাতিবাগান, গড়িয়াহাট এবং নিউমার্কেটের হকারদের অ্যাপের আওতায় আনা হবে। তারপর এ কাজ হবে কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র। এদিন হাই পাওয়ার কমিটি নিউমার্কেট পরিদর্শন করে। মেয়র জানান, হকারদের মালপত্র রাখার জন্য বেহালা এবং গড়িয়াহাটে গুদামের জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। নিউমার্কেট এবং হাতিবাগানের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। ভেন্ডিং জোন, নো হকিং জোন এবং আংশিক ভেন্ডিং জোন ধরে কোথায় কোন হকারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। এদিনের বৈঠকে বেআইনি পার্কিং নিয়েও আলোচনা হয়। মেয়র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মাল্টিলেভেল কার পার্কিং তৈরির জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
