কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলার সমস্ত প্রশাসনিক কর্তা। যদিও সেই বৈঠকে কলকাতা লাগোয়া রাজারহাট-নিউটাউন ছাড়া অন্য এলাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুরকর্তারা। তবে হকার পুনর্বাসনের জন্য বিকল্প জায়গার খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। জেলার প্রত্যেকটি শহর ও মফস্সলে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে কতজন ব্যবসা করছেন, সেই তথ্য সংগ্রহ করতে নেমেছে জেলা প্রশাসন। পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে হকারদের জন্য কোনও বিল্ডিংয়ে মার্কেট কমপ্লেক্স ধরনের কিছু তৈরি করে দেওয়া যায় কি না, শুরু হয়েছে সেই ভাবনাচিন্তাও। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘সরকারি জায়গা খোঁজা হচ্ছে। প্রত্যেকটি পুরসভা এলাকায় কত স্থায়ী হকার এবং কত অস্থায়ী হকার আছেন, তার তথ্যভাণ্ডার তৈরি হচ্ছে।’ হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহার কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতে প্রস্তুতি শুরু করেছি আমরা। হকারদের জন্য বিকল্প সরকারি জায়গা খোঁজা চলছে। আশা করছি, দ্রুত এই কাজ শেষ হবে।’ মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাস্তা সচল রেখেই হকারদের বাঁচাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছি আমরা।’ বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হকারদের পুনর্বাসন দিতে মুখ্যমন্ত্রী যে গাইডলাইন দিয়েছেন, তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব।’ বিষয়টি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো সরকারি জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। সেখানে হকারদের বিকল্প ব্যবস্থার দিকটি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তাপস দাশগুপ্ত জানান, হকারের সংখ্যা চূড়ান্ত করে দ্রুত জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।