কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
যাত্রীবাহী বাসটি চন্দ্রকোণা থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসটি প্রচণ্ড জোরে যাচ্ছিল। মেচগ্রামের কাছে বাসের সামনে এক সাইকেল আরোহী চলে আসেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। নয়ানজুলিতে গেট অবরুদ্ধ হওয়ায় ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীরা আতঙ্কে আর্তনাদ করতে থাকেন। আশেপাশের লোকজন দৌড়ে গিয়ে বাসের জানালার কাচ ভেঙে যাত্রীদের বাইরে বের করে আনেন। ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে নয়ানজুলি থেকে তোলা হয়।
দাসপুর থানার কলোড়া থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসে চড়েছিলেন পর্ণা মিশ্র। বাসের ভিতর থেকে বের করার পর তিনি বলেন, বাসটি বেশ জোরে ছুটছিল। সমস্ত সিটে যাত্রী ছিল। সাত-আটজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। একজন সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। যাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন। আমি পিছনের দিকে ছিলাম। কোনওরকমে বেরিয়ে এসেছি।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার চন্দনকুমার মণ্ডল বলেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস থেকে মোট আটজন যাত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর-খড়্গপুর সংযোগকারী মোহনপুর ব্রিজে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ হতেই ঘাটাল-পাঁশকুড়া রোডের উপর গাড়ির চাপ অনেকটা বেড়েছে। চন্দ্রকোণা, ক্ষীরপাই, ঘাটাল এলাকার ভারী পণ্যবাহী গাড়ি মোহনপুর ব্রিজ এড়াতে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক ব্যবহার করছে। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়তেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। প্রতি মাসে গড়ে ২০টি দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই রাস্তায় পাঁশকুড়া-দাসপুরের সংযোগকারী দুর্বাচটি খালের উপর খুকুরদা ব্রিজ জরাজীর্ণ। পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে দুর্বল সেতুর নোটিস ঝোলানো হয়েছে। ভারী যানবাহনে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এনিয়ে সাধারণ ও নিত্য যাত্রীরা আতঙ্কিত।
মেচগ্রামের স্কুল শিক্ষিকা মোনালিসা পারভিন ও দাসপুরের বেলতলার বাসিন্দা সুমেরু বসু বলেন, পাঁশকুড়া-ঘাটাল সড়কে ভয়ঙ্করভাবে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এই সড়কে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। তাই প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই, এই সড়কে যাত্রী নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হোক।-নিজস্ব চিত্র