কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
আরামবাগ শহর ঘন জনবসতি এলাকা। মূল শহরে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বহুতল ভবন, মার্কেট কমপ্লেক্স, বাণিজ্য কেন্দ্র রয়েছে। হকার কর্নারগুলোতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। অধিকাংশ জায়গায় অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। মাঝেমধ্যেই শর্ট সার্কিট থেকে ছোটখাটো আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিদ্যুতের খুঁটিতে বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। আগুন লাগলে সবজায়গায় দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর রাস্তা নেই। শহরের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগ ও মহকুমা বিদ্যুৎ দপ্তরের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিদ্যাসাগর বাসস্ট্যান্ডের উপর অবস্থিত বিজয় মোদক সুপার মার্কেটে ১৫০টির বেশি দোকান রয়েছে। মার্কেট ভিতরেও বিদ্যুতের তার বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে। মার্কেটে দু’টি খাবার হোটেল, জরির কাজ সহ একাধিক দাহ্য বস্তুর দোকান রয়েছে। সেখানে স্টোভ জ্বেলে রান্না হচ্ছে। নীচে হোটেল, জুতো, ব্যাগ সহ একাধিক দোকান। উল্টোদিকে পাঁচ ফুট দূরেই পুরসভার টেরিজা মার্কেট। ঘিঞ্জি এই মার্কেটে পরিকল্পিত অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। শহরের বি কে রায় সুপার মার্কেট, সুকান্ত মার্কেট, নজরুল হকার্স কর্নার, পুরসভার সুপার মার্কেটের চিত্র প্রায় একইরকম। শহরের একাধিক হকার্স কর্নার, মার্কেট কমপ্লেক্স, বাজার জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। বিদ্যাসাগর বাসস্ট্যান্ডের নীচের হকার্স কর্নারের ব্যবসায়ী মহম্মদ জুয়েল খান বলেন, আমার রেস্তরাঁ আছে। এই চত্বরে ইলেকট্রিক তারগুলো বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে। শর্ট সার্কিট থেকে মাঝেমধ্যেই আগুন ধরে যাচ্ছে। বড়সড় আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে যাবে। দিনরাতে বহু লোক এখানে আসেন। পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগকে বিষয়টি দেখার জন্য বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আতঙ্কের মধ্যেই ব্যবসা করতে হচ্ছে। পুরসভা মার্কেটের এক সব্জি ব্যাবসায়ী বলেন, বাজারের চারিদিক ঘেরা। প্রবেশ ও বাহিরের দু’টো গেট আছে। ইলেকট্রিক তারগুলো জটলা পাকিয়ে ঝুলছে। শর্ট সার্কিট থেকে ছোটখাট আগুন জ্বললে আমাদের নেভাতে হয়। বিদ্যুৎ দপ্তর ও পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কোন নজর নেই। দিনপর দিন এইভাবেই চলছে।
পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, টেরিজা মার্কেট, নজরুল হকার্স কর্নার, পুরসভার সুপার মার্কেট, গৌরহাটী হকার্স কর্নার, কালীপুর হকার্স কর্নার সহ সব এলাকায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এছাড়াও ছাড়াও দৌলতপুর নেতাজি স্কোয়ার, গৌরহাটী, বাসুদেবপুর প্রতীক্ষালয়গুলোতে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা থাকবে। ড্রাই ও লিকুইড অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সর্বক্ষণের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। মহকুমা বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিদ্যুৎ ঝুলে থাকা তার সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, শহরের বিভিন্ন মার্কেট, হকার্স কর্নার, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হবে। পুরসভার বাসিন্দারদের কাছে অগ্নি নির্বাপণ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।