Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে। অপারেশন টেবিলেই হৃদযন্ত্র থেমে গেল তাঁর। কে এই ললিতনারায়ণ মিশ্র? একটু পিছনে তাকাতে হবে। কংগ্রেসের খাস লোক এবং ইন্দিরা ঘনিষ্ঠ। আগে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে ডোনেশন আসত চেকের মাধ্যমে। কোনও বড় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান দলগুলিকে চেকের মাধ্যমেই চাঁদাটা দিত। রাজনীতির দরবারে দুধের শিশুরাও জানে, পার্টি চালানোটা শুধু কৌটো নেড়ে সম্ভব নয়। আর কোনও নেতা বা নেত্রী নিজেদের পকেট থেকেই দল চালানোর টাকা দেবেন না। তাহলে সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? কেন, বড় বড় কোম্পানি দেবে! বিনিময়ে নানাবিধ সুযোগ সরকার বা প্রধান বিরোধীদের থেকে তারা পাবে। এটাই অলিখিত নিয়ম। চেকে টাকা নিলে সমস্যা একটাই—কংগ্রেসকে কোন সংস্থা কত টাকা দিচ্ছে, সেটা বোর্ডে লিখে রাখার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। বাকিদের থেকে যেহেতু তখন কংগ্রেসই বেশি টাকা পেয়ে থাকে, তাই অতিরিক্ত ‘স্বচ্ছতা’ ভাবাল ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি আইন করে চেকের মাধ্যমে ডোনেশন নেওয়া বন্ধ করে দিলেন। তাহলে পার্টি তহবিল ভরল কীভাবে? নগদে। কালো টাকায়। ডোনেশন হয়তো একই সূত্র থেকে এল। কিন্তু তার লেখাপড়া কিছু থাকল না। কংগ্রেসের হয়ে এই কালেকশনের কাজটা হাতেগোনা কিছু নেতা করতেন। তাঁদের মধ্যেই ললিতনারায়ণ একজন। টাকা জোগাড় হতো, আর সেটা বিলিবণ্টনের ফর্মুলা বাতলে দিতেন মিসেস গান্ধী। সম্পূর্ণ অন্তরালে থেকে। ফলে নগদের উপর যাঁরা বসে থাকতেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতই। ললিতনারায়ণ মিশ্রর বিরুদ্ধেও উঠল। কারণ, এই কালো টাকার তহবিলটা সামলাতেন তিনিই। সংসদের সব দল তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দেগে দিয়েছিল। কংগ্রেসের মধ্যেও ললিতনারায়ণকে নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। জয়প্রকাশ তাঁর বিরুদ্ধে বেসরকারি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তারপরই বিস্ফোরণের ঘটনা এবং ললিতনারায়ণের মৃত্যু। বলা হয়, তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে শক্তিশালী কারও হাত ছিল। সে অবশ্য আজও প্রমাণ হয়নি। তবে জবাব মিলেছে একটি গুরুতর প্রশ্নের—স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর সবচেয়ে বাধ্য ‘ছাত্রে’র নাম কী?—নরেন্দ্র মোদি। সরকার পরিচালনা, আগ্রাসন, পার্টি ফান্ডের ব্যবস্থা, আম জনতার ইস্যু চাপা দেওয়া... একের পর এক ক্ষেত্রে মিসেস গান্ধীকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে গিয়েছেন মোদিজি। সেই ধারা আজও চলছে। তিনি কালো টাকার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, কিন্তু আইন কাজে লাগিয়ে কার্যকর করছেন নির্বাচনী বন্ড। সবাই জানে, বড় বড় কোম্পানি, কিংবা বেআইনি সংস্থাগুলি নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য ঢেলে বন্ড কিনছে। কিন্তু সেই সংস্থাগুলির নাম এবং কোন দলকে তারা ওই টাকা দিচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। 
জওহরলাল নেহরুকে ছুঁতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী। যে রেকর্ড ইন্দিরা গান্ধীরও নেই। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে মোদির। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ভালো হতো, দেশ-বিরোধী-সমাজের উপর ঘোরানোর ছড়িটা আরও শক্ত হয়ে উঠত। তা হয়নি। কিন্তু তাতেও খুব একটা সমস্যা নেই। ২৪০ আসন পেয়েছেন। শরিকরাও মোটামুটি ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে ফোঁস করে ওঠা? ওটা ছোট শরিকদের চরিত্র। গা করতে নেই। তাই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরছেন মোদিজি। তাঁর মুকুটে পালক এমনিতেই কম নেই! নোট বাতিল বা জিএসটির মতো ব্যর্থ প্রশাসনিক নীতিকে তিনি চাপা দিতে পারেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিয়ে, চূড়ান্ত আগ্রাসী হয়ে সংসদে দাঁড়িয়েই বিরোধীদের কর্মসূচিকে ‘নখরা’ বা ‘ন্যাকামো’ বলার সাহস দেখান, আবার মূল্যবৃদ্ধি বা বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যুকে ২৫ বছরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুলিয়ে রাখেন। এরপরও যদি বলা হয়, ইন্দিরা গান্ধীর সবচেয়ে সুযোগ্য ছাত্র তিনি, তাহলে কি খুব ভুল হবে? এই দু’জনেরই একটি বিষয় ভীষণভাবে কমন—আধিপত্য। ক্ষমতা। ভক্তরা বলতেই পারেন, ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ওই ইমার্জেন্সি ভারতের জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ওই একটি ক্ষেত্রেই তো নরেন্দ্র মোদি আলাদা হয়ে যান মিসেস গান্ধীর থেকে! সত্যিই কি তাই? জরুরি অবস্থা নিয়ে ৫০ বছর পরও মানুষের মনে এতটা আতঙ্ক এবং ঘৃণা কেন? কারণ আমরা জানি, ইমার্জেন্সি জারি হয়ে যাওয়া মানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি। মত প্রকাশের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার, পরিকাঠামোর দাবি... কোনওটাই আর সহজলভ্য নয়। সংবিধানের একটি ধারা ব্যবহার করে সংবিধানকেই স্রেফ শেলফে তুলে রাখা। নাঃ, নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারা কার্যকরের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে করেননি। কিন্তু মৌলিক অধিকার সব বজায় আছে তো? বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? কাজ করে পারিশ্রমিক পাওয়াটা যে কোনও দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। বাংলার যে মানুষগুলো ১০০ দিনের কাজে শ্রম দেওয়ার পর পারিশ্রমিকের আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন, তাঁদের মৌলিক অধিকার কি লঙ্ঘিত হয়নি? মত প্রকাশ করলেই কি সমাজকর্মী বা সাংবাদিকদের দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হয়নি? সরকারি হিসেবই বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার নাগরিক ইউএপিএ বা সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই কি দোষী প্রমাণিত? না। মোদি সরকাররের রিপোর্টই বলে, ২০১৪ সাল থেকে যত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছে, তার ৯৭ শতাংশই ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। তাহলে এভাবে আইনের ব্যবহার করে মত প্রকাশে তালা লাগানোর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা কি অস্বাভাবিক? এটা কি অলিখিত জরুরি অবস্থা নয়?
তুমি আঞ্চলিক দল হিসেবে নির্বাচনে জিততেই পারো। কিন্তু আমার ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে হবে। না হলে বন্ধ হবে সরকারি সুবিধা, ধেয়ে যাবে এজেন্সি। বিরোধী কোনও নেতা বা নেত্রী মোদি সরকার বা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলে দরজায় কড়া নাড়বে ইডি। আর তার ভবিষ্যদ্বাণী করবেন সেই গেরুয়া দলেরই কোনও তল্পিবাহক নেতা। কীভাবে? সবটাই কি প্ল্যান্টেড? উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? এটাও কি জরুরি অবস্থা নয়? বেআব্রু হয়ে পড়বে মহামান্য ভারত সরকারের দুর্নীতি। আর সেই নিট পরীক্ষায় নতুন প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ প্রতিনিধির আঘাতের কথা বলতে গেলে সংসদের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বিরোধী দলনেতার মাইক। তাঁর কথা শুনবে না দেশ। শুনবে না অধিবেশন। নাঃ, ইমার্জেন্সি চলছে না। কিন্তু তাও সমালোচনা শোনা যাবে না। শুনতে দেওয়া যাবে না। এরপরও একে অলিখিত ইমার্জেন্সি বলা যাবে না? শোনা যায়, বিভিন্ন পত্রিকা ও চ্যানেলের সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ‘কোনও এক দলের’ শীর্ষ নেতা। প্রত্যেককে খুব বিনয়ের সঙ্গে কিছু প্রশ্ন করেন। একেবারে ব্যক্তিগত প্রশ্ন। বুঝিয়ে দেন, আপনাদের হাঁড়ির সব খবর আমাদের কাছে আছে। আর বলেন, ভোটে একটু দেখবেন। তারপর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। একে কী বলা যায়? গণতন্ত্র?
হয়তো তাই। সেই জোট ভরসায় ঠেলেঠুলে সরকারে আসার পর প্রথম অধিবেশনেই ইমার্জেন্সিকে রেজল্যুশন হিসেবে তুলে ধরে এনডিএ সরকার। ৫০ বছর আগের তিক্ত ক্ষতকে খুঁচিয়ে তোলে। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণেও একটা বড় জায়গা করে নেয় সেই ইমার্জেন্সি। তুলে ধরা হয় তার কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু একবারও বলা হয় না, ওই ২১ মাস থেকে তারা কী শিখেছে। একবার এই সরকার বলে না, কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের মতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তৈরি করে না কোনও নিষেধের তালিকা। এমন সমালোচনা করার মানে কী, যার থেকে কোনও শিক্ষার অবকাশ নেই? ইমার্জেন্সির প্রতিটি কলঙ্ক যদি নিখুঁতভাবে অনুসরণ করা হয়, তার নিন্দা করার কৃতিত্বই বা কোথায়? 
তাও নরেন্দ্র মোদি সেটাই করছেন। করবেনও। এটাই যে তাঁর অস্ত্র! বিরোধীর শক্তিক্ষয় করে নিজের শক্তি বাড়িয়ে নেওয়া। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর লক্ষ্য, কিন্তু তাঁর প্রধান শত্রুও। লক্ষ্য কেন? একনায়কতন্ত্রের শিকড় তিনিই ভারতের মাটিতে মজবুত করেছিলেন। আর শত্রু কেন? মিসেস গান্ধী দেশের জন্য যতটা নিজেকে উজাড় করেছিলেন, যেমন নীতির প্রণয়ন করেছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেওয়ার ক্ষমতা নেই এই সরকারের। ব্যাঙ্ক অধিগ্রহণ, গৃহহীন শ্রমিকদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা, ভূমি সংস্কার আইন, বন্ডেড লেবার প্রথার অবলুপ্তি, গরিব মানুষের ঋণ মকুব, আয়ের অনুপাতে মধ্যবিত্তকে কর কাঠামোয় সুবিধা, সবুজ বিপ্লব... তালিকা দীর্ঘ। আর এর সবই তিনি করেছিলেন ইমার্জেন্সির ওই ২১ মাসের মধ্যে। মিসেস গান্ধীর সাজিয়ে যাওয়া বাগানের ফুল তুলে এখনও সুগন্ধের কৃতিত্ব দাবি করে মোদি সরকার। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখে, এই দেশের সংস্কারে আদৌ কতটা ভূমিকা তাদের রয়েছে? 
হয়তো ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরাচারী ছিলেন। কিন্তু তাবৎ বিশ্ব তখন জেনেছিল, ভারতের মেরুদণ্ড আছে। পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে প্রধান ভূমিকা ছিল তাঁর। স্বৈরতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে ছিল গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক একটি মুখ। জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ছাত্র-যুব-দেশবাসীর আন্দোলনকে দমন করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু শিক্ষা নিয়েছিলেন তার থেকে। তাই জরুরি অবস্থার আঁচে নির্বাচনে ভরাডুবির পরও ফিরে এসেছিলেন তিনি। স্বমহিমায়। ৫০ বছর পেরিয়েছে। আরও একটি দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ছাত্র-যুবর অন্দরে। প্রশ্নফাঁস... পরীক্ষা... শিক্ষা... অধিকার। এই ভারতের বিস্ফোরণ ঘটলে পরিণতি কী হবে? তখনও কি অলিখিত ইমার্জেন্সিই দমন করবে অধিকারবোধকে? নাকি হবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? ছাত্র নরেন্দ্র মোদির পরীক্ষা কিন্তু এখনও বাকি।
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
একনজরে
মাস্ক পরে খেলা একেবারেই পছন্দ নয় কিলিয়ান এমবাপের। কিন্তু নাকের চোটের কারণে তাঁর কাছে বিকল্প নেই। মাস্ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফরাসি স্ট্রাইকারের মন্তব্য, ‘মনে হচ্ছে যেন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম খেলছি। প্রথম ম্যাচে নেমে মনে হচ্ছিল সবকিছু থ্রি’ডিতে দেখছি ...

ট্রেন লাইনের উপর বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে বিপত্তি। এর জেরে হাওড়া-আমতা লাইনে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় সোমবার। এদিন সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বড়গাছিয়া স্টেশনের কাছে। এদিকে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।  ...

কল্যাণীর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বোটলিং প্লান্টে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। আগেও তাঁরা বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিনের বিক্ষোভে শামিল হন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ...

জেলবন্দি কাশ্মীরের সাংসদ রশিদ ইঞ্জিনিয়ারের শপথ গ্রহণের বাধা কাটল। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই নিয়ে রায় দেবেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক চান্দের জিৎ সিং। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস
১৭৫৬ - নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর
১৭৫৭- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মৃত্যু
১৮৪৩- হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের মৃত্যু
১৯২৯- নাট্যকার ও অভিনেতা অমৃতলাল বসুর মৃত্যু
১৯৪৬- অভিনেতা রাজা মুরাদের জন্ম
১৯৫৪- সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ আজিজের (মুন্না) জন্ম
১৯৬১- মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মৃত্যু
১৯৭৭- পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে
২০০৭- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯০ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৮.১৭ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী ৯/১৮ দিবা ৮/৪৩। ভরণী নক্ষত্র ১/৮ প্রাতঃ ৫/২৭ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৯/১০ শেষরাত্রি ৪/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১২/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৭ গতে ৩/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে রাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ গতে ৯/১ মধ্যে।   
১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী দিবা ৮/৫০। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/১৭। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল নেদারল্যান্ডস

11:30:47 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ৩ (৯০+৪ মিনিট)

11:24:35 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ২ (৮৩ মিনিট)

11:19:05 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (৫৭ মিনিট)

10:47:10 PM

হাতরাস কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬

10:35:16 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (হাফটাইম)

10:30:29 PM