Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত। শাস্ত্রীর তো কোনও কোটও নেই। ফের ডেকে পাঠালেন শাস্ত্রীকে। বললেন, ‘তুমি যে অসমে যাবে, তোমার কি কোট আছে?’ শাস্ত্রী আমতা-আমতা করায় নেহরুর কাছে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার। নেহরু তাঁকে নিজের কোটটা দিয়ে বললেন, ‘এটা নিয়ে যাও। অসমে প্রয়োজন হবে।’ দীর্ঘদেহী নেহরুর কোট লালবাহাদুর শাস্ত্রীর গায়ে খুব বেমানান লাগছিল, কিন্তু তাছাড়া তো কোনও উপায়ও নেই। এই লালবাহাদুর শাস্ত্রী হয়েছিলেন দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী।
লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মতো দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু আজকের নরেন্দ্র মোদির বেশভূষা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ট্রয় কস্তা নামে যে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের পোশাক তৈরি করেন, নরেন্দ্র মোদির পোশাকও তিনিই তৈরি করেন। ‘রোমে গেলে রোমান সাজা’র নীতিকে মাথায় রেখে মোদির বেশভূষাও বদলায় প্রতিটি সফরে। প্রতিটি মুহূর্তে। যদিও রাজনীতির কারবারিরা বলেন, মোদি পোশাক নিয়েও রাজনীতি করেন। আর তাতে তাঁর গোটা শরীর থেকে ফুটে বেরয় অহংকারের দগদগে চিহ্ন! হয়তো নিজের অতীত ভুলে গিয়েছেন। বোঝাই যায় না একসময় তিনি নাকি চা বিক্রি করেছেন। বেড়ে উঠেছেন গরিব পরিবারের যন্ত্রণার মাঝেই...। 
এমন টুকরো টুকরো পরিবর্তনের পরিণতিতেই মোদির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) দূরত্ব বেড়েছে। ভোট চলাকালীন বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রতাপ (জেপি) নাড্ডা সঙ্ঘ সম্পর্কে এক বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপি যত দিন সক্ষম ছিল না, তত দিন তাদের সঙ্ঘ সাহচর্য প্রয়োজন ছিল। এখন বিজেপি সক্ষম হয়েছে। নিজের ভালোমন্দ নিজেরাই বুঝতে শিখেছে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে শিখেছে। এখন আর প্রতি পদে সঙ্ঘের প্রয়োজন নেই।’ কেন নাড্ডা হঠাৎ ওই মন্তব্য করেছিলেন তা এক বিস্ময়। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এবারের ভোটে সঙ্ঘ বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে সেভাবে সক্রিয় হয়নি। নরেন্দ্র মোদির কর্তৃত্ববাদী আচরণ তাদের পছন্দ নয়। যেভাবে সঙ্ঘের আদর্শবিরোধীদের মোদি দলে টেনেছেন, নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন, তা তাদের অনুমোদন পায়নি। নির্বাচনী প্রচার পর্বে যে গুঞ্জন পল্লবিত হয়েছিল, তা যে নিছক গুজব ছিল না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সরকার গঠনের পরদিন এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রকৃত সেবকের অহংকারী হওয়া সাজে না। মর্যাদা রক্ষা করে তাঁকে চলতে হয়। নির্বাচনী প্রচারে সেই মর্যাদা রক্ষিত হয়নি।’ সেই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকারকে স্থিতিশীল করতে গেলে মোদিকে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ঐকমত্যের উপর জোর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি বারবার নিজেকে প্রধান সেবক বলে জাহির করতেন। সেই সেবকের প্রকৃত সংজ্ঞা কী, ভাগবত তাঁর ভাষণে তা ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন, ‘যিনি বাস্তবিকই সেবক, যাঁকে সত্যি সত্যিই সেবক বলা যায়, তিনি সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলেন। যিনি সেই মর্যাদা পালন করে চলতে পারেন, তিনিই কর্মবীর। কিন্তু তাঁকে কাজের মোহগ্রস্ত হলে চলবে না। কাজ করার পর যেন তাঁর অহংকার না আসে। যেন না বলেন, আমিই এই কাজ করেছি। অহংকার যাঁকে গ্রাস করে না, তিনিই প্রকৃত সেবক।’
গত ১০ বছর সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছাই ছিল শেষকথা। সঙ্ঘের ইচ্ছা–অনিচ্ছা প্রাধান্য পায়নি। মোদি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বড় ভেবেছিলেন, নিজেকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ মনে করছিলেন, আচার–আচরণে তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছিলেন, সঙ্ঘের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনও বোধ করছিলেন না। এমনকী নিজেকে ঈশ্বরপ্রেরিত পরমাত্মার অংশ বলেও জাহির করে ফেলেছেন। তবু সঙ্ঘ তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্বে যায়নি। প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। এখন বাস্তবের মাটিতে যখন মোদি আছড়ে পড়েছেন, তখন সঙ্ঘও তার প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো মোদির বিজেপিতে এবার সঙ্ঘের প্রভাব বাড়বে কি না, সেটাই এই মুহূর্তের জল্পনা। আর সেই জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে, সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’। সেখানে এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতা–কর্মীরা মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা উড়ছিলেন। এই ভোট তাঁদের আবার জমিতে ফিরিয়ে এনেছে।
‘অর্গানাইজার’-এ সঙ্ঘের অন্যতম সদস্য রতন সারদা এক নিবন্ধে লিখেছেন, এটা ঠিক যে আরএসএস কখনওই বিজেপির পদাতিক বাহিনী নয়। কিন্তু বিজেপির নেতা–কর্মীরা ভোটের কাজে সাহায্যের জন্য এবার স্বয়ং সেবকদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনই বোধ করেননি। তাঁরা মোদিজির গৌরবে উদ্ভাসিত ছিলেন। জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ভেবেছিলেন, মোদিই জিতিয়ে দেবেন। এই নির্বাচনের ফল আসলে বাস্তব পরিস্থিতি। বিজেপির বহু নেতা–কর্মী অতিমাত্রায় আস্থাশীল ছিলেন। তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে ৪০০ পার–এর স্লোগানের লক্ষ্য ছিলেন তাঁরা। মোদি চেয়েছিলেন তাঁদের উজ্জীবিত করতে। সে জন্যই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বিরোধীদের ভয় দেখাতেও চেয়েছিলেন। অথচ, নেতা–কর্মীরা নিজেদের বলয়ে আবদ্ধ থাকলেন। মোদির ছটায় নিজেদের ভাসিয়ে দিলেন। জোট প্রসঙ্গে রতন সারদা লিখেছেন, অজিতদের ভেড়ানোয় বিজেপির কর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়েছে। কারণ, তাঁরা এত বছর ধরে কংগ্রেসের আদর্শের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছেন। অজিত পাওয়ারকে দলে টেনে বিজেপি তার ব্র্যান্ড ভ্যালু নষ্ট করেছে। এরকম ২৫ শতাংশ দলবদলু প্রার্থীকে এবার প্রার্থী করেছিল বিজেপি।
অজিত পাওয়ারের এনসিপির হাল এবার সবচেয়ে খারাপ। মাত্র একটি আসনে জিতে তাঁর দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সেই তুলনায় সিন্ধের অনুগামী সেনাদের হাল খানিকটা ভালো। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের দলের কাছে রয়েছেন সাত সংসদ সদস্য। দুই দলকে একজন করে স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর বেশি বরাদ্দ করেননি মোদি। সিন্ধে রাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাদ্দ গ্রহণ করেছেন নিমরাজি হয়ে, অজিতের সঙ্গী প্রফুল্ল প্যাটেল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর কম পদমর্যাদার কিছু গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সিন্ধে ও পাওয়ার, দুই নেতাই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থাকবেন। সিন্ধে তো সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছেন, বিহারের ‘হাম’ নেতা জিতেন রাম মাঝি একটি আসন পেয়ে যদি পূর্ণ মন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে সাতটি আসন জিতে তাঁর দল কেন সেই সম্মান পাবে না? মোদির চিন্তা হওয়ারই কথা। কারণ, মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অলিন্দের খবর, সিন্ধের অনুগামীদের কেউ কেউ উদ্ধব থাকরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অজিত পাওয়ার আবার সরাসরি কাকা শারদ পাওয়ারের গুণগান করে বলেছেন, এনসিপিকে একা হাতে তিনিই গড়ে তুলেছেন। এসব নেতার পাশাপাশি বেসুরো গাইছেন চন্দ্রবাবু নাইডুও। তাঁর প্রাথমিক চাহিদা ছিল তিন পূর্ণ ও এক রাষ্ট্রমন্ত্রী। সে জায়গায় এক পূর্ণ ও এক রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তাঁরই অনুগত কে রামমোহন নাইডু। কিন্তু এত অল্পে চন্দ্রবাবু কি সন্তুষ্ট হবেন? ফলে জোট রাজনীতি নিয়ে মোদিরও চিন্তা বাড়ছে।
ভোটের ফল প্রকাশের পর মোদি বেশ কিছুটা কোণঠাসা। ৩০৩ থেকে ২৪০টি আসনে নেমে আসা তাঁর ব্যক্তিগত পরাজয়। কারণ, গোটা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন শাসক জোটের একমাত্র মুখ। প্রতিটি আসনেই তিনিই ছিলেন প্রার্থী। জনসভায় নিজেই বারবার সে কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই অর্থে এবারের ভোট ছিল মোদির পক্ষে–বিপক্ষের গণভোট। মোদি সরকার গঠন করলেও নিশ্চিতভাবেই জনতার সেই রায় তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। সেখান থেকে নিজেকে তিনি টেনে তুলতে পারলে আবার স্বমহিমায় ফিরতে পারেন। এই বছরই সেই পরীক্ষায় তাঁকে বসতে হবে। পরীক্ষা কিন্তু বেশ কঠিন। প্রথম পরীক্ষা, বিজেপির সভাপতি নির্বাচন। নতুন সভাপতি বাছাইয়ের সময় সঙ্ঘ চাইবে এমন একজনকে, যাঁর সঙ্গে সঙ্ঘের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ। যিনি ভবিষ্যতে অন্তত নরেন্দ্র মোদির অন্ধ অনুগামী হবেন না। দ্বিতীয় পরীক্ষা, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই হতে চলেছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার ভোট। পরের বছর ভোট দিল্লিতে। এসব রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিজেপি ক্ষমতায়। দুই রাজ্যেই লোকসভা ভোটে বিরোধীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৮ আসনের মধ্যে বিরোধীরা দখল করেছে ৩০টি, হরিয়ানায় ১০টির মধ্যে ৫টি। এই দুই রাজ্যে বিজেপি হারলে মোদির উপর চাপ আরও বাড়বে। বিরোধীরাও সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলবে।
মোদি নিশ্চিত জানেন, তাঁর চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী। বিরোধী পক্ষ, সঙ্ঘ পরিবার ও জোট রাজনীতি।
20th  June, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
একনজরে
ডেডলাইন ১০ জুলাই। তারমধ্যেই ভেঙে ফেলতে হবে রাস্তার ধারে থাকা সমস্ত অবৈধ নির্মাণ। সোমবার রামপুরহাটে মহকুমা শাসকের অফিসে আন্দোলনকারী ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে ...

হিলি সীমান্তে পাচার সহ অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিকমানের সেন্সর বসাল বিএসএফ। কাঁটাতারের আশপাশে পা রাখলে বা কাঁটাতার কাটার চেষ্টা করলে কন্ট্রোলরুমে বেজে উঠবে অ্যালার্ম। ইতিমধ্যে পাচারপ্রবণ এলাকায় বিএসএফের তরফে এমন সেন্সর বসানো হয়েছে ...

কল্যাণীর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বোটলিং প্লান্টে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। আগেও তাঁরা বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিনের বিক্ষোভে শামিল হন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ...

জেলবন্দি কাশ্মীরের সাংসদ রশিদ ইঞ্জিনিয়ারের শপথ গ্রহণের বাধা কাটল। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই নিয়ে রায় দেবেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক চান্দের জিৎ সিং। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস
১৭৫৬ - নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর
১৭৫৭- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মৃত্যু
১৮৪৩- হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের মৃত্যু
১৯২৯- নাট্যকার ও অভিনেতা অমৃতলাল বসুর মৃত্যু
১৯৪৬- অভিনেতা রাজা মুরাদের জন্ম
১৯৫৪- সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ আজিজের (মুন্না) জন্ম
১৯৬১- মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মৃত্যু
১৯৭৭- পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে
২০০৭- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯০ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৮.১৭ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী ৯/১৮ দিবা ৮/৪৩। ভরণী নক্ষত্র ১/৮ প্রাতঃ ৫/২৭ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৯/১০ শেষরাত্রি ৪/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১২/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৭ গতে ৩/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে রাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ গতে ৯/১ মধ্যে।   
১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী দিবা ৮/৫০। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/১৭। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল নেদারল্যান্ডস

11:30:47 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ৩ (৯০+৪ মিনিট)

11:24:35 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ২ (৮৩ মিনিট)

11:19:05 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (৫৭ মিনিট)

10:47:10 PM

হাতরাস কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬

10:35:16 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (হাফটাইম)

10:30:29 PM