Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস। গেরুয়া মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’য় রাজ্যের নির্বাচনী ফল নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেই নিবন্ধে রাজ্যে বিজেপির লজ্জাজনক হার নিয়ে গেরুয়া নেতাদের একটু শান্তিপুরী ধোলাই দেওয়া হয়েছে। সেখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও নেতা এখনও রাজ্য বিজেপিতে তৈরি হয়নি।  অপদার্থ নেতাদের জন্যই দলের ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূল যেখানে আড়াই শতাংশ ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে বিজেপির ভোট কমে গিয়েছে দেড় শতাংশ। এর কারণ রাজ্য বিজেপিতে কোনও যথার্থ এবং গ্রহণযোগ্য নেতা নেই। তাই পরপর কয়েকটা ভোটে এরাজ্যে বিজেপি সেভাবে কিছুই করতে পারেনি। আগামী ২০২৬-এ বিজেপির শেষ অ্যাসিড টেস্ট। অর্থাৎ প্রকারান্তরে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, দু’বছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে হয় ঘুরে দাঁড়াবে, নাহলে ফিনিশ হয়ে যাবে।   
ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এ রাজ্যে আসলে পজিটিভ ভোটই হয়েছে। মানুষ মমতাকেই ভোট দিয়েছেন। মানুষ দুর্বল সংগঠন বিজেপির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি। তাছাড়া প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ভুলভাল প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্যও বিজেপিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। এখনও মানুষ বিশ্বাস করেন, রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে গেলে তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে। সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে মানুষ তাঁদের ভোট নষ্ট করতে চাননি। তাই ছ’টা সিট হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। 
অর্থাৎ আরএসএস রাখঢাক না করে সোজা তিরটি মেরেছে। যাকে বলে বুলস আইয়ে হিট করেছে তির। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের অপদার্থতাকে বেশ মোলায়েম ভাবেই ধোলাই করা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্রে। রাজ্যের তেলেঝোলে থাকা নেয়াপাতি মার্কা নেতাদের দিয়ে যে এরাজ্যে বিজেপি কোনও লড়াই করতে পারবে না, তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপির কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। সঙ্ঘ পরিবারের শিকড়কে অস্বীকার করে মোদিবাহিনীর লাটসাহেবি মেজাজকে মোটেই তোয়াক্কা করছেন না সঙ্ঘ নেতারা।  এতদিন মোদির প্রভাবের রমরমা দেখে তাঁরা চুপ থেকেছেন। এখন মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমেই খাদের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে মুখ খুলেছে আরএসএস। কিছুদিন আগেই মোদিকে লক্ষ্য করে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘একজন সঙ্ঘ সদস্যের মধ্যে কখনওই ঔদ্ধত্য থাকতে পারে না। সকলকে নিয়ে চলাটাই গণতন্ত্রের লক্ষণ।’ সম্প্রতি সঙ্ঘের নিজস্ব পত্রিকা ‘অর্গানাইজার’-এ একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখক রতন সারদা। তিনি লিখেছেন, ‘দেশে ৫৪৩ আসনেই মোদির নামে ভোট করাটা আত্মহননের শামিল হয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে শুধু আত্মপ্রচার করে ভোটে জেতা যায় না। মোদির অলৌকিক শক্তির বুদ্বুদে মোহগ্রস্ত হয়েই দলের পতন হয়েছে। অহং-মত্ত কোনও নেতাই মানুষের প্রকৃত কণ্ঠস্বর শুনতে পাননি।’ বিরোধীদের মতো দীর্ঘদিন ধরে মোদির ঔদ্ধত্য হজম করতে হয়েছে আরএসএসকেও। এখন তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। ভারতীয় গণতন্ত্র বুঝিয়ে দিয়েছে, এখানে অবতার সাজার চেষ্টা করলে মানুষ তাঁকে নামিয়ে আনবেন জনতার ভিড়ে।  
কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য কোনওরকমে ক্ষমতায় এসে বিজেপি যত বড় হাবভাব দেখাক না কেন, ভিতরে ভিতরে তারা অর্ধমৃত হয়ে রয়েছে।  এভাবেই এখন প্রতি মুহূর্তে সঙ্ঘ পরিবার মোদি অ্যান্ড কোম্পানির আত্মম্ভরিতায় আঘাত হানবে। বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত আরএসএসের মুখপত্রে দলের নেতাদের সবক শেখানো হচ্ছে। প্রতিটি বাক্য আর শব্দের মধ্য থেকে উঠে আসছে চাবুকের সপাং সপাং শব্দ। সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন দেশের মানুষও।
শুধু তো মুখপত্রে নয়, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। এরাজ্যে নিচুতলার কর্মী, যাঁরা আবেগ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে দলের জন্য ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁরাও আজ উপরতলার গাবলু মার্কা নেতাদের দিকে আঙুল তুলে বলছেন, আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁরা অনেকেই এখন নির্বাচনের জন্য আসা টাকা তছরূপ করার অভিযোগ তুলছেন নেতাদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রচারের জন্য এরাজ্যে বিজেপি পাঠিয়েছে শত শত কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে, কারা খরচ করেছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। বহু প্রার্থীও বলছেন, ‘যে টাকা আমাদের প্রচারের জন্য এসেছে, আমরাও সেই টাকার মুখ দেখিনি। কারা সেই টাকা খরচ করলেন, তাও জানি না। সেই টাকার হিসেব চাই।’ ভোট প্রচারের অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপির বহু নেতাই। কিন্তু উপর মহল থেকে কোনও উত্তর নেই। নির্বাচনী প্রচারে যাঁরা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর’ বলে চেঁচাতেন, তাঁরা আখের গুছিয়ে এখন ঘরে ঢুকে পড়েছেন।  মুখে তাঁদের আর কোনও কথা নেই। সব জেনেও জাতীয় নেতৃত্বও এবিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রথমত এই টাকা নির্বাচনী তহবিল থেকে আসা হয়তো তোলাবাজির টাকা। তাই ‘কেলেঙ্কারি’র তদন্তে তারা বিশেষ আগ্রহী নয়। তাছাড়া তদন্তে কেউটে বেরিয়ে পড়লে মুখ পুড়বে বহু তেল চুকচুকে নেতার। তাই ভোটের পর হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। এখন ওদের সবথেকে বড় গলাবাজি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে। ‘সন্ত্রাস সন্ত্রাস’ বলে বাজার গরম করা ছাড়া এখন বিজেপি নেতাদের আর কোনও কাজ নেই। নির্বাচনে রাজ্যে হারের পর পুরো দলটাই এখন ছত্রভঙ্গ। 
মোদিজি ওদিকে ক্ষমতায় বসেও স্বস্তিতে নেই। তিনি ভালো করেই জানেন, চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমারের ঠেকনায় প্রধানমন্ত্রী হলেও যেকোনও সময় চিৎপটাং হয়ে যেতে পারেন। সংসদে প্রথম দিনেই মোদির অসহায় ছবিটা বারবার ধরা পড়েছে। তিনি ভালো করেই জানেন, বিজেপি ২৪০ হলেও বিরোধীরা সংখ্যায় ২৩৭। একটা সুতোর ওপর ঝুলছে তাঁর ক্ষমতার ‘লাড্ডু’। সংসদ অধিবেশনের প্রতিদিন বিজেপিকে নানা বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে। চাপের মুখে মোদির পক্ষে সংসদ চালানোই কঠিন হতে পারে। 
ঠিক সেখান থেকেই মো-শা জুটির প্রথম রণকৌশল, বিজেপির কোনও সাংসদকে স্পিকার পদে বসানো। এরমধ্যে সবথেকে বিশ্বস্ত ওম বিড়লা। আগের সংসদে তিনি ভালোই সার্ভিস দিয়েছেন। তাই এবারও মোদিরা তাঁকেই চাইছেন। কেননা সংসদে স্পিকার হলেন আম্পায়ার। তাঁরই নির্দেশে সংসদ চলে। এখানে কোনও থার্ড আম্পায়ার বা রিভিউ নেই। তাই নানাভাবে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমারকে ছেলেভুলানোর খেলা চলছে। বহুমূল্যের খেলনা দিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে বলে দিল্লির রাজনৈতিক মহলের খবর।  
এখন সংসদের তপ্ত পরিবেশ কোনদিকে গড়ায়, তার দিকেই নজর রাখছে বিজেপি। নিট কেলেঙ্কারি, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের প্রহর গুনছে বিজেপি। এই কেলেঙ্কারির অন্যতম পান্ডা গুজরাতের বিনীত আর্য ধরা পড়ার আগেই বিদেশে পালিয়েছেন। আমরা এর আগে দেখেছি নীরব মোদি সহ বেশ কিছু গুজরাতি ব্যাঙ্ক লুট করে মোদির আমলে বিদেশে পালিয়েছিলেন। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’র কমেডি শো এভাবেই চলে আসছে। এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আছড়ে পড়ল আর এক কেলেঙ্কারি। সেটা হল রামমন্দির কেলেঙ্কারি। ১৮০০ কোটি টাকায় নির্মিত রামমন্দির নির্মাণে প্রচুর গলদ ধরা পড়েছে। বছরের প্রথম বর্ষণেই ভেসে গেল রামমন্দির। রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাসকালে যেভাবে বৃষ্টিতে ভিজতেন, সেভাবেই ভিজলেন সুরম্য, ব্যয়বহুল মন্দিরের ভিতরেও। গর্ভগৃহের ছাদ থেকে ঝরঝর করে পড়ল জল। একেই অযোধ্যা সহ প্রতিটি রাম-বলয়ে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।  এবার রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আর একবার মুখ পুড়ল তাদের। রামমন্দিরের বিজ্ঞাপন করে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসেনি। এখন মন্দির নির্মাণে টাকা তছরূপের অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। অযোধ্যার মানুষ বলছেন, ‘হায় রাম! তোমার মন্দির নির্মাণ থেকেও টাকা চুরি! কার পকেটে গেল রে বাবা!’ 
সুতরাং মোদির সুখের দিন যে সমাপ্ত, তা বোঝাই যাচ্ছে। এখন ক্ষমতা যে কণ্টকশয্যার শামিল, সেটাও তিনি মালুম পাবেন। তাঁর লড়াইটা এখন ঘরে ও বাইরে। আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ। সেই অনুষ্ঠান দেশে বড় করেই পালিত হবে। এই একবছরে উদভ্রান্ত মোদিকে লাগাম পরাতে তৎপর আরএসএস। মোদিও জানেন, তিনি এখন কাদায় পড়েছেন। তাই চুপ করে মেনে নেবেন নীতীশ, চন্দ্রবাবুর আবদার, মেনে নেবেন আরএসএসের শাসন। এই নার্ভের লড়াই চলবে। কিন্তু মোদি এবং অমিত শাহ জুটি বারবার চেষ্টা করবেন, সুযোগ পেলেই উল্টো চাল মেরে সবাইকে মাত করে আবার স্বমেজাজে ফিরে আসা। তারও সলতে পাকানোর চেষ্টা চলছে।
26th  June, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
একনজরে
ডেডলাইন ১০ জুলাই। তারমধ্যেই ভেঙে ফেলতে হবে রাস্তার ধারে থাকা সমস্ত অবৈধ নির্মাণ। সোমবার রামপুরহাটে মহকুমা শাসকের অফিসে আন্দোলনকারী ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে ...

কল্যাণীর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বোটলিং প্লান্টে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। আগেও তাঁরা বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিনের বিক্ষোভে শামিল হন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ...

হিলি সীমান্তে পাচার সহ অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিকমানের সেন্সর বসাল বিএসএফ। কাঁটাতারের আশপাশে পা রাখলে বা কাঁটাতার কাটার চেষ্টা করলে কন্ট্রোলরুমে বেজে উঠবে অ্যালার্ম। ইতিমধ্যে পাচারপ্রবণ এলাকায় বিএসএফের তরফে এমন সেন্সর বসানো হয়েছে ...

মাস্ক পরে খেলা একেবারেই পছন্দ নয় কিলিয়ান এমবাপের। কিন্তু নাকের চোটের কারণে তাঁর কাছে বিকল্প নেই। মাস্ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফরাসি স্ট্রাইকারের মন্তব্য, ‘মনে হচ্ছে যেন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম খেলছি। প্রথম ম্যাচে নেমে মনে হচ্ছিল সবকিছু থ্রি’ডিতে দেখছি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস
১৭৫৬ - নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর
১৭৫৭- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মৃত্যু
১৮৪৩- হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের মৃত্যু
১৯২৯- নাট্যকার ও অভিনেতা অমৃতলাল বসুর মৃত্যু
১৯৪৬- অভিনেতা রাজা মুরাদের জন্ম
১৯৫৪- সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ আজিজের (মুন্না) জন্ম
১৯৬১- মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মৃত্যু
১৯৭৭- পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে
২০০৭- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯০ টাকা ১০৭.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৮.১৭ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী ৯/১৮ দিবা ৮/৪৩। ভরণী নক্ষত্র ১/৮ প্রাতঃ ৫/২৭ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৯/১০ শেষরাত্রি ৪/৪০। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১২/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/২ গতে ২/১০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৭ গতে ৩/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে রাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ গতে ৯/১ মধ্যে।   
১৭ আষাঢ়, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪। একাদশী দিবা ৮/৫০। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/১৭। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪০ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে। 
২৫ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল নেদারল্যান্ডস

11:30:47 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ৩ (৯০+৪ মিনিট)

11:24:35 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ২ (৮৩ মিনিট)

11:19:05 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (৫৭ মিনিট)

10:47:10 PM

হাতরাস কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬

10:35:16 PM

ইউরো কাপ: রোমানিয়া ০-নেদারল্যান্ডস ১ (হাফটাইম)

10:30:29 PM