দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রের খবর, মৃতের নাম প্রেমকুমার কর্মকার (২২)। হেমতাবাদের বাড়ইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রেমের পরিবার আর্থিকভাবে যথেষ্ট দুর্বল। পরিবারের অনটন কমাতে তিনমাস আগে দিল্লিতে কলসেন্টারে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর রুমমেট বাড়িতে ফোন করে প্রেমের মৃত্যুসংবাদ দেন। শুক্রবার সকালে দিল্লিতে রাস্তার ধারে ডাস্টবিনের পাশ থেকে খালি গা, হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পায়ে জুতো পর্যন্ত ছিল না তাঁর। এই ছবি দেখার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।
মৃতের দাদা সুকুমার কর্মকার জানান, দেহ আনার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই। তাই বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছি। উপার্জনের জন্য ভাই দিল্লি গিয়েছিল। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে জানি না। অর্থের অভাবে সেখানে দেহ আনতে যেতেও পারছি না।
এদিন মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর হেমতাবাদের বিডিও সুদীপ পাল বলেন, মৃতদেহ আনার জন্য সরকারিভাবে অনুদান নেই। তবে অসহায় এই পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে যতটা সম্ভব সাহায্য করেছি।
হেমতাবাদ পুলিসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দিল্লির কাপাসিরা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই যুবকের মৃত্যু নিয়ে পুলিসও ধন্দে।
হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিপ্লব সরকার বলেন, চাঁদা তুলে পরিবারের লোকদের দিল্লি পাঠানো হচ্ছে। যুবকের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, সরকারিভাবে পরিবারকে সাহায্য করলে উপকৃত হবে।