দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
তারই মধ্যে অবশ্য রাহুল বললেন, আমরা চাই, দেশের তামাম ছাত্রাছাত্রীদের কাছে বার্তা যাক যে, সবাই তাদের পাশে আছে। তাই সব কাজ ফেলে নিট নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা রাজি হননি। তিনি জানালেন, রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর চর্চা শুরু করতে দিন। সেখানেই যা বলার বলবেন। আলাদা করে নয়। কিন্তু নাছোড় বিরোধীরাও। তারউপর বিরোধী দলের নেতার মাইক বন্ধের ঘটনা। তাই প্রবল প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে সহ সম্মিলিত বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে শুরু হয়ে গেল বিক্ষোভ। উঠল স্লোগান। ন্যায় দো, ন্যায় দো। তড়িঘড়ি সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার। গোড়ায় বেলা ১২ টা পর্যন্ত। পরে সারাদিনের জন্য।
রাজ্যসভাতেও বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তাল হল সভা। সেখানেও অভিযোগ উঠল বিরোধী দলের নেতার কণ্ঠরোধের। সকালেই জমা দেওয়া হয়েছিল ২২টি মুলতুবি প্রস্তাবের চিঠি। কিন্তু তা গ্রাহ্য না করে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনা শুরু করে দেন সভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। তাই প্রতিবাদে ‘ওয়েলে’ নেমে গেলেন খোদ বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে। একইসঙ্গে বিরোধী দলের এমপিরা। দুই সভাতেই শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ইস্তফার দাবি উঠল। যদিও সরকারের পক্ষে সংসদের বাইরে খোদ শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, নিট ইস্যুতে তো তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের সাজাও দেওয়া হবে। মন্ত্রকও উচ্চ পর্যায়ের টিম তৈরি করেছে। তাহলে অহেতুক সংসদে কেন হল্লা করছে বিরোধীরা?
নিট ইস্যুতে কিছু বলতে চাই বলে হাত তুলেছিলেন খাড়্গে। কিন্তু তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। তাই প্রতিবাদে ‘ওয়াক আউট’ করল বিরোধীরা। সরকার বিরোধিতায় যোগ দিল ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি। সম্মিলিত বিরোধীরা বুঝিয়ে দিল, তারা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সভার বাইরে মল্লিকার্জুন খাড়্গে বললেন, চেয়ারম্যান আমাকে অপমান করেছেন। বিরোধী দলকে অগ্রাহ্য করেছেন। এভাবে সংসদ চলতে পারে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের তোপ, এ তো অলিখিত জরুরি অবস্থা! বিরোধীদের কণ্ঠরোধ কোনওভাবেই মেনে নেব না। সংসদ টিভিতেও বিরোধীদের দেখানো হচ্ছে না। তবে ছাত্রদের জন্য প্রতিবাদ চলবেই। সরকারকে জবাবদিহি করতেই হবে।
রাজ্যসভায় প্রবল হট্টগোলের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে গেলেন কংগ্রেসের ছত্তিশগড়ের এমপি ফুলদেবী নিতম। ভর্তি করা হল আরএমএল হাসপাতালে। অন্যদিকে, শুক্রবার লোকসভায় সভা চলল ২৩ মিনিট। তারই মধ্যে শপথ নিলেন তৃণমূলের বসিরহাটের এমপি হাজি নরুল। অসুস্থ এমপিকে কোনওরকমে দাঁড় করালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁর শপথ শেষে বিজেপিকে লক্ষ্য করে কটাক্ষের সুরে কল্যাণ বলে উঠলেন, এঁকেই হারানোর জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিজেপির প্রার্থীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে পারলেন কি? অন্যদিকে, রাজ্যসভায় বিক্ষোভের জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। ডেরেক ও’ব্রায়েনের উদ্দেশে বলেন, আপনিই এসবের পরিচালক। সাগরিকা ঘোষকে বলেন, কাগজে নির্বন্ধ লেখেন। আর এখানে কনফিউশন তৈরি করতে এসেছেন।