কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
কেন দরকার? কারণ কাশ্মীরিরাও যদি মনে করেন ভারত সরকার আদতে তাদের বিশেষ অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অপমান করেছে এবং শিক্ষা দিতে চেয়েছে, তাহলে তারা কিন্তু ভারতকে শত্রু ভাবতে শুরু করবে। নিজেদের দূরে সরিয়ে নেবে মানসিকভাবে। আর কাশ্মীরবাসী যদি ভারতের উপর প্রবলভাবে রেগে যায় এবং ভারতকে এনিমি স্টেট হিসেবে ধরে নেয় তাহলে সবথেকে খুশি কে হবে? পাকিস্তান! পাকিস্তানের প্রধান টার্গেট হল কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রক্সি ওয়ার চালিয়ে যাওয়া। আজ যদি ভারতই কাশ্মীরবাসীকে ক্রুদ্ধ করে মনের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তাহলে সবদিক থেকে আনন্দে আত্মহারা হবে পাকিস্তান।
কাশ্মীর যদি ভারতের পক্ষে থাকে এবং ভারত সরকারের উপর নির্ভর করে উন্নয়নের জন্য এবং হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ বলে, তাহলেই পাকিস্তানকে সবথেকে বড় ধাক্কা দেওয়া হয়। মনে রাখতে হবে কাশ্মীরে বরাবরই দুটি ফ্রন্ট। একটি অংশ সরাসরি ভারত বিরোধী। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী। অর্থাৎ ভারতের থেকে তারা মুক্তি চেয়ে আজাদ কাশ্মীর চায়। আর অন্য একটি অংশ কিন্তু প্রথম থেকেই ভারতপন্থী। কাশ্মীরের অন্দরেই ওই অংশকে বলা হয় প্রো ইন্ডিয়ান ফ্র্যাকশন। এই প্রো ইন্ডিয়ান সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি। যেমন ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি ইত্যাদি। এইসব পার্টি ও সংগঠনগুলি ভারতের নির্বাচন কমিশনের আইন মেনেই প্রতিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে বরাবর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভোট বয়কটের ডাক উপেক্ষা করে এই দলগুলি ভোটে লড়ে কখনও জিতেছে, কখনও হেরেছে। যে প্রক্রিয়ায় ৩৭০ ধারা অবলোপ করা হয়েছে সেটি কিন্তু সবথেকে বেশি আঘাত করেছে এই প্রো ইন্ডিয়া গ্রুপকেই। কারণ সৈয়দ আলি শাহ জিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুখ অথবা ইয়াসিন মালিকদের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ৩৭০ নং ধারা বিলোপসাধনের পর কী মনে করলেন সেটা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ তাঁরা কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকারই করেন না। সুতরাং তাঁরা রেগেই যান অথবা খুশিই হন, কিছু যায় আসে না।
সমস্যা হল, প্রো ইন্ডিয়ান নেতা-নেত্রীদের যেভাবে গ্রেপ্তার করে অজানা স্থানে আটকে রেখে, গোটা কাশ্মীরকে তালাবন্ধ করে রেখে, শুধু শ্রীনগরের মতো একটা ছোট শহরেই ৪৩ হাজার নিরাপত্তাবাহিনী নামিয়ে অঘোষিত কারফিউ পরিস্থিতি করে ৩৭০ ধারা বিলোপসাধন করা হয়েছে, সেটায় সাধারণ ভারতপন্থী কাশ্মীরিরাও যদি অসম্মানিত, অপমানিত ও আঘাতপ্রাপ্ত মনে করেন নিজেদের, তাহলে একটা বড় ক্ষতি হবে সুদূরপ্রসারী। কারণ ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের গ্রেপ্তার করে তাঁদের সঙ্গেও বিচ্ছিন্নতবাদী নেতাদের মতো আচরণ করে বস্তুত তাঁদেরই তীব্র সঙ্কটে ফেলে দেওয়া হল।
কেন? কারণ এখন তাঁদের উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্নতবাদী নেতারা বিদ্রুপ করে আক্রমণ করে বলবেন, ভারতপন্থী হয়ে তোমাদের লাভ কী হল? আমাদের যেমন বন্দি করা হয়েছে আগেই, তোমাদেরও তেমনভাবেই বন্দি করা হল। অর্থাৎ আমাদেরও যেমন ভারত সরকার বিশ্বাস করে না, শত্রু মনে করে, ঠিক তোমাদেরও তাই মনে করে। অথচ তোমরা এতকাল ধরে নিজেদের ভারতের অংশ মনে করে এসে আমাদের বিচ্ছিন্নতবাদী তকমা দিয়ে বিরোধিতা করে এসেছো এবং আজাদির বিরুদ্ধাচারণ করে ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছো। এতকাল ভারতের দালালি করলে, ভারত সরকার তার কী প্রতিদান দিল? ঠিক এই আশঙ্কার কথাটাই মঙ্গলবার ফারুখ আবদুল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমাদের ভারতপন্থা মনোভাবের কোনও প্রেস্টিজই রাখলো না আজকের ভারত সরকার। আমরা যে এতকাল ধরে ভারতের পক্ষে জোরদার সওয়াল করে এলাম, সেই আমাদের মতো প্রো ইন্ডিয়ান রাজনৈতিক দলগুলিকেই গ্রেপ্তার করে, আমাদের রাজ্যকে সম্পূর্ণ ঘরে বন্দি করে রেখে ভারত সরকার বুঝিয়ে দিল তারা কাশ্মীরের ভূমিটাই শুধু চায়, কাশ্মীরিদের চায় না। আর এই মনোভাব একবার কাশ্মীরিদের মধ্যে প্রবেশ করলে সেটা কি ভারতের পক্ষে ভালো হবে?
৩৭০ নং থাক আর নাই থাক, কাশ্মীরকে যদি আবার সেই আরও বেশি করে নিরাপত্তা বাহিনী দিয়েই মুড়ে রাখতে হয় তাহলে পরিস্থিতির কী পরিবর্তন হল? কাশ্মীরের মানুষের ভালোর জন্যই যে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে এই বিশ্বাসটি দিতে হবে কাশ্মীরিদের। তা না হলে নিছক বিজেপি নিজেদের অ্যাজেন্ডা ও ইস্তাহার পূরণ করে হাততালি কুড়িয়ে নিল, এই পারসেপশনেই সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে এই সিদ্ধান্তটি। ঐতিহাসিক উত্তরণ ঘটবে না। ঠিক এই কারণেই এখন ভারত সরকারের আরও বেশি করে উচিত কাশ্মীরের মন জয় কীভাবে করা যায় সেই পন্থা ঠান্ডা মাথায় ভাবা। কারণ কাশ্মীরকে সম্পূর্ণভাবে জয় করা তখনই সম্ভব যখন নিছক কিছু পাহাড়, নদী, জঙ্গল, টিউলিপ, আপেলবাগান নয়, কাশ্মীরিরাও মনেপ্রাণে ভারতের অঙ্গ হয়ে যাবে। পাকিস্তান শত চেষ্টা করলেও কাশ্মীরিরা যখন পাকিস্তানের প্ররোচনা অগ্রাহ্য করে ভারতের পক্ষেই জয়ধ্বনি দেবে, সেটাই হবে পাকিস্তানকে সবথেকে বড় থাপ্পড়।
১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাকিস্তান যখন পাঠান হানাদার পাঠিয়ে কাশ্মীর দখলের চেষ্টা করেছিল তারপর ভারত সংযুক্তির পর থেকেই কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শেখ আবদুল্লা কিংবা মহারাজ হরি সিং, ভারতের সঙ্গে তাঁদের নানাবিধ সময়ে মনান্তর হলেও তাঁদের কেউই কোনওদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্তির কথা চিন্তাই করেননি। দু’জনের কেউ পাকিস্তানকে পছন্দ করতেন না। সুতরাং পাকিস্তান চাইলেও কাশ্মীরকে কোনোদিন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না সেটা তারাও জানে। তাই পাকিস্তান সর্বদাই কাশ্মীরিদের প্ররোচিত করে চলে যে ভারত সরকার তোমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। তোমাদের রাজ্যকে একটা পুলিসস্টেট বানিয়ে রেখেছে। লক্ষ লক্ষ সেনাবাহিনী একটা রাজ্যে।
কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই কিন্তু জানে ভারতের সঙ্গে থাকলেই তাদের আর্থ সামাজিক লাভ সবথেকে বেশি। তাই সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে কাশ্মীরিদের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। অমরনাথ যাত্রায় কাদাজল-বর্ষা-রোদ্দুর চরম দুর্গম পথে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাশ্মীরি মুসলিমরাই কাঁধে করে নিয়ে যান। পর্যটকদের শিকারায় ঘোরান, হোটেলে রাখেন, হাউসবোটে রান্না করে খাওয়ান। কোনও ভারতবাসী একথা বলেন না যে সাধারণ কাশ্মীরিরা খুব খারাপ মানুষ। শুধু মাঝে মাঝে আড্ডায় গল্পে বলা হয় যে তারা ইন্ডিয়াকে পছন্দ করে না। কিন্তু আমাদের কাশ্মীর যাওয়া, অমরনাথ যাত্রা, অতিথেয়তা পাওয়া, এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি পাওয়া এসব কিছুই এতকাল কিন্তু আটকায়নি।
প্রশ্ন হল এখন কী হবে? এখনও কি তাঁরা আগামীদিনে একইরকম সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবেন আমাদের সঙ্গে? নাকি মনের দরজাটা বন্ধ করে দেবেন? এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। যদি কাশ্মীরিদের মধ্যে আর কোনও বিভাজন না থাকে? অর্থাৎ প্রো ইন্ডিয়ান আর অ্যান্টি ইন্ডিয়ান দুটি অংশ মিশে গিয়ে আগামীদিনে কাশ্মীরবাসীর সকলেই অ্যান্টি ইণ্ডিয়া হয়ে যাবে না তো? সেটা কি কাম্য? সেই সুযোগটা নেবে পাকিস্তান। আর কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেই নিয়ে মার্কিন প্রশাসন আর তালিবানদের মধ্যে বৈঠক চলছে। সেই বৈঠকের মধ্যস্থতাকারীর নাম পাকিস্তান। সুতরাং আমেরিকার এখন সবথেকে বেশি দরকার পাকিস্তানকে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সরে গেলে আবার যদি সেখানে তালিবান ও আল কায়েদা থাবা বসায়, তাহলে কাশ্মীর হবে অন্যতম প্রধান টার্গেট পাকিস্তানের কাছে। আর তখন কাশ্মীরবাসীকে ক্ষিপ্ত করে রেখে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে ভারতের পক্ষে।
তাই এখনই দরকার সবার আগে কাশ্মীরবাসীর মন জয় করা। মুসলিম, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এসব বিভাজন না-করে ভারত যে-কাশ্মীরকে সব মিলিয়ে পাশে রাখতে চায়, তাদের প্রকৃতই স্বদেশবাসী মনে করে, অন্তর থেকে এই বার্তা বারংবার দেওয়া দরকার। কাশ্মীরকে টাইট দিলাম এটা মনে করে আনন্দ করার আগে ভাবা দরকার যে নিজের দেশের মানুষকে টাইট দেওয়ার মধ্যে কি বিজয় আছে? বিচ্ছিন্নতাবাদীদের টাইট দেওয়া হোক। সন্ত্রাসবাদীদের টাইট দেওয়া হোক। কাশ্মীরের সবাই তো আর তেমন নয়। যদি তাই হতেন তাহলে মেহবুবা মুফতির সঙ্গে বিজেপি গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছিল কেন? আজ সেই মেহবুবা মুফতিকেই সলিটারি কনফাইনমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে তাঁর কন্যা অভিযোগ করেছেন। তাই কাশ্মীরবাসীকে টাইট দেওয়া গেল ভেবে আত্মতৃপ্ত হওয়ার সময় এটা নয়।
কেন্দ্রীয় সরকার কি জানে না এটা? অবশ্যই জানে। আগামীদিনে অপেক্ষা করছে বিপুল ইনভেস্টমেন্ট, প্রচুর উন্নয়নের প্যাকেজ। সবই ঠিক। কিন্তু আমরা এখনও জানি না সাধারণ কাশ্মীরিরা সেই পরিকল্পনাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন। সেটা জানা জরুরি। কাশ্মীরের মাটিতে হাজার হাজার ‘বেওসায়ী’ ঢুকিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু সেটাই একমাত্র সমাধান হবে না। ওটাকেই একমাত্র উন্নয়ন কাশ্মীরিরা নাও ভাবতে পারেন। তাই কাশ্মীরিদের আস্থা ফেরানোই আপাতত প্রধান লক্ষ্য হোক। স্বদেশবাসীর সঙ্গে ইগোর লড়াই করা বোকামো! পাকিস্তান তো এটাই চায় যে ভারতবাসী কাশ্মীরবাসীকে ঘৃণা করুক। যাতে কাশ্মীরবাসীও ভারতকে শত্রু ভাবে। আমরা সেই ফাঁদে পা দেব কেন? ৩৭০ নং ধারা অবলুপ্তির কি প্রয়োজন ছিল না? অবশ্যই ছিল। একটি দেশে ভিন্ন আইন থাকবে কেন? সকলেই যদি ভারতবাসী হয় তাহলে কোনও বৈষম্য থাকাই তো উচিত নয়। সেটাই নীতিগত অবস্থান। শুধু কাশ্মীর কেন, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, শিলং, কার্বি আংলং সর্বত্রই আমাদের জমি কেনার অধিকার থাকা উচিত। সেটাই তো সমানাধিকার। কেন অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকায় ঢুকতে গেলে ইনার পারমিট লাগবে? কেন দেশের সর্বত্র সকলের অবাধ যাতায়াত থাকবে না? কেন মেধার ভিত্তিতে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবে না বহু উচ্চ মার্কস পাওয়া ছাত্রছাত্রী? সবই তো বৈষম্য! সব বৈষম্যের অবসান হোক।
সুতরাং ৩৭০ নং ধারার অবলোপ নিয়ে প্রশ্নই নেই। সঠিক কাজ হয়েছে। প্রশ্ন হল পদ্ধতিটি নিয়ে। এভাবে একটা গোটা রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে, তাদেরই তালাবন্ধ করে, স্কুলকলেজ অফিস বন্ধ করে, মোবাইল ইন্টারনেট স্তব্ধ করে দিয়ে যদি কোনও সরকার দাবি করে আমরা তোমাদের ভালোর জন্য এসব করছি, তাদের অপমানে লাগতেও পারে। তাই এখন সর্বাগ্রে দরকার সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া। কাশ্মীরবাসীকে শত্রু প্রতিপন্ন করে তাঁদের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি তাঁরা বিশ্বাস করবেন না। বরং এখন প্রয়োজন তাঁদের কাছে টানার। তাঁদের কথা শোনার। তাঁদের উপর কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না-দিয়ে তাঁদের পাশে বসিয়ে বলতে হবে, আপনারাই বলুন, কীভাবে এখন এগনো যায়। কারণ, কাশ্মীরের কীসে ভালো হবে সেটা কাশ্মীরিরাই সবথেকে ভালো বলতে পারবেন। আমরা এই হুজুগে মানুষ নেহাত দুদিন এই আনন্দ নিয়ে নাচানাচি করব। ‘কাশ্মীরে জমি কিনব’, ‘কাশ্মীরি মেয়ে বিয়ে করা যাবে’ ইত্যাদি বোকা বোকা নন-সিরিয়াস কমেন্ট করব ফেসবুকে। কিন্তু কয়েকদিন পরই আবার যে যার নিজেদের জীবনে ফিরে গিয়ে পুজোর বাজারে ঢুকে পড়ব।
সুতরাং প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সরকারের। কাশ্মীরকে আন্তরিকভাবে ভারতের অন্তঃস্থলে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটিই কিন্তু হবে কাশ্মীরের নয়া ইতিহাস রচনা। সেটা নিছক একটা ভূমিখণ্ড দখল নয়। কাশ্মীরিয়াৎকে আপন করে নেওয়া। একমাত্র তাহলেই পাকিস্তান সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে! আর কাশ্মীরিদের আমরা যদি শত্রু বিবেচনা করে চলি, তাহলে কিন্তু টেনিসের পরিভাষায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান হয়ে যাবে! সে সুযোগ দেব কেন?