কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মমতা লিখেছেন, আয়কর দপ্তর গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চায় ‘ঢাকি’, ‘পুরোহিত’, থিমের কাজে যুক্ত গ্রামীণ শিল্পী এবং মণ্ডপ নির্মাতাদের কাছ থেকে তারা ‘টিডিএস’ কেটেছে কি না। টিডিএস-এর পুরো কথা মমতার ব্যাখ্যায় ‘টেরিবল ডিজাস্টার স্কিম’। এটা নিঃসন্দেহে সংশ্লিষ্টদের উপর বড় বোঝা। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, সিবিডিটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবছর তারা কোনও নোটিস পাঠায়নি। এটা তো ঠিকই যে, এবছর যে পুজোগুলির আয়োজন করা হচ্ছে, নিয়মানুযায়ী তাদের সামনের বছরেই নোটিস পাঠানো হবে। এটাই আয়কর নির্ধারণের (ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট) নিয়ম। মমতার কথায়, সিবিডিটি’র ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পুজো উদ্যোক্তাদের উপর কর চাপানোর বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, বিবৃতিতে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং পুজো উদ্যোক্তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এটা আমাদের সংস্কৃতির এবং দুর্গাপুজোর আয়োজনের উপর একটা আঘাত। আমি জানি না, এটা জেনে বা না জেনে করা হয়েছে কি না, কিন্তু যখন বাঙালির দুর্গাপুজো জাতপাত, ধর্ম আর বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় উৎসবের আকার নিয়েছে, তখন এই নোটিস কুরুচির পরিচায়ক। এরকম কোনও কর যদি থাকে, তাহলে তা প্রত্যাহার করা এবং উৎসবকে উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হতে দেওয়া উচিত। পোস্টে মমতার আর্জি, কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এরকম কোনও ট্যাক্স বা টিডিএস বা জিজিয়া কর যাতে পুজো কমিটি বা অন্য কোনও উৎসবের আয়োজকদের উপর চাপানো না হয়।
এদিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখা একটি কবিতা পোস্ট করেন মমতা। ৩৬ লাইনের এই কবিতার নাম ‘দমকা হাওয়া’। নাম না করে কবিতার মধ্যে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রতি কটাক্ষের পাশাপাশি রয়েছে বিজেপির ভয়ে দলবদলু ও আত্মসমর্পণকারীদের প্রতি তীব্র শ্লেষ।