কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
গত শনিবার রাতে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মদ্যপানের অভিযোগে পুলিস গ্রেপ্তার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা টালিগঞ্জ থানায় চড়াও হয়। অভিযুক্তকে পুলিস মারধর করে ও তাঁর মোবাইল ফোন ভেঙে দেয় বলে দাবি করেছে বাসিন্দারা। পাশাপাশি ধৃতকে ছাড়ানোর লক্ষ্যে পুলিস কর্মীদের নিগ্রহ করে বিক্ষোভকারীরা। দু’তরফের অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজনৈতিক মহল। এর আগে আলিপুর থানায় পুলিসকে বহিরাগতদের হাত থেকে রক্ষা পেতে টেবিলের তলায় লুকোতে দেখা গিয়েছিল। সেই নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক হয়েছিল। এবার টালিগঞ্জ থানার সিসিটিভি’র ফুটেজ প্রকাশ্যে আসায় সেই বিতর্কের স্মৃতি ফের সামনে চলে এল। স্বভাবতই, ওই ঘটনাকে অস্ত্র করে বিরোধীরা শাসক তৃণমূলকে বিঁধতে তৎপর হয়ে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, সায়ন্তন বসুর দাবি, তাঁদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে শাসকদলের তাঁবেদারি করতে গিয়ে পুলিসের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। টালিগঞ্জ সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। তাঁর মতে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দু’বছরের আগে কোনও এসপি বা ওসিকে বদলি করা হবে না। পুলিসকে স্বাধীনভাবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান মনে করেন, রাজ্যে আইনের অনুশাসন যে ভেঙে পড়েছে, টালিগঞ্জ থানার ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাঁর মতে, পুলিস হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জেনে গিয়েই হাত গুটিয়ে বসেছিল। একইভাবে সিপিএমও শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ক্ষমতায় বসার পর ভবানীপুর থানায় গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছাড়িয়ে আনার নজির গড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তারপর আলিপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে শাসকদলের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর দাবি, পুলিস বাহিনীকে দলদাসে পরিণত করার ফলেই এই ধরনের ঘটনা সুলভ হয়েছে তৃণমূল জমানায়।
টালিগঞ্জের ঘটনাকে অবাঞ্ছিত বলে মনে করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে ছবির ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, তা প্রশাসনের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়। তবে, পুলিস পেটানোর নিন্দা করার সঙ্গে সঙ্গে ধৃতকে যেভাবে থানায় পুলিস মেরেছে, তারও সমালোচনা করেছেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। স্থানীয় সাংসদ মালা রায় থানায় হামলাকারীদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, গত লোকসভা ভোটের আগে চেতলার যে এলাকার বাড়িতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পাত পেড়ে খেয়েছিলেন, সেখানকার বাসিন্দারা হামলা করেছে পুলিসের উপরে। তবে মেয়র তথা চেতলার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম মনে করেন, থানায় হামলা সমাজবিরোধীদের কাজ। আইন আইনের পথে চলবে। তাতে দোষীরা শাস্তি পাবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।