কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত রাত সাড়ে নটা নাগাদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, মেনকা সিনেমা হলের সামনে একদল যুবক প্রকাশ্যে মদ্যপান করছে। সঙ্গে সঙ্গেই থানার পুলিসকর্মীরা এলাকায় যান। আটক করা হয় চার যুবককে। থানায় আনার পথে একজন পুলিসের হাত ছাড়িয়ে পালায়। বাকিদের থানায় এনে বসানো হয়। এদিকে, পলাতক যুবক ফোন করে বন্ধুদের জানায়, পুলিস তিনজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এরপরই স্থানীয় একদল যুবক থানায় এসে চিৎকার শুরু করে। চলতে থাকে অকথ্য গালিগালাজ। আটক তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে তারা। তাদের সরিয়ে না দিয়ে আপস করার চেষ্টা করেন পুলিসকর্মীদের একাংশ। এর মধ্যে চেতলার ১৭ নম্বর বস্তির একদল জনতা থানায় চলে আসে। দলে ছিল মহিলারাও। সবাই থানারয় ঢুকে পড়ে। কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে। পুলিসকর্মীদেরই থানায় আটকে রেখে চলে মারধর। গেটে কর্তব্যরত এক কনস্টেবলকে মারতে মারতে তারা উপরে নিয়ে আসে। ওসির ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। থানার উপরে থাকা মেসেও ঢুকে পড়ে। চলে ইট-পাথর। দ্বিধাগ্রস্থ পুলিসকর্মীরা পাল্টা ব্যবস্থা নিতেই পারেননি। অনেক পরে বিরাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। বেলেল্লাপনার অভিযোগে আটক যুবকদের জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, রণজয় হালদার নামে এক আটক যুবক বাড়িতে ফোন করতে গেলে পুলিস তার মোবাইল ভেঙে দেয়। আটক যুবকদের মারধরও করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা থানায় যায়। অভিযুক্ত রণজয় হালদারের কথায়, তিনি মেনকা সিনেমা হলের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। তখনই কয়েকজন পুলিস এসে তাদের উপরে হামলা করে। রণজয় মদ্যপ ছিলেন বলে স্বীকার করে বলেন, আমি মদ্যপ বুঝতে পেরে পুলিস নানাভাবে হেনস্তা করতে থাকে। এদিকে, পুলিস এই হামলার ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে গোটা ঘটনাটি থানার তরফে কেন লালবাজারে জানাতে দেরি করা হল, কেন আগেই ফোর্স চাওয়া হল না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, পুলিসকে মারধর অপরাধ। রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।