কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের ‘প্যান্থার’ দুর্বল চিত্রনাট্যের উপর তৈরি হওয়া নড়বড়ে একটি ছবি। তাই ‘উরি’ স্টাইলে দেশাত্মবোধক গরম গরম ডায়লগ দিয়েও শেষরক্ষা হল না। অভিনয়ে বিন্দুমাত্র খামতি রাখেননি জিৎ। কমার্শিয়াল ছবিতে নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাফল্যের পথে খলনায়ক চিত্রনাট্য। প্রকৃতপক্ষে গল্পের কোনও মাথামুণ্ডু নেই। রয়েছে প্রচুর মিসিং লিঙ্ক। তার উপর ছবির গতি অত্যন্ত বেশি। অধিকাংশ দৃশ্যই অনুমেয়। বিশ্বের তাবড় তাবড় জঙ্গি ডেরায় অবলীলায় ঢুকে পড়াটাও নিতান্তই বাড়াবাড়ি। তার মধ্যেই শ্রদ্ধা দাসের দুর্বল অভিনয় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করেছে। বিরতির আগে মাত্র একটি সিন এবং পরে যে কোনও দৃশ্যেই তার একই ধরনের অভিব্যক্তি বিরক্তি বাড়িয়ে তোলে। ছবিতে যদি কেউ নজর কেড়ে থাকেন তা শুধুমাত্র শাশ্বত। অভিনয়ের জোরে একমাত্র তিনিই ছবির ভরাডুবি কিছুক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। ভীতু, তোতলা এজেন্টের চরিত্রে পর্দায় যতবারই তাঁর দেখা মিলেছে ততবারই দর্শক হেসে অস্থির। কমিক রিলিফে বেশ ভালো কাঞ্চন মল্লিকও। ‘র’ প্রধানের চরিত্রে বেশ মানিয়েছে সুদীপকে। তবে লম্বা দাঁড়ি রেখে জঙ্গি নেতার চরিত্রে একেবারেই ভালো লাগল না সৌরভ চক্রবর্তীকে। সব চকচকে জিনিসই যে সোনা হয় না, এই প্রবাদবাক্যকে হাতেনাতে প্রমাণ করেছে এই ছবি। উরির স্টাইলে জিতের বলা ‘দিল ধড়কে তো জয়হিন্দ…শ্বাসে চলে তো জয়হিন্দ..লহু বহে তো জয়হিন্দ’ তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। দর্শকদের দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ঘায়েল হয়েছে প্যান্থার।