কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে স্নাতকস্তরে বি কমে সব মিলিয়ে ৫১ হাজার ৮১০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে এবার ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ২৭ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ, খালি পড়ে রয়েছে ২৩ হাজার ৮০০-এর মতো আসন, যা ৪৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, বি এসসিতে দেখা যাচ্ছে ৬১ হাজারের মতো আসনের মধ্যে ৩২ হাজারের মতো আসন ভরেছে। প্রায় ২৯ হাজার খালি রয়েছে, যা প্রায় ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে, বি এ’তে সবচেয়ে বেশি আসন। সংখ্যার নিরিখে এই বিভাগেই সবচেয়ে বেশি খালি আসন। কিন্তু শতাংশের নিরিখে সবচেয়ে কম। কলা বিভাগে তিন লক্ষ পাঁচ হাজারের মতো আসন রয়েছে। তার মধ্যে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দু’লক্ষ। খালি পড়ে এক লক্ষের কিছু বেশি আসন। ৩৪ শতাংশ আসন এই বিভাগে খালি রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিষয়ের কথা বলতে গেলে, এবার অ্যাকাউন্টেন্সিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য আসন রয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আট হাজারের বেশি আসন খালি রয়েছে।
জয়পুরিয়া কলেজের এক অধ্যাপক বলেন, গ্রামের কলেজগুলিতে কমার্স পড়ায় তেমন আগ্রহ নেই। অনেকেই আবার শহরের দিকে চলে যান। ফলে গ্রামের দিকে কলেজের আসন খালি থেকে যায়। কলকাতার কমার্স কলেজগুলিতে আসন বেড়েছে। জয়পুরিয়াতে দিবা, প্রাতঃ এবং সান্ধ্য মিলিয়ে ৭৯৩টি আসন রয়েছে কমার্সে। তার মধ্যে ২০০টির মতো আসন খালি থেকে গিয়েছে। সিটি কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যক্ষ সন্দীপ পাল বলেন, শহরতলির দিকে কমার্স পড়ার প্রবণতা কমছে। কারণ, কমার্সের ব্যাপ্তি অনেক। এতে অ্যাকাউন্টেন্সি, আয়কর, অর্থনীতির মতো বিষয় পড়তে হয়। ছেলেমেয়েরা বেশি খাটতে চায় না। তাই অনেকেই ইংরেজি-বাংলা নিয়ে ভর্তি হয়ে যায়।
বিভাগ | মোট আসন | শূন্য আসনের হার |
বি এ | ৩ লক্ষ পাঁচ হাজার | ৩৪ শতাংশ |
বি কম | ৫১ হাজারের বেশি | ৪৬ শতাংশ |
বি এসসি | ৬১ হাজারের বেশি | ৪৭ শতাংশ |