কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
চিফ অফিসার পদে কর্মরত অভিষেকবাবুর বন্ধু অন্য একটি জাহাজে কর্মরত ক্যাপ্টেন বিরসা হালদার বলেন, ব্রিটেনের উপর চাপপ্রয়োগ করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ইরান। জিব্রাল্টারে ইরানের একটি জাহাজকে তারা আটক করেছিল সিরিয়ায় তেল সরবরাহ করার অভিযোগে। কারণ সিরিয়ার উপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে। অভিষেক যে জাহাজে ছিল, সেই স্টেনা ইমপেরো সুইডিশ মালিকানাধীন হওয়া সত্ত্বেও সংস্থাটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে ব্রিটেনে। তাই তাতে ব্রিটেনের পতাকাই ছিল। এটি আসলে অয়েল ট্যাঙ্কার বা তৈলবাহী জাহাজ। ওমানের জলসীমা দিয়েই জাহাজটি যাচ্ছিল। কিন্তু ইরানের নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার এটিকে জোর করে নির্দেশ দিয়ে ইরানের জলসীমায় ঢুকতে বাধ্য করে। তাতে ১৮ জন ভারতীয় নাবিক রয়েছেন। প্রথম এই ইস্যুটিকে তোলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কারণ, তাতে কেরলের একজন নাবিকও রয়েছেন। এরপর বিদেশমন্ত্রক দু’বার ট্যুইট করে। তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরাও জাহাজে যান। কিন্তু তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। যদিও তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু আদতে তো বন্দিদশাই!
আলমাস জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরানের দূতাবাসে ইমেলে সব জানানো হয়েছে। কিন্তু বিদেশমন্ত্রক থেকেও কোনও আশ্বাস এখনও পাওয়া যায়নি। দু’টি দেশের ঝামেলায় ভারতীয়রা কেন বন্দি হবে বলুন! ওদের মোবাইল, ল্যাপটপ সবই বাজেয়াপ্ত করেছে ইরান। জাহাজের ইন্টারনেট যোগাযোগও ছিন্ন করা হয়েছে। তবে, স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে প্রত্যেককে বাড়িতে ফোন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেটা করতে হচ্ছে ইরানের রক্ষীদের উপস্থিতিতেই। অভিষেকও খুব অধৈর্য হয়ে পড়েছে। সে চাইছে, যত দ্রুত সম্ভব সক্রিয় পদক্ষেপ করুক বিদেশমন্ত্রক।