Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দমনমূলক ফেডারালিজম
পি চিদম্বরম

১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট ভাষণে আমি ‘কোঅপারেটিভ ফেডারাল পলিটি’—এই ফ্রেজ বা বাগধারাটি ব্যবহার করেছিলাম। এই বাগধারা আমিই প্রথম ব্যবহার করেছি এমন কোনও দাবি করছি না, কিন্তু আমি আনন্দিত যে ‘কোঅপারেটিভ ফেডারালিজম’ কথাটি বাজেট ভাষণে এবং অন্য অনেক উপলক্ষে বারংবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রাজ্যগুলি সার্বভৌম
‘কোঅপারেটিভ ফেডারালিজম’ বলতে কী বোঝায়? এই ফ্রেজ এটাই নিশ্চিত করে যে ভারত হল একটি ফেডারাল স্টেট বা যুক্তরাষ্ট্র। একটি কেন্দ্রীয় সরকার আছে এবং কিছু রাজ্য সরকার আছে। প্রত্যেক সরকারের জন্যই সংরক্ষিত নিজস্ব সাংবিধানিক পরিধি (এরিয়াস অফ লেজিসলেশন) আছে। রাজ্য সরকারের জন্য সংরক্ষিত ক্ষেত্র কেন্দ্রীয় সরকার (সংসদের মাধ্যমে) বেদখল করতে পারে না, তেমনি রাজ্য সরকারও (বিধানসভার মাধ্যমে) কেন্দ্রের জন্য সংরিক্ষত ক্ষেত্র বেদখল করতে পারে না। আবার কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে উভয় সরকারই আইনপ্রণয়ন করার অধিকারী। আইনপ্রণয়ণের ক্ষেত্রগুলির (লেজিসলেটিভ ফিল্ডস) বিভাজনই হল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সার। সাংবিধানিক ব্যবস্থার (কনস্টিটিউশনাল স্কিম) প্রতি শ্রদ্ধাটিই হল সহযোগিতামূলক মৈত্রীতন্ত্র (কোঅপারেটিভ ফেডারালিজম)।
তা সত্ত্বেও, ভারতের সংবিধানে কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবস্থাও আছে—যে-কোনও অনির্ণীত বিষয়ে আইনপ্রণয়নের জন্য সংসদকে অনুমতি দিতে (সংবিধানের ২৪৮ ধারা); রাজ্য তালিকাভুক্ত যে-কোনও বিষয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনীয় অথবা উপযুক্ত’ গণ্য হলে (সংবিধানের ২৪৯ ধারা); যখন দেশে জরুরি অবস্থা চলছে তখন
যে-কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে (সংবিধানের
২৫০ ধারা)।
সংবিধানের ২৫৮(২) ধারাটি একটি ‘ইন্টারেস্টিং’ ব্যবস্থা। সংসদে প্রণীত একটি আইন যা রাজ্যকে বা তার অফিসারদের উপর কিছু ক্ষমতা এবং দায়িত্ব অর্পণ করতে পারে, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রকে এই বাবদ রাজ্যকে অর্থ দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটিতে রাজ্যগুলির সার্বভৌম, অধিকার এবং ক্ষমতার প্রতি জোরালো সমর্থন রয়েছে।
বিলগুলি পিছন দিয়ে আনা হচ্ছে
বিজেপি সরকারটি ব্যতিক্রম: এটা না রাজ্যগুলির অধিকারকে মর্যাদা দেয়, না খেয়াল করে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা বা সূক্ষ্ম বৈশিষ্ট্যগুলি।
ফেডারালিজমের প্রতি বিজেপি সরকারের দায়বদ্ধতা কতখানি, রাজ্যসভায় তাদের বিল পাস করিয়ে নেওয়ার রকম দেখেই তা পরিমাপ করা যায়। লোকসভা যেখানে জনগণের কক্ষ (হাউস অফ দ্য পিপল) সেখানে রাজ্যসভা হল রাজ্যগুলির একটি পর্ষদ (কাউন্সিল অফ স্টেটস)। ২ আগস্ট চলতি অধিবেশনে লোকসভা ২৮টি বিল পাস করে দিল এবং রাজ্যসভা পাস করে দিল ২৬টি বিল। সেগুলির একটিও ‘রিপিট’ হল না, ‘একটি বিলও’ বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল না। বিস্তারিত ‘স্ক্রুটিনি’র জন্য একটিও বিলকে স্ট্যান্ডিং কমিটি কিংবা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হল না। কোনও বিলের জন্য রাজ্য সরকারগুলির মতামত নেওয়া হল না, এমকী সেই বিলগুলিকেও নেওয়া হল না যেগুলি সংবিধানের যুগ্মতালিকাভুক্ত (তালিকা ৩) এবং এর ফলে রাজ্যগুলির অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হল। বিরোধীদের পক্ষ থেকে আনা একটিও সংশোধনী প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেনি।
কয়েকটি দৃষ্টান্তই যথেষ্ট। ‘জাস্টিস পুত্তাস্বামী’তে সংবিধানের ১১০ ধারার পরিধি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট তার ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছে এবং সরকারের পক্ষে এই রায় অবশ্যপালনীয়। রাজ্যসভা একটি অর্থবিল (মানি বিল) সংশোধন করতে পারে না বা বিলটি বাতিল করতে পারে না; রাজ্যসভা কিছু পরামর্শ দিতে পারে মাত্র এবং বিলটি লোকসভায় ফেরত পাঠাতে পারে, পরামর্শগুলি লোকসভা গ্রহণ করতেও পারে, না-ও পারে। রাষ্ট্রপতি অর্থবিলের জন্য তাঁর সম্মতি ঝুলিয়ে রাখতে পারেন না কিংবা পুনর্বিবেচনার জন্য সেটি সংসদে ফেরতও পাঠাতে পারেন না। এই
সকল সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে, ১১০ ধারা নির্লজ্জের মতন লঙ্ঘন করে, সরকার অর্থবিলের [ফিনান্স (নং ২) বিল] মাধ্যমে অন্তত দশটি নন-ফিনান্সিয়াল আইন সংশোধন করে নিয়েছে এবং এইভাবে এড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যসভার স্ক্রুটিনি অথবা একটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পুনর্বিবেচনার নির্দেশ।
তথ্যের অধিকার আইন, ২০০৫ সর্বত্র ‘সেমিফাইনাল লেজিসলেশন’ হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছে। এই আইনের ১৫ নম্বর ধারা রাজ্য তথ্য কমিশন গঠনের জন্য রাজ্য সরকারকে ক্ষমতা দিয়েছে। রাজ্য তথ্য কমিশনার বাছাই এবং নিয়োগ রাজ্যগুলিই করবে। এই অফিসের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বেতন, ভাতা এবং অন্যসকল শর্ত নির্ধারণের ক্ষমতা এযাবৎ রাজ্যগুলির উপর ন্যস্ত ছিল (ধারা ১৬)। এখন প্রাথমিক শর্ত এবং বেতন, ভাতা ও অন্য শর্তাবলি নির্ধারণের ওই ক্ষমতাটি কেন্দ্র নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে! আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন? কোনও জবাব মেলেনি।
‘ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন বিল’ নামে যেটি আনা হয়েছে সেটি রাজ্যগুলিকে চূড়ান্ত অপমান। মেডিকেল শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারগুলির হাতে যে ক্ষমতা আছে সেগুলির সবই কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং পড়ে রইল মাত্র প্রতিটি রাজ্যকে কমিশনের চার বছর মেয়াদের মধ্যে দু’বছরের সদস্যপদ দেওয়ার ব্যবস্থাটি! এটা মেডিকেল শিক্ষাকে তালিকা ৩ থেকে তালিকা ১-এ সরিয়ে দেওয়ারই শামিল। তবুও রাজ্যগুলির পর্ষদ এটাকে অনুমোদন দিয়ে দিল রাজ্যগুলির কোনোরকম আপত্তি ছাড়াই।
ঝুলিতে প্রতিটি চাতুরি
রাজ্যসভায় বিলগুলির উপর ভোটাভুটি সরকার কী করে ‘ম্যানেজ’ করে? মুসলিম নারী (বিবাহ অধিকার সুরক্ষা) বিল বা তিন তালাক বিল নামে পরিচিত বিলটির কথাই ধরা যাক। সরকার ৯৯-৮৪ ভোটে জিতে গেল, কারণ ভোটাভুটির সময় ৪৬ জন বিরোধী সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন! বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) একজনও উপস্থিত ছিলেন না। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) ছ’জন সদস্য গরহাজির ছিলেন। এনসিপির চারজন সদস্যের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন দু’জন। একেবারে ভোটাভুটির দিনেই একজন কংগ্রেস সদস্য ইস্তফা দিলেন (এবং পরদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন)। কংগ্রেসের চারজন সদস্য অনুপস্থিতও ছিলেন। এআইএডিএমকে, জেডি(ইউ), টিআরএস এবং পিডিপি সদস্যরা বিলের বিরুদ্ধে ভাষণ দিলেন বটে ভোটাভুটির সময় তাঁরা উধাও হয়ে গেলেন!
বিভাজন, ফুসলানি, চোখরাঙানি, শাসানি, অথবা ‘ক্লোজ ডিল’—ঝুলিতে যতরকম চাতুরি কৌশল আছে, আইন পাস করানোর জন্য, তার সবগুলিই ব্যবহার করেছে বিজেপি—এর ফলে যে জিনিসটি হতে চলেছে তা হল—রাজ্যগুলি পুরপ্রশাসনের স্তরে নেমে আসবে এবং ওইসঙ্গে যোগ হবে ‘ওয়াননেস’-এর অশুভ আইডিয়া—সবকিছুর জন্য একটিই সরকার।
05th  August, 2019
বনে থাকে বাঘ 
অতনু বিশ্বাস

ছেলেবেলায় ‘সহজ পাঠ’-এ পড়েছিলাম ‘বনে থাকে বাঘ’। যদিও এই পাঠটা যে খুব সহজ আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে, অর্থাৎ বনে বাঘ নাও থাকতে পারে, সেটা বুঝতে বেশ বড় হতে হল। ছোটবেলায় অবশ্য মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বন-জঙ্গল গিজগিজ করে বাঘে। 
বিশদ

13th  August, 2019
রক্ষক আইন যেন ভক্ষক না হয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভিক্টরি ম্যানসনে ঢুকলেন উইনস্টন স্মিথ। বহুতলে ঢুকেই নজরে আসবে দো’তলা সমান আখাম্বা ছবিটা। শুধু একটা মুখ। নীচে ক্যাপশন করা, বিগ ব্রাদার কিন্তু তোমাকে দেখছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ১৯৮৪-এর শুরুতেই উল্লেখ এই ছবির। আর এই নভেলের সারমর্মও লুকিয়ে এই ছবিতে—বিগ ব্রাদার দেখছে, তাই সাবধান। সাবধান হও সবাই... সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাফাইকর্মী, বেসরকারি চাকুরে... মোদ্দা কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। সবসময় নজরদারি।  
বিশদ

13th  August, 2019
পুতিন কি পারবেন নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে?
গৌরীশঙ্কর নাগ

 ১৯১৭ খ্রিস্টব্দে বা তার কিছু আগে থেকে লেনিন, ট্রটস্কি প্রমুখ নিবেদিত প্রাণ কমরেডের হাত ধরে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নামক যে মহীরুহটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তা গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কীভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে—বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা সেটা দেখেছি।
বিশদ

12th  August, 2019
স্টেট নয়, শুধুই রিয়াল এস্টেট
পি চিদম্বরম

 জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রায়ই লিখি কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম। জম্মু ও কাশ্মীর আর আগের জম্মু ও কাশ্মীর নেই। এটা আর রাজ্য নয়। এটাকে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের সংবিধানে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্তরে নামিয়ে আনার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
বিশদ

12th  August, 2019
রাহুল সরে দাঁড়াতেই কংগ্রেস এমন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কেন?
শুভা দত্ত

 প্রশ্নটা আজ দেশের সর্বস্তরে। পথে-ঘাটে অফিসে আড্ডায় যেখানেই চলতি রাজনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের উদয় হচ্ছে সেখানেই প্রশ্নটা যেন অনিবার্যভাবে এসে পড়ছে! কংগ্রেসের হলটা কী! রাহুল গান্ধী না বলে দিতেই আর সভাপতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসে! গান্ধী ফ্যামিলি ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না— এ তো বড় অদ্ভুত ব্যাপার! কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের দেশ রাজনীতির কত দিকপালই তো জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছেন—উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র, অ্যানি বেসান্ত, চিত্তরঞ্জন, সরোজিনী নাইডু, বল্লভভাই প্যাটেল, কামরাজ, জগজীবন রাম—কত নাম বলব। নিশ্চয়ই এই তালিকায় নেহরু থেকে ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া হয়ে রাহুল—গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
বিশদ

11th  August, 2019
শুধু উন্নয়ন নয়, ভোটের জন্য চাই ভালো মাস্টার
তন্ময় মল্লিক

মোটা বেতন দিয়ে মাস্টার রাখলেই ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। তেমনটা হলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েই উচ্চশিক্ষিত হতো। কিন্তু, তা তো হয় না। ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় আগ্রহ, মেধা যেমন থাকা দরকার, তেমনই নজরদারিটাও জরুরি। ফাঁকিবাজি থাকলেই ছাত্র হয় গাড্ডু খাবে, অথবা ‘বিবেচনায়’ পাশ।
বিশদ

10th  August, 2019
পঞ্চায়েত নির্বাচন, ৩৭০ কিংবা ৩৫এ
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গ ২০১৮, আর ত্রিপুরা ২০১৯। পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল একইরকম। ঠিক কত আসন সেটা গোনার দরকার নেই। সহজ অঙ্কে বিষয়টা এরকম। ধরা যাক, মোট আসন ১০০, শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৭০টি আসনে। বাকি তিরিশের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের শেষে শাসক দল ২০, বিরোধীরা দশ। পাটিগণিতের অঙ্ক একেবারে মিলে গেল।
বিশদ

10th  August, 2019
কাশ্মীর: নতুন চ্যালেঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সরকারের। কাশ্মীরকে আন্তরিকভাবে ভারতের অন্তঃস্থলে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটিই কিন্তু হবে কাশ্মীরের নয়া ইতিহাস রচনা। সেটা নিছক একটা ভূমিখণ্ড দখল নয়। কাশ্মীরিয়াৎকে আপন করে নেওয়া। একমাত্র তাহলেই পাকিস্তান সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে! আর কাশ্মীরিদের আমরা যদি শত্রু বিবেচনা করে চলি, তাহলে কিন্তু টেনিসের পরিভাষায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান হয়ে যাবে! সে সুযোগ দেব কেন?
বিশদ

09th  August, 2019
সংযুক্তিকরণের মিশ্র অভিজ্ঞতার পংক্তিতে কাশ্মীর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 সমস্ত প্রশ্ন আসলে আবর্তিত হচ্ছে মূলত কাশ্মীরসমস্যা সমাধানের প্রশ্নে ‘স্বাধিকার বনাম সংযুক্তিকরণ’ ভাবনাকে কেন্দ্র করে। নেহরুর অনুসৃত কাশ্মীরের স্বাধিকার মডেল বিগত ৭০ বছর ধরে কার্যকরী থাকলেও কাশ্মীরসমস্যার সমাধান কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছে। তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। বিজেপির সংযুক্তিকরণ মডেলে কাশ্মীরের এই দীর্ঘ অচলাবস্থা ভেঙে এগিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংযুক্তিকরণ মডেলের যে অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে, তা মিশ্র। চীনের সঙ্গে তিব্বতের সংযুক্তিকরণ সফল হয়েছে। আলাস্কার ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ সফল ছিল। আবার চীনের সঙ্গে হংকংয়ের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া কিন্তু কঠিন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখন দেখার, কাশ্মীরকে ভারতের মূল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার ফল কী হয়? বিশদ

08th  August, 2019
জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ
জিষ্ণু বসু 

দিনটি ছিল ১১ মে, ১৯৫৩। পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশের অপরাধে পাঠানকোটের মাধোপুর সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেখান থেকে শ্রীনগর ৩০০ কিমির বেশি। এতটা পথ পুলিসের জিপে আনা হল তাঁকে।  বিশদ

07th  August, 2019
তিন তালাক: এক কুপ্রথার অবসান
অমিত শাহ

কিছু দিন ইতিহাসে বিশিষ্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ভারতের সংসদের ইতিবৃত্তে ৩০ জুলাই, ২০১৯ তেমনই একটি দিন। সংসদের উচ্চকক্ষে ঐতিহাসিক তিন তালাক বিলের জায়গা করে নেওয়াটা নিছক একটি নতুন আইনপ্রণয়ন নয়। এটি একটি ঐতিহাসিক ভুলের সংশোধনের বিষয়। এটি মুসলিম নারীদের সম্মান ও মর্যাদার পুনরুদ্ধারের বিষয়।
বিশদ

06th  August, 2019
কলকাতা কি প্রবীণদের জন্য ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?
শুভা দত্ত

বুধবার ভোরের কাগজে চোখ রাখতেই এমন একটা প্রশ্ন যেন বুকের মধ্যে শেল হয়ে বিঁধল। এ কী কাণ্ড সব হচ্ছে! খুনের পর খুন! আর সেই খুনিদের টার্গেট কিনা নিরীহ সাধারণ প্রৌঢ় আর প্রবীণ! কী অপরাধ তাঁদের? অপরাধ তাঁরা বাড়িতে একলা থাকেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরা হয়তো চাকরিসূত্রে দেশের অন্য রাজ্যে বা দূর বিদেশে। অপরাধ—তাঁদের একটা ছোট বড় জমি বাড়ি বাগান বা ফ্ল্যাট আছে, আছে সারাজীবন কষ্ট করে রোজগারের কিছু টাকা-পয়সা, ব্যাঙ্ক আমানত, গয়নাগাটি।
বিশদ

04th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দক্ষিণ ভারতে একের পর এক পুলিসি অভিযানে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন জেএমবি জঙ্গি। তাই জায়গা পরিবর্তন করে মধ্য ভারতে ঘাঁটি বানাতে শুরু করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।  ...

সংবাদদাতা রায়গঞ্জ: নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে সমস্ত ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। অভিযোগ, জেলা ও ব্লক স্তরের ভূমি সংস্কার দপ্তরগুলিতে নানা বেআইনি কাজ হচ্ছে। অনৈতিক ভাবে টাকা নিয়ে গরিব মানুষদের নামে থাকা জমি ...

বিএনএ, কৃষ্ণনগর: ঘূর্ণির শিল্পী সুবীর পাল ‘লিমকা বুক অব রেকডর্সে’ নাম তুলে ফেললেন। সুবীরবাবুর ঝুলিতে অনেক আগেই এসেছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। একইসঙ্গে বৃহৎ মূর্তি(লার্জার দ্যান লাইফ) এবং ক্ষুদ্র ভাস্কর্য তৈরি করে তিনি ঠাঁই পেয়েছেন লিমকা বুকে। ভেঙে ফেলেছেন আগের রেকর্ডও। সম্প্রতি ...

বেজিং, ১২ আগস্ট (পিটিআই): ঘূর্ণিঝড় লেকিমার তাণ্ডবে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২১ জন। প্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭- পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস
১৯৪৮- শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলনে ডন ব্র্যাডম্যান
১৯৫৬- জার্মা নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখটের মৃত্যু
২০১১- অভিনেতা শাম্মি কাপুরের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৭ টাকা ৭১.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৮৪.২৫ টাকা ৮৭.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৮.০৭ টাকা ৮১.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৩০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৪৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৪ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, চতুর্দশী ২৬/১৩ দিবা ৩/৪৬। উত্তরাষাঢ়া ০/৫ প্রাতঃ ৫/১৯। সূ উ ৫/১৬/৩৫, অ ৬/৬/১৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ১/১৮ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫২ মধ্যে। 
২৮ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৪ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, চতুর্দশী ২৪/৩১/৩ দিবা ৩/৪/৩। উত্তরাষাঢ়ানক্ষত্র ২/১০/১৭ দিবা ৬/৭/৪৫, সূ উ ৫/১৫/৩৮, অ ৬/৮/৪২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/১৬ মধ্যে, বারবেলা ১১/৪২/১০ গতে ১/১৮/৪৮ মধ্যে, কালবেলা ৮/২৮/৫৪ গতে ১০/৫/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ২/২৮/৫৪ গতে ৩/৫২/১৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ হবে। মিথুন: ফাটকাতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪৭- পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস১৯৪৮- শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলনে ...বিশদ

07:03:20 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচ: বৃষ্টিতে ফের বন্ধ খেলা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৮/২(২২ওভার)  

09:25:56 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩১/২(১৫ওভার)  

08:44:01 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৪/০(১০ ওভার)  

08:19:26 PM

 আগামীকাল কম ট্রেন মেট্রোয়
আগামীকাল ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় ...বিশদ

08:12:59 PM