ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
এখন ‘রাম’ শব্দের অর্থ কী? একটি মানে হ’ল “রমন্তে যোগিনঃ যস্মিন্” অর্থাৎ ‘রাম’ হলেন এমনই এক সত্তা যাকে যোগীরা তাঁদের মানসাধ্যাত্মিক আভোগ (Psyco-spiritual Pabulum) হিসেবে গ্রহণ করেন, মানসাধ্যাত্মিক আনন্দের উৎস বলে মনে করেন। এখন এই যে যোগীদের মানসাধ্যাত্মিক আনন্দের উৎস, ইনি কে? —না, পরমপুরুষ। তাই ‘রাম’ মানে পরমপুরুষ বা নারায়ণ। রাম শব্দের অপর মানে হ’ল—“রতি মহীধরঃ রামঃ”। ‘রাতি’ শব্দের আদ্যক্ষর ‘রা’ আর ‘মহীধরঃ’ শব্দে প্রথম বর্ণ হ’ল ‘ম’। বিশ্বের সবচেয়ে জ্যোতিষ্মান সত্তা হ’ল রাম যিনি অপরকেও তারই মত জ্যোতিষ্মান করে তোলেন। তাঁর জ্যোতিতে অন্যান্য সত্তারাও জ্যোতির্ময় হয়ে ওঠে। চাঁদ তার দীপ্তি পেয়ে থাকে পৃথিবী থেকে। পৃথিবী জ্যোতি পেয়ে থাকে সূর্য থেকে আর সূর্য আলো পেয়ে পরমপুরুষের কাছ থেকে। তাই পরমপুরুষ হলেন এমন এক সত্তা যিনি অপরকে তাঁর মত প্রোজ্জ্বল করে তোলেন। কে সেই প্রোজ্জ্বল সত্তা?
“ন তত্র সূর্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকং।
নেমা বিদ্যুতো ভান্তি কুতোঽয়মগ্নিঃ।
তমেব ভান্তমনুভাতি সর্বং
তস্য ভাসা সর্বমিদং বিভাতি।।”
পরমপুরুষই হলেন সর্বাপেক্ষা জ্যোতির্ময় সত্তা। ‘রাতি মহীধরঃ’ মানে সেই পরমপুরুষ—অন্য কেউ না। ‘রাম’ শব্দের তৃতীয় মানে হ’ল ‘রাবণস্য মরণম্ রামঃ’। ‘রাবণস্য’ শব্দের আদ্যক্ষর হ’ল ‘রা’ আর ‘মরণম্’ শব্দের আদ্যক্ষর হ’ল ‘ম’। তাই ‘রাম’ মানে সেই সত্তা যার চাপে রাবণের মৃত্যু হয়। ‘রাবণ’ শব্দের মানে হ’ল দুষ্ট মন, অধোগামী মন যা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঊর্দ্ধ, অধঃ, ঈশান, নৈৠত, অগ্নি ও বায়ু এই দশ দিকেই কাজ করে চলেছে। মানুষের যা কিছু দুষ্প্রবৃত্তি যা এই দশ দিকে ছুটে চলে তারই সামূহিক নাম রাবণ। রৌ+অণ=রাবণ অর্থাৎ যার প্রবণতা হ’ল নরকের পথে চলা। এই রাবণের মৃত্যুর বীজ কোথায় নিহিত? এই দশানন দৈত্যের কোথায় মৃত্যু? মানুষ যখন রামের শরণ নেয় তখনই রাবণের মৃত্যু।