সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
মনকে সর্ব্বদা গুরুমুখী করিয়া রাখাই শিষ্যের একমাত্র তপস্যা ও আরাধনা। সব রকম কাজের ভিতর দিয়া চলাফেরার সঙ্গে সঙ্গে বহির্মুখী মনকে গুরুমুখী করিয়া রাখিতে পারিলে বাহিরের কোন রকম বাজে আবহাওয়া শিষ্যকে কোন ভাবে কোন রকমে ধরিতে ছুঁইতে স্পর্শ করিতে পারিবে না। এই বিধান সব সময় মানিয়া চলিলে শিষ্য আর কখনও কোনরূপে বিপদগ্রস্ত হইবে না। বাসনার নাশ যেখানে, ভক্তের ভগবর্দ্দশন, যোগীর আত্মদর্শন, জ্ঞানীর ব্রহ্মদর্শন ও শিষ্যের গুরুদর্শন সেখানে।
গুরুর আদেশ প্রতিপালনেই শিষ্যের জন্মজন্মান্তরীণ যাবতীয় বাসনার নাশ হইয়া থাকে। এই বাসনার নাশ যেখানে শান্তি, শক্তি ও মুক্তি সেখানে। এই শান্তি, শক্তি ও মুক্তিই শিষ্যের একমাত্র গুরুদর্শন। কখনও কোনও সঙ্ঘ-সন্তান সাময়িক দুর্ব্বলতা বশতঃ যদি কোন নীতিবিগর্হিত কাজ করে এবং সেই সব ব্যাপার লইয়া তাহাকে লোকচক্ষে হেয় করিবার উদ্দেশ্যে—অপর কোন সঙ্ঘ-সন্তান যদি তাহার নানারূপ নিন্দা বা সমালোচনা করে, তবে অনতিদীর্ঘকাল মধ্যেই সেই সমস্ত দোষত্রুটি নিন্দা বা সমালোচনাকারী সঙ্ঘ-সন্তানকে আসিয়া আক্রমণ করিতে থাকে।
কোন সঙ্ঘ-সন্তানকে তাহার ভুলত্রুটি সংশোধনার্থ (প্রীতি ও সহানুভূতির সহিত) সমালোচনা করিতে যাওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু কেবলমাত্র সাময়িক আনন্দোপভোগ অথবা হেয় অপদস্থ করিবার জন্য কোনও সঙ্ঘ-সন্তানের (কোন দোষ-ত্রুটি) সমালোচনা করিতে যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। কোনও সঙ্ঘ-সন্তান আদর্শ জীবন যাপন করিতে করিতে যদি কোন এক অশুভ মুহূর্ত্তে কোনরূপ দুর্ব্বলতা দ্বারা আক্রান্ত হইয়া আদর্শভ্রষ্ট ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তবে তাহা দেখিয়া অপর কোন সঙ্ঘ-সন্তানও কি তাহার আদর্শ পরিত্যাগ করিয়া আদর্শভ্রষ্ট ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হইবে? না; তখন সে মনে করিবে যে—চন্দ্র-সূর্য্য-গ্রহ-নক্ষত্র প্রভৃতি দিক্পালকে সাক্ষী রাখিয়া, অগ্নি ও গুরুকে স্পর্শ করিয়া আমি যে সুমহান্ ব্রত ও নিয়ম গ্রহণ করিয়াছি, আমার ধমনীতে এক বিন্দু রক্ত থাকিতেও সেই ব্রত ও নিয়ম লঙ্ঘন করিব না। সাধারণ মানুষ যখন তখন প্রতিজ্ঞা করে আবার যখন তখনই প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গিয়া ফেলে, যখন তখন সঙ্কল্প করে আবার যখন তখনই সেই সঙ্কল্প ছাড়িয়া দেয়। কিন্তু আমি তো সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করিতেছি না। আমার জীবনের একটা মহান্ আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য আছে। ‘আমি সঙ্কল্প ছাড়িব না, প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গিব না’—এই নীতি ও নিয়মকেই এযাবৎকাল পর্য্যন্ত ধরিয়া চলিয়া আসিয়াছি।