বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
হাসিনার প্রশাসন বুঝিয়ে দিতে পেরেছে, বাংলাদেশ আর যাই হোক পাকিস্তান বা আফগানিস্তান নয়। ধর্মের নামে ঘৃণা বিদ্বেষ হিংসা ছড়াবার সামান্য চেষ্টাও হাসিনা সরকার বরদাস্ত করবে না। এই ধরনের অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির মুখেই পড়তে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির যাবতীয় নষ্টামির আসল লক্ষ্যবস্তুর নাম ভারত। পাকিস্তান যখন কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাত প্রভৃতি সীমান্ত পথে এঁটে উঠতে পারে না তখন তাদের লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটি এবং সেখানকার যুব সম্প্রদায়ের একটি অংশকে ভারত-বিরোধী কুকর্মে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তান পাঁচ দশক যাবৎ মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবী জানে, ভারতের সহায়তায় ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপ দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। এহেন নেতাকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা অসম্ভব জেনেই পাক মদতপুষ্ট শক্তি মুজিবকে হত্যা করেছিল। মুজিবের মৃত্যুর পরই বাংলাদেশ জুড়ে বেরিয়ে পড়েছিল পাকপন্থীদের দাঁত নখ। সীমাহীন অত্যাচার নেমে এসেছিল হিন্দু, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর। হাজারে হাজারে নির্যাতিত নরনারী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসতে থাকেন। শরণার্থীর সেই স্রোত কিছুতেই থামছিল না।
হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়েই এই অন্যায় বন্ধ করার শপথ নেন। মৌলবাদী এবং পাকপন্থীদের নষ্টামি রুখতে গোড়াতেই কঠোর অবস্থান নেন শেখ হাসিনা। আইন ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মুজিব হত্যাকারীদের একে একে শাস্তি দিয়েছেন। বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়েছে অন্য মৌলবাদীদেরও। বিশেষ করে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের অবাধ ধর্মাচরণেও যত্নবান হয় হাসিনা সরকার। জামাত এবং বিএনপির লাগাতার সমালোচনা আমলই দেনননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে টলাতে পারেনি কোনও কোনও কুচক্রী বৈদেশিক শক্তিও। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান—ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস সৃষ্টির ব্যাপারে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে বাধা পাচ্ছে। এতদিন তাও একরকম ছিল। আফগানিস্তানে তালিবান, থুড়ি পাকিস্তানের ছায়া সরকার বসার পরও হাসিনার রক্তচক্ষু মেনে নিতে হচ্ছে! এটা কোনওভাবেই হজম হচ্ছে না পাকপন্থীদের। তাদের পরিষ্কার মতলব, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এসব ঘটনায় হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বোধ করছেন। দুষ্কৃতীদের দমনে হাসিনা স্বয়ং তাঁর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এবং কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপও করেছেন ইতিমধ্যে। মানুষের এই দুঃসময়ে আমাদের উচিত, তাঁর উপর আস্থা রাখা, হাসিনা প্রশাসনের পাশে থাকা। বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মাটিতে প্রতিবাদের নামে এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে উল্টে ষড়যন্ত্রীরাই বাড়তি সুবিধা পেয়ে যায়। পাকিস্তান এবং তালিবান কিন্তু বড় ফাঁদ পেতে রেখেছে। তাতে একবার পা গলিয়ে দিলেই মহাভুল হয়ে যাবে। সাধারণ নির্বাচনের আগে এমন অশান্তি আরও পাকানো হতে পারে ধরে নিয়েই সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে শান্তিপ্রিয় ভারতের সকলকে।