মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
যাঁরা গ্যাসে রান্না করেন, তাঁদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। পাছে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তাই গ্যাস লিক থেকে শুরু করে সিলিন্ডার, চুল্লি বা ওভেন, পাইপ ও রেগুলেটর ঠিক আছে কি না, সেদিকে নজর দিতে হয় গৃহস্থকে। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রক জানায়, রান্নার গ্যাসের যন্ত্রপাতিগুলি ঠিকঠাক আছে কি না, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেখবে সংশ্লিষ্ট গ্যাস সংস্থাগুলি। সেগুলি করা হবে ডিলারদের মাধ্যমে। ঠিক হয়, দু’বছর অন্তর একবার করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা রান্নার গ্যাস চেকিং করবেন। যদি তাঁরা কোনও যন্ত্রে বিপদের আঁচ পান, তাহলে তা বদলে দেবেন এবং সেই মতো দাম নেবেন। সুরক্ষা অটুট রাখতেই তাঁরা ‘সার্ভিসিং’ করে দিয়ে যাবেন।
আগে ওই সার্ভিসিং ফি ছিল ৭০ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়। এর উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করার কথা। জিএসটির কারণেই খরচ আবারও কিছুটা বেড়ে যায়। সার্ভিসিং ফি পুজোর আগে থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। এমনকী আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্য হিসেবে যে পরিবারের মহিলারা উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস নিয়েছেন, তাঁদেরও চোকাতে হবে ওই বাড়তি খরচ।
ডিলাররা অবশ্য কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, দেড়শো টাকা থেকে বাড়িয়ে সার্ভিস চার্জ ২০০ টাকা করার পাশাপাশি সার্ভিসিংয়ের সময়সীমা দু’থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। এতে সার্ভিস চার্জ বাবদ আয় কমবে ডিলারদের। রোজগার কমবে কর্মীদেরও। কিন্তু সেসবের থেকে বড় কথা, বিঘ্নিত হবে গ্যাস গ্রাহকদের নিরাপত্তা। পাঁচ বছর অনেকটা সময়। তার মধ্যে যদি সত্যিই গ্রাহকের অবচেতনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার মতো ত্রুটি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে, প্রশ্ন ডিলারদের। অবশ্য গ্রাহকের একাংশের বক্তব্য, দু’বছর অন্তর যে বাধ্যতামূলক সার্ভিসিং করার কথা ডিলারদের, তা তাঁদের অনেকেই করেন না। বছরের পর বছর গ্যাস ব্যবহারের পরও তাঁদের বাড়িতে সার্ভিস করতে আসেননি কেউ, এমন অভিজ্ঞতাও আছে অনেকেরই।
এদিকে, সাধারণ গ্রাহকের গ্যাসের ভর্তুকি ক্রমেই কমে চলেছে। গত আগস্ট মাসে যে ২১ টাকা কম ভর্তুকি জুটেছিল গ্রাহকের, সেই ধারা যেমন চলছে, পাশাপাশি প্রতি মাসে ধাপে ধাপে ভর্তুকির অঙ্ক আরও কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। চলতি মাস পর্যন্ত সেই টাকা কমেছে ৪৪ টাকা। অথচ সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না গ্রাহকদের। জুলাই পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের রসিদে ভর্তুকির অঙ্ক লেখা থাকত। আগস্ট থেকে তা তুলে দেওয়া হয়। পরের মাসগুলিতেও সেই ধারা চলছে। কেন সরকার ভর্তুকি কমাচ্ছে, সেই ব্যাপারে রা কাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহক। এরপর রান্নার গ্যাস রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত খরচও বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভের আঁচে ঘি পড়ছে।