শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন সীতারামনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, বর্তমানে আমেরিকার কর কাঠামোর সঙ্গে তুলনীয় এই হার। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, এর ফলে ‘ভারতের কর্পোরেট জগৎ নয়া উদ্যম ও প্রাণশক্তি’ পাবে। নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, মেক ইন ইন্ডিয়ায় জোয়ার আসবে এবং আর্থিক বৃদ্ধি হবে। অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘এতে আরও বেশি করে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং ১৩০ কোটি দেশবাসী উপকৃত হবেন।’ পাশাপাশি, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতকে বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কর্পোরেট জগতের কাছে সরকার প্রদত্ত এই সুবিধাকে কাজে লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন। সরকারের এই কর ছাড়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বিনিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
শুধু রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নন, শুক্রবারকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ আখ্যা দিয়ে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার বলেছেন, ‘এটাই যাবতীয় সঙ্কটের মজবুত দাওয়াই।’ কর্পোরেট কর ছাড়কে ‘চমকপ্রদ পদক্ষেপ’ বলে জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়াও। চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেছেন, ‘এই পরিমাণে কর ছাড়া কর্পোরেট জগতকে চাঙ্গা করবে এবং কমবে পণ্যের দাম।’
অন্যদিকে, সরকারের এই কর ছাড়ের সিদ্ধান্তকে দু’হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছে বণিকসভাগুলি। কর্পোরেট জগতকে কর ছাড়ের বিষয়টি তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বলে জানিয়েছে বণিকসভা ফিকি। সংস্থার প্রেসিডেন্ট সন্দীপ সোমানির কথায়, ‘এতে কর্পোরেট জগৎ মারাত্মক উদ্যম পাবে।’ একই সুর শোনা গিয়েছে সিআইআইয়ের গলাতেও। সংস্থার প্রেসিডেন্ট বিক্রম কির্লোস্কার বলেছেন, ‘উৎসব মরশুমের আগে এর থেকে ভালো খবর আর হতে পারে না।’ কর ছাড় নিয়ে ‘বেদান্ত রিসোর্সেস’-এর এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে দেশের বৃদ্ধিকে ৮-৯ শতাংশে নিয়ে যাবে। তৈরি হবে হাজার হাজার কাজের সম্ভাবনা।’
দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার যে দায়বদ্ধ তা, এই সিদ্ধান্তেই প্রমাণিত বলে জানিয়েছেন কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সিইও উদয় কোটাক। অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতাপ সি রেড্ডির কথায়, ‘বিশ্বজুড়ে যখন আর্থিক মন্দা চলছে, তখন ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে।’ স্পাইসজেটের এমডি অজয় সিং বলেছেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক বৃদ্ধি, লগ্নি ও চাহিদা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে এই মোক্ষম পদক্ষেপ।’ দেশের অর্থনীতি ও উৎপাদন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন হিন্দুজা গোষ্ঠীর সহ চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার শ। রেটিং প্রদানকারী মার্কিন সংস্থা মুডিজও কর ছাড়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থার ইনভেস্টর্স সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ হালান বলেছেন, ‘এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। এতে ভারতীয় সংস্থাগুলির নিট আয় বাড়বে।’