বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মেয়র এ বিষয়ে আরও বলেন, এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে আমরা যেখানে যেমন জায়গা পাব, কম্প্যাক্টর স্টেশনের পাশেই এরকম কম্পোস্ট প্ল্যান্ট করব। সফলভাবে এই ভাবনা রূপায়িত করা গেলে দৈনিক প্রায় ১০০০ টন সার উৎপাদন করতে পারবে পুরসভা। ফিরহাদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে সার তৈরি করব, তা পুরসভার উদ্যান বিভাগই তাদের কাজে ব্যবহার করবে। উৎপাদন বাড়লে আমাদের জৈব সার কোনও সার উৎপাদক সংস্থাকে বিক্রি করে দেব। তবে সারা শহরেই বর্জ্য আলাদা করে রাখার প্রক্রিয়া চালু হলে তবেই এমন প্রকল্প সাফল্য পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, শনিবার বাংলাদেশের পল্লি উন্নয়নমন্ত্রী তাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। পরে মেয়র বলেন, আমাদের এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি জানতে ওঁরা এসেছিলেন। যৌথভাবে আমরা প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ভাবনার আদানপ্রদান করেছি। তিনি আরও বলেন, যেভাবে এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট)-এর মাধ্যমে আমরা নিকাশি ও পয়ঃপ্রণালীর জলকে গঙ্গায় ফেলছি, যেভাবে আমরা কম্প্যাক্টর স্টেশনের মাধ্যমে খোলা ভ্যাটমুক্ত কলকাতা গড়তে চলেছি, সেইসব ব্যাপারে ওঁরা আমাদের কাছ থেকে জেনেছেন। তাজমুল সাহেব বলেন, এই আদানপ্রদানে আমরা দু’তরফই প্রভূত উপকৃত হব।
মেয়র এদিন স্বীকার করে নেন, যাদবপুর ও জোকা সহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় এখনও খোলা নিকাশিনালা দিয়ে কোনওরকমে চলে। মূল কলকাতার যে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা, তা এসব জায়গায় অমিল। তাই কেইআইআইপি’র পরবর্তী ফেজে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের টাকায় পুরসভার ১০৮, ১০৯, ১২৬, ১২৭, ১৪০, ১৪১, ১৪২, এবং ১৪৩ ওয়ার্ডগুলিতে উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এ কথা ঘোষণা করে মেয়র বলেন, আগামী ২৬ মার্চ এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে।