পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস জলঙ্গি ব্রিজের কাছে জাতীয় সড়কের উপর ঘাঁটি গাড়ে। চার চাকা হন্ডা সিটি গাড়ি করে কৃষ্ণনগর দিয়ে আসছিল পাচারকারীরা। পুলিসের নাকা চেকিংয়ের খবর পেয়েই রাস্তার উপর গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পুলিস জানতে পেরেছে, গাড়ির মধ্যে দু’জন ক্যারিয়ার ছিল। সেইমতো গাড়িটি তল্লাশি করা হয়। গাড়ির পিছনে ডিকি এবং সিটের নীচ থেকে প্যাকেটে মোড়া গাঁজা পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে মোট ১৪৮ কেজি গাঁজা ছিল। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরে একাধিক নম্বর প্লেট পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, পুলিসের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন জায়গায় আলাদা নম্বর প্লেট ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। যাতে তাদের ট্রেস না করা যায়। উল্লেখ্য, পুলিসের কাছে আগে থেকেই মাদক পাচারের গাড়ির নম্বর পৌঁছে যায়। বিভিন্ন থানার সঙ্গেও তা শেয়ার করা হয়। সেই নম্বরে ধরেই নাকা চেকিং করে পুলিস। এতেই ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর তা এড়াতেই ভিন্ন জায়গায় গাড়ির ভিন্ন নম্বর ব্যবহার করছিল পাচারকারীরা।
অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে, গাঁজা পাচারের গাড়ি মুর্শিদাবাদের যাওয়ার জন্য সরাসরি জাতীয় সড়ক ব্যবহার করছে না। তার জন্য জাতীয় সড়ক ফেলে জেলার অন্য রুট দিয়ে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করিমপুর এলাকাকে তার জন্য হাত বদলের হাব বানিয়েছে পাচারকারীরা।
সম্প্রতি দফায় দফায় বিপুল পরিমাণে এই মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে। চাপড়া, কোতোয়ালি, কালীগঞ্জ, কৃষ্ণগঞ্জ, ভীমপুর সহ বিভিন্ন থানা এলাকা দিয়ে পাচারের সময় গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কখনও কোচবিহার থেকে গাঁজা আনা হচ্ছে। আবার কখনও ওড়িশা থেকে এই গাঁজা আনা হচ্ছে। তারপর তা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। পুলিসের অনুমান, একাধিক গ্যাং সক্রিয় হয়েছে এই মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে। -নিজস্ব চিত্র