পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পরীক্ষা চলাকালীন প্রথমে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু। গোলমাল থামিয়ে মালদহ কলেজের ছাত্রদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন অধ্যক্ষ। অভিযোগ, পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষের সামনে ফের মালদহের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বালুরঘাট কলেজের ছাত্ররা। যাদের কোনও পরীক্ষা ছিল না। অধ্যক্ষ বালুরঘাট কলেজের ছাত্রদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। বালুরঘাট কলেজের ওই ছাত্ররা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, কোনও কারণে বাইরের ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কলেজের ছাত্রদের বচসা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে গোলমাল থামিয়ে বাইরের এক ছাত্রের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। পরীক্ষা শেষে যাতে গোলমাল না হয় সেজন্য আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের ছাত্ররা বাইরের ছাত্রের ওপর চড়াও হয়। ওরাও রুখে দাঁড়ায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ছাত্রদের কলেজ থেকে বের করে দিয়েছি। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে কারও ঢোকার অনুমতি নেই। তাসত্ত্বেও তারা ঢুকেছে।
টিএমসিপির বালুরঘাট শহরের জয়েন্ট কনভেনার সুরজ সাহার দাবি, পরীক্ষা দিতে আসা মালদহের ছাত্ররা দেদারে নকল করছিল। এনিয়ে নিজেদের মধ্যেই একটা সমস্যা হয়। এখানে টিএমসিপির কেউ জড়িত না। ইউনিয়নের কেউ মারধর করেনি। এদিন বালুরঘাট কলেজে নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে মালদহ থেকে আসেন ছাত্রছাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্র শৌচালয়ে গিয়ে নকল বের করছিল। বালুরঘাট কলেজে ঘুরতে আসা সেখানকারই কয়েকজন ছাত্র বিষয়টি দেখে ফেলে। এবং মালদহের ওই পরীক্ষার্থীকে শৌচালয়ে আটকে রাখে বালুরঘাট কলেজের ছাত্ররা। এনিয়ে শুরু হয় বিবাদ, হাতাহাতি। মালদহের আক্রান্ত ছাত্র পান্ডব মহালদার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমি টয়লেটে গিয়েছিলাম। বাইরে থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা এসে টয়লেট আটকে চলে যায়। আমি বের হতে পারছিলাম না। কোনও রকমে বের হলে এক ছাত্র এসে চড় মারে। এরপর চারজন মিলে আমাকে চেয়ার দিয়ে মারধর করে। গোলমাল থামিয়ে অধ্যক্ষ ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করে করেন। পরীক্ষা শেষে ফের মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে মালদহের পড়ুয়া ও বালুরঘাটের কয়েকজন। -নিজস্ব চিত্র