পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
প্রতি বছর ৪ মাঘ বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদের চরে এই মেলা বসে। শুধুমাত্র মুড়ি খাওয়ার জন্যই এই মেলায় মানুষের ঢল নামে। শীতের মিঠে রোদ পিঠে মেখে জমিয়ে চলে মুড়ি খাওয়ার পর্ব। কেঞ্জাকুড়া সহ আশপাশের প্রায় ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষ নদীর চরে ভিড় করেন। জেলার বাইরে দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে মেলায় পৌঁছন। কেঞ্জাকুড়ার এই প্রাচীন মুড়ি মেলা ঘিরে এবারও উন্মাদনা একইরকম ছিল।
বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দূরে কেঞ্জাকুড়া গ্রাম। ওই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ। ওই নদের চরে রয়েছে সঞ্জীবনী মাতার আশ্রম। বহু আগে থেকেই এই আশ্রমে প্রতিবছর মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বসে হরিনাম সংকীর্তনের আসর। তা চলে মাঘ মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত। মহোৎসবের শেষ দিনে দ্বারকেশ্বরের চরে বসে মুড়ি মেলা।
সকলে বাড়ি থেকেই মুড়ি নিয়ে মেলায় যান। নদীর চরে বালির উপর গামছা পেতে সেই মুড়ি মাখা হয়। সঙ্গে চপ, বেগুনি, শিঙাড়া, চানাচুর থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো, মটরশুঁটি, নারকেল, ধনেপাতা প্রভৃতি থাকে। কেউ কেউ নারকেল নাড়ুও মুড়ির সঙ্গে শেষ পাতে রাখেন। অনেকে নদীর বালি সরিয়ে গর্ত খুঁড়ে বের করে আনা জল দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে থাকেন। তারপর গোল হয়ে বসে চলে খাওয়াদাওয়া।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা সম্প্রীতি রায় বলেন, আমি ছাতনায় এক আত্মীয় বাড়ি এসেছিলাম। সেখানেই মুড়ি মেলার কথা জানতে পারি। আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে মুড়িমেলায় এসে দ্বারকেশ্বরের চরে বসে মুড়ি খেয়েছি। এই ধরনের মেলা সাধারণত দেখা যায় না।
বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা কমল রজক বলেন, প্রতিবছরই আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলায় যাই। সকালে সপরিবারে মুড়ি খাই। দুপুরে মায়ের আশ্রমে খিচুড়ি ভোগ বিলি করা হয়। তা খেয়ে বাড়ি ফিরি। এবারও তার অন্যথা হয়নি।