পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের কাছারি রোডে মহকুমা আদালত। প্রবেশ পথের ডান ও বাম পাশে ল-ক্লার্কদের টেবিল, চায়ের দোকান। কিছুটা এগলে গাড়ি ও বাইক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। কয়েক পা এগলেই মহকুমা দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ভবন। পাশেই জিআর সেকশন ও কোর্ট লকআপ। এর বাম দিকে বার অ্যাসোসিয়েশনের ঘর। কাজেই, কোর্ট লকআপ চত্বর কার্যত ঘিঞ্জি। এদিন বন্দিদের জন্য আনা খাবারের প্যাকেট পরীক্ষা করা হয়। ফলে প্যাকেট খুলে কিংবা প্লাস্টিকের প্যাকেট কেটে খাবার ঘেটে দেখা হয়। তবে, শীতবস্ত্র সহ কোনও পোশাকের প্যাকেট লকআপে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অনেক বন্দির আত্মীয়কে সেখান থেকে ফিরেয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এবং দার্জিলিং জেলা পুলিসের ন’টি থানা এলাকা থেকে বন্দিদের সংশ্লিষ্ট লকআপে পাঠানো হয়। দৈনিক গড়ে এখানে বন্দি আসে প্রায় ৫০ জন। যার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক জটলা হয়। পাঞ্জিপাড়া কাণ্ডের পরই লকআপ চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিস কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, প্যাকেট খাবারের আড়ালে কেউ বন্দিদের কাছে নিষিদ্ধ বা আপত্তিকর জিনিস সরবরাহ করতে পারে। তাই প্যাকেট কেটে খাবার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এক অফিসার বলেন, লকআপে বন্দিদের জন্য খাবার সরকার বরাদ্দ করে। আইন অনুসারে সেই খাবারের প্যাকেটও পরীক্ষা করা হয়। ধৃত বা বন্দিদের আত্মীয়দের কাছ থেকে কোনও খাবার লকআপে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। শুধু মাত্র চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুসারে বন্দিদের কাছে ওষুধ ও জল বাড়ির লোকদের সরবরাহ করতে দেওয়া হয়। এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে।
এদিন, আদালত ভবনের প্রবেশদ্বারে কোনও ব্যক্তিকে বিনাকারণে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র পুলিস কর্মী। তাছাড়া, এদিনও জেল থেকে পাঠানো হয়নি কোনও বন্দি। আদালত সূত্রের খবর, এদিন ৩৭টি মামলার ভার্চুয়ালি শুনানি হয়েছে। সেই তালিকায় খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে।
শুধু শিলিগুড়ি নয়, এদিন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ আদালতে এভাবেই শুনানি হয়েছে। কোর্ট লকআপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চাঙ্গা করা হয়েছে। পুলিসের উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ যাদব বলেন, প্রতিটি কোর্ট লকআপ চত্বরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ভার্চুয়ালি মামলার শুনানিতে জোর দেওয়া হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।