পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জ্যোতির্ময়ের আসল বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার মাগুরাতে। কয়েকবছর আগে সে ভিসা নিয়ে ভারতে এসে বারাসতের নবপল্লিতে বসবাস শুরু করে। ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশে ফেরেনি। এদেশে থাকার জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করে। এদিকে, ভুয়ো নথি তৈরিতে ধৃত সমীর দাসের বাড়িও নবপল্লিতে। সমীরই জাল নথি দিয়ে জ্যোতির্ময়কে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দেয়। এমনকী জ্যোতির্ময়কেও সে এই ভুয়ো নথি তৈরির চক্রে নামায়। এরপর শুক্রবার রাতে বারাসত থানার পুলিস জ্যোতির্ময়কে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, আরেক ধৃত রূপককে জেরা করে জাল নথি দিয়ে এদেশের আধার কার্ড তৈরিতে দক্ষ বিবেক বেরার নাম জানতে পারে পুলিস। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার নন্দবাড় এলাকাতে। পুলিস তদন্তে জানতে পারে, সমীর বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য পাঠাত এই চক্রের রূপক ও তমালের কাছে। এই দু’জন আগেই ধরা পড়েছে। তারা ভুয়ো নথি দিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি তৈরি করে দিত।
তমালের কাছ থেকেও আধার কার্ড তৈরির একটি মেশিন বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। তমালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড তৈরির মেশিন ঘেঁটে বিবেকের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। বিবেক বেরা ছিল আধারের সঙ্গে অন্যান্য নথি লিঙ্ক করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পারদর্শী। বিবেক নিজের ল্যাপটপ থেকেই রূপক ও তমালের নির্দেশ মতো ভুয়ো আধার তৈরি করে দিত। বিবেকের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করেছে পুলিস।