পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র তিন বছর পরেই ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গোলামারা হাইস্কুল। প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে পঠনপাঠন শুরু হলেও ধাপে ধাপে দশম এবং উচ্চমাধ্যমিকস্তরে উন্নীত হয় এই স্কুল। হাতেগোনা কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হওয়া এই স্কুলে বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দু’হাজার ছুঁইছুঁই। স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি দেবাশিস মাহাত বলেন, শশীভূষণ মাহাত সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন মিলে প্রাণপণ দিনরাত পরিশ্রম করে গোলামারা হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়রা স্কুলের জন্য জমি দেন। স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ রায়। স্কুলে তাঁর মূর্তিও রয়েছে। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় কয়েকজন পড়ুয়া ভূপেন্দ্রনাথবাবুকে অন্য স্কুল থেকে গোলামারা হাইস্কুলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। স্কুলের বহু প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এদিন অনেকেই অনুষ্ঠানে হাজির হন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উষ্ণীষমণি মুখোপাধ্যায় বলেন, ১৯৫০ সালের ১৮ জানুয়ারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। খড়ের চালের মাটির একমাত্র ঘরে স্কুলটি শুরু হলেও বর্তমানে পরিকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এছাড়াও বেলুন ও পায়রা ওড়ানো এবং স্কুলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেকও কাটা হয়। এদিন ৭৫ তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হলেও সারা বছর ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। রক্তদান এবং চক্ষু পরীক্ষা শিবির যেমন হবে, তেমনই ফুটবল প্রতিযোগিতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু সহ শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়ার পাশাপাশি পঠনপাঠনের মান ঠিক রাখার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলোর চর্চাতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। -নিজস্ব চিত্র