একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে কোর কমিটির বৈঠক না হওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এমনকী, বিজয়া সম্মিলনির বৈঠক জেলাজুড়ে কোথায়, কীভাবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত কাজলকে না জানিয়েই নেওয়া হচ্ছিল। তার প্রেক্ষিতে বিজয়া সম্মিলনির কোনও মঞ্চেই অনুব্রতর সঙ্গে দেখা যায়নি কাজলকে। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য নেতৃত্ব। দলনেত্র্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি বৈঠক করার নির্দেশ দেন। এরপরেই কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এদিন বৈঠকের আহ্বান করেছিলেন। জেলার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এদিনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোর কমিটির বৈঠকে এই প্রথমবার উপস্থিত থাকলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া এদিনের বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাপতির কাজল শেখ, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ। এছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি তন্ময় দত্তও বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে বিকাশবাবু বলেন ‘এবার থেকে বৈঠক মহকুমা ভিত্তিক হবে। যাকে যে এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সেই এলাকার দায়িত্ব পালন করবেন। কাজল-কেষ্টকে ঘিরে যেসব জল্পনা, জলঘোলা হচ্ছিল তার অবসান হল। ওঁদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্বই ছিল না। অনুব্রত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়েই আমরা লড়াই করব। তবে যে কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনার প্রেক্ষিতেই গৃহীত হবে।’
কোরকমিটির পরবর্তী বৈঠক আগামী ১৫ ডিসেম্বর রামপুরহাটে হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির অপর সদস্য অভিজিৎ সিংহ। তিনি বলেন ‘ওই বৈঠক আয়োজন করার জন্য স্থানীয় বিধায়ক অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরের বৈঠক সিউড়িতে অনুষ্ঠিত হবে।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকের পর কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে মামুন শেখকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা নানুরের দায়িত্ব থাকা কাজল শেখ বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে, এক ব্যক্তি এক পদে থাকবেন। উনি যেহেতু সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হিসেবে রয়েছেন, সেই কারণে তাঁকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।’ -নিজস্ব চিত্র