মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
আসন্ন গ্রীষ্মে ফের দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার বেশকিছু ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই জন্য আগে থেকেই পুরসভার উদ্যোগে শহরের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম বেশি পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অম্রুত’ অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফর্মেশন প্রকল্পের আওতায় এই পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য জলের নতুন সংযোগ দিতে খরচ হবে প্রায় তিন কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই এই টাকা দেবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের মোট তিন হাজার সাতশো নতুন পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বিনামূল্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শহরের দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদেরই প্রাধান্য দিচ্ছে পুরসভা। এই মুহূর্তে দুবরাজপুর পুরসভার উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার ৪৭৬টি বাড়িতে এবং প্রায় পাঁচশোটি রাস্তার কলে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কিছু সরকারি দপ্তরও। তিনটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে এই জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই তিনটি ট্যাঙ্কের জল ঠিকঠাক পৌঁছয় না অনেক ওয়ার্ডে। তাই নতুন জলের সংযোগ দিলেও জল সমস্যা কতটা মিটবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু পুরসভার দাবি, নতুন ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি হলে এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে। সে জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে কোথায় নতুন ট্যাঙ্ক করা হবে এবং কত খরচ হবে হিসেব চলছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী পুরসভা।
পুরসভার চেয়ারম্যান পীযুষ পান্ডে বলেন, ইতিমধ্যেই শহরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নতুন জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। নতুন সংযোগ দিলেও কিছুটা সমস্যা থাকবে প্রাথমিক ভাবে। তবে ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আশাকরি তারপর শহরের জলের সমস্যা অনেকখানি মিটে যাবে।