মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
অভিযোগকারীরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০১৬-২০১৭ আর্থিকবর্ষে সমবায় সমিতির ঋণে ছাড় দেওয়ার জন্য প্রথম ধাপে ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা এসেছিল। পরের ধাপে আরও ৩৮ লক্ষ টাকা আসে। এই ছাড়ের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়া কৃষি যন্ত্রাংশ ভাড়া দেওয়ার টাকাও নয়ছয় করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তদের শাস্তি হোক।
সমবায়ের সেক্রেটারি আফজউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সমস্ত নথি আমাদের কাছে রয়েছে। কৃষি যন্ত্রাংশ ভাড়া দেওয়ার টাকা বাকি রয়েছে। তা আদায় করা হবে। আসলে আমরা এখন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে নেই। সেই কারণেই তিনি লোককে দিয়ে অভিযোগ করাচ্ছেন।
যদিও ইসমাইল সাহেব বলেন, ওই সমবায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চাষিরা আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তা তদন্ত করার জন্য সমবায় দপ্তরে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত করছে। কোনও দুর্নীতি না হলে তারা এত ভয় পাচ্ছে কেন? তদন্ত হলে তো জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। তদন্ত অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারীদের দাবি, সমবায়ের ধান কাটা মেশিন রয়েছে। এছাড়া ধান ঝাড়াই সহ আরও বেশ কয়েকটি মেশিন রয়েছে। সেগুলি স্থানীয় চাষিদের ভাড়া দিয়ে সমবায়ের আয় হয়। সেই টাকার সঠিক হিসেব সমবায়ের কাছে নেই বলে তাঁদের অভিযোগ। এছাড়া বিমা ছাড়ের টাকা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
সমবায়ের সম্পাদক বলেন, হঠাৎ করে এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলা ছাড়া অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে না। প্রসঙ্গত, মেমারি-২ ব্লকে শাসক দলের কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। দলের একাংশ স্থানীয় একটি কলেজের জমি কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগের তির শাসক দলের একাংশের দিকে রয়েছে। এবার সমবায়ের অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।