মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
এদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯টি শিশু ভর্তি হয়েছে। পাঁচটি শিশু ভেন্টিলেশনে রয়েছে। হাসপাতালে মোট ১০২ জন শিশু এখন ভর্তি রয়েছে। সোমবার ১৭ জন ভর্তি হয়েছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, আশা করা যায় এবার আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকবে। তবে শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। মৃত্যুর কোনও রিপোর্ট নেই।
তবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকায় অভিভাবকরা সমস্যায় পড়েছেন। কয়েকদিন আগে কুড়মুনের এক সাত মাসের শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনা হওয়ায় পরিবারের লোকজন সমস্যায় পড়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাতের শহরের তিন থেকে চারটি নার্সিংহোম ও হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা দেখে নার্সিংহোমগুলি বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। অবশেষে রাতের দিকে শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভেন্টিলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা করা হয়।
অ্যাডিনোর সঙ্গে চিকেন পক্স পাল্লা দেওয়ায় জেলায় উদ্বেগ বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বসন্তকালে এই রোগের প্রার্দুভাব হচ্ছে। এই রোগ বায়ু বাহিত। হাওয়া চলাচল করে এমন পরিষ্কার ঘরে রোগীকে রাখতে হবে। রোগীর হাঁচি বা কাশি থেকে এই রোগ ছড়ায়। তাঁদের বাইরে বেরনো উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো খাবার খাওয়া উচিত।
ডেপুটি সিএমওএইচ বলেন, একবার কারও পক্স হলে সাধারণত তা দ্বিতীয়বার হয় না। শরীরে ইউমিউনিটি তৈরি হয়ে যায়। তবে এবার আক্রান্তর সংখ্যা কমবে। বসন্তকাল শেষ হলে এই রোগের দাপট কমে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এক আধিকারিক বলেন, চিকেন পক্স হলে শরীরে ফোস্কার মতো দেখা যায়। তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়েও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে শ্বাসকষ্ট হলে শিশুদের কখনও বাড়িতে রাখা উচিত নয়। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। অনেক অভিভাবক দেরিতে শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কোনও ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়। মাঝে কিছুদিন আক্রান্তর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সেই তুলনায় আক্রান্তর সংখ্যা কমেছে।