মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বও হাল ছেড়ে দিয়েছে। রাজ্যের নেতারা দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য একাধিকবার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোন্দল মেটেনি। উল্টে তা আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে রাজ্য নেতৃত্বও এই জেলা নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নয়। কয়েকদিন আগে সংগঠনের এক নেতার সঙ্গে দলের জনপ্রতিনিধির ফোনে বাকবিতণ্ডা চরমে ওঠে। ওই জনপ্রতিনিধি ফোনে নেতাকে জানিয়ে দেন, তাঁর জয়ের জন্য দলের কারও অবদান নেই। টাকা ও বিরোধীদের একাংশের জন্যই তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ওই জনপ্রতিনিধির এমন মন্তব্যর পরেই দলে পদত্যাগ পর্ব শুরু হয়ে যায়।
বিজেপির পদত্যাগী আরএক নেতা বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। এখন নেতারা বলছেন তাঁরা নাকি টাকার জোরে জিতেছেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। মানুষ ওই নেতাকে এবার শিক্ষা দেবেন। তবে আমরা পদ ছাড়লেও দল ছাড়ছি না। প্রয়োজনে যেসব সিপিএমের হার্মাদরা পার্টিঅফিসে বসে রয়েছে তাঁদের বের করে দেব। পার্টিঅফিসে বসে আমরা সংগঠনের কাজ করব। তা না হলে অফিসে তালা ঝোলানো হবে। দলের ভাবমূর্তি আমরা নষ্ট হতে দেব না।
বিজেপির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব পুরো বিষয়টির উপর নজরদারি করছে। আচমকা কেন ওঁরা পদত্যাগ করছেন তা দেখা হবে। বিজেপি একটি পরিবার। যাঁরা পদত্যাগ করছেন তাঁরা পরিবারের সদস্য। সুতরাং সব দিকটাই দল দেখবে।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিদ্রোহের জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েই নেতৃত্ব চিন্তায় রয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার নেতারা পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাই এলাকার সংগঠনের রাশ তাঁদের হাতেই ছিল। ওই নেতারা পদ থেকে সরে আসায় প্রার্থী পাওয়াই বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। দলের এক নেতা বলেন, রাজ্য নেতারা জেগে ঘুমাচ্ছেন। জেলার দু’জন নেতার জন্যই এসব কিছু হচ্ছে। অথচ তাঁদেরই পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ওই দুই নেতাকে সরিয়ে দিলে সংগঠনের ক্ষতি হবে না। সেটা রাজ্য নেতারা কেন বুঝতে পারছেন না, তা বোঝা যাচ্ছে না। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও সাত থেকে আটজন নেতা পদ থেকে সরে আসতে পারেন।