মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
এদিন ঝাড়গ্রাম শহরে কথা হচ্ছিল শাহরুখের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলায় দ্রব্যমূল্য অনেক কম। এখানে খুব কম খরচে জীবন নির্বাহ করা যায়। উত্তর প্রদেশে পবনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হতো। এখানে দৈনিক খরচ কম হওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। কিছুটা পয়সার মুখ দেখতে পাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলায় শান্তিতে ব্যবসা করা যায়। এখানকার মানুষ ভালো। তাঁরা সন্মান করেন। পবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই জীবনযুদ্ধের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
জানা গিয়েছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে শাহরুখের জন্ম হয়। মূলত কৃষিকাজের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের সংসার চলত। তবে শেষ কয়েক বছরে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে সমস্যায় পড়ে শাহরুখের পরিবার। ভাই সাকাবত আলি আট বছর আগে শাহরুখের জন্য একটা কালো রঙের ঘোড়া কিনে আনেন। পরিবারের সদস্যরা ভালোবেসে তার নাম দেন পবন। কিছুদিনের মধ্যেই সে পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। তবে পবনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় শাহরুখকে। এরপর করোনা আবহে লকডাউনের সময় সমস্যা আরও বাড়ে। পরে তিনি বাড়তি আয়ের আশায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন পবনকে সঙ্গী করে। তাঁর কথায়, উত্তর প্রদেশে পবনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হতো। এরফলে আধপেটা খেয়েই থাকতে হতো। তবে বাংলায় খাবারের দাম কম। পবনের খোরাক জোগাড় হয়ে যাচ্ছে। এখানে বহু মানুষ ঘোড়ার নাল কিনছেন। বিয়ে বাড়িগুলোতেও ঘোড়া ভাড়া হচ্ছে। আয়ও বাড়ছে। পবন খুশি। তাই আমিও।
এই নিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা বলেন বাংলায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। তবে বাইরের রাজ্যে গেলে অন্য চিত্র উঠে আসে। এখানেই সবকিছু সস্তায় মেলে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের ব্যবসায়ীরা কাজের সন্ধানে বাংলায় আসছেন। এখানে তাঁরা শান্তিতে ব্যবসা করছেন। বিজেপির নেতাদের মুখে ওসব কথা মানায় না।
অপরদিকে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সঞ্জিত মাহাত বলেন, তৃণমূলের নেতাদের যোগীরাজ্য নিয়ে ভাববার প্রয়োজন নেই। বরং তাঁরা দেখুন এরাজ্যে কোনও চাকরি নেই। এখানকার ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরের রাজ্যে যাচ্ছে। তৃণমূলের আমলে কেউ এখানে চাকরি পাওয়ার আশা করে না। তৃণমূল সরকার মানুষকে কাজ দিতে পারেনি। এ রাজ্য দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র